জাকের পার্টি সম্পর্কে বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরীর অবিস্মরণীয় নসিহত

- আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২৭৩০ বার পড়া হয়েছে
“এই নক্শবন্দীয়া মোজাদ্দেদীয়া দপ্তর, জাকের পার্টি – এইটা মুসা (আঃ) কে আল্লাহ বলছিলেন, যে তুমি একটা ক্ষীমা তৈরি কর। তুমি একটা বেড়িকেড তৈরি কর। তার ভিতরে তুমি তোমার মুরীদানদের নিয়া থাক। তুফান আসতেছে। তিনি বিশাল কইরা একটা ক্ষীমা তৈরি করলেন। বিশাল কইরা বেড়িকেড তৈরি করলেন। তৈরি কইরা তিনি তার সমস্ত জিনিসপত্র, পরিবার নিয়া তার উম্মত নিয়া, তিনি সেই বেড়িকেডের ভিতর রয়ে গেলেন। সেই ক্ষীমার ভিতর রয়ে গেলেন। ক্ষীমার বাহিরে যারা ছিল, তাদের উড়াইয়া নিয়া গেল বাতাসে। আর ক্ষীমার ভিতরে যারা ছিল, তাদের একটা পশমও নড়লো না।
অতএব, পীরের এই যে নক্শবন্দীয়া মোজাদ্দেদীয় তরিকা এবং জাকের পার্টি – এইটা তোমাদের জন্য সেই রকম ক্ষীমা সদৃশ। এই ক্ষীমাতে তোমরা থাকো। বাহিরে যাইয়ো না।
ভয়ংকর দিন আসতেছে। যেদিনে মানুষ মানুষকে হালাক করবে। মানুষ মানুষের মাংস খাবে। এমনই এক দিন আসতেছে। মানুষের মাংস কেটে বিক্রি করবে। মানুষের মাথা কেটে নিয়ে ব্যবসা করবে। এমন এক দিন তোমাদের সম্মুখে। তোমরা হুশিয়ার। তোমাদের দয়াল পীরের কদমে সইপা দিলাম।
এই রজ্জু হযরত কেবলাজানের রজ্জু। এই জাকের পার্টি তোমরা অধিক শক্তিশালী কইরো। এবং পার্টিকে শক্তিশালী করার জন্য যা প্রয়োজন তাই তোমরা কইরো। পার্টি ছাইড়ো না। আর সকলে তরিকতের কাজ কইরো। আর তোমাদের দেশের অন্যান্য লোকদের তরিকত সর্ম্পকে বুঝাইও। যাতে কইরা তারাও এই সত্যের আশ্রয়ে আসে। সত্য পথে তাদেরকে আনেন। হযরত কেলাজান বলছেন, তোমাদের দাদা পীর সাহেব বলছেন যে, বাবা যারা বেহেশতের মাটি দিয়া গড়া, অবশ্যই তারা এই পতাকার নিচে আসবে। নিঃর্সন্দেহ কথা এটা। তার পবিত্র মুখের বাণী, তার মুখের পাক বাণী এটা কোন দিন নরচর হবে না আস্তে আস্তে চতূর্দিকের থেইকা ঝড়ের মত সব চইলা আসতেছে। নদীর স্রােতের মত মানুষ গড়াইয়া আসতেসে এবং তারা তরিকা ভুক্ত হইতেছে।
অগণিত লোক এই উরস শরীফে তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে ফায়েজ নিয়ে গেছে। এত দুঃখ বেদনা, মেঘ, বৃষ্টি বাদল হইল। তাও জাকেরান দমে নাই। খেদমত সংগ্রহ করতে কোন খানে তাদের কোন ভয় ভীতি তাদের আসে নাই। তারা হাসি মুখে বরণ করে নিছে। আল্লার দান এটা। এটাও আলাহর দান। কারণ উরস শরীফের সময় বৃষ্টি থাকে। এখন তোমাদেরকে বাবা আমি আল্লাহর রাস্তায় সইপা দিলাম। যাও, বাচ্চা কাচ্চা নিয়া শান্তিতে থাইকো।মাঝে মাঝে আইসো।
ভিজা মাটিতে বইসা আল্লাহর জিকির আপনারা কইরা গেলেন। এর জন্য আল্লাহ দয়া কইরা আপনার সমস্ত গুনাহখাতা মাফ কইরা দিবেন। আর আল্লাহকে যেন ভুইলেন না। তরিকতের কাজ ঠিক মত করবেন। আর ভাই ভাই ঐক্যবদ্ধ শক্তি হইয়া থাকবেন। আমি যে জাকের পার্টির ডিক্লারেশন দিয়া দিসি। এই জাকের পার্টি ৩৭ বছর পূর্বে আপনাদের দাদা হুজুর এনায়েতপুরী (রঃ) ঘোষণা করছিলেন তিনি, আমিও সঙ্গে ছিলাম, আমিও সেই নারায়ে তাকবীর আমিও বলছিলাম।
তাই ৩৭ বছর পরে দুনিয়া পরিস্থিতি অনুসারে, এত দিন পরে দুইটা শুভ লগ্ন ছিল। যে শুভ লগ্নে রাসুলে পাক (সঃ) এর জন্ম লগ্ন, আর হযরত কেবলাজানের জন্ম লগ্ন – একই সময়ে পইরা গেল, শনিবার দিন ভোর বেলা। সেই সময় আমি জাকের পার্টির ডিক্লারেশন দিয়া দিসি।
এই পার্টি আমার পার্টি নয়, এই পার্টি মহা ওলী খাজাবাবার পার্টি।
এই পার্টি আল্লাহ-রাসূলের (সাঃ) পার্টি। এই পার্টি আল্লাহর দল, হেজবুল্লাহ্। এই পার্টি সমগ্র বিশ্ব মুসলমানদের পার্টি। এই পার্টি মুক্তির পার্টি। এই পার্টি মজলুমের পার্টি। মুসলমানদের রক্ষা করার জন্য এই পার্টি। তামাম বিশ্ব মানবের কল্যাণের জন্য এই পার্টি। অতএব, এই পার্টির রজ্জু শক্ত কইরা ধরেন। এই পার্টি শক্ত কইরা ধইরা থাকেন। তাহলে আর চিন্তার কোন কারন থাকবে না।
“একতার বলে সব হও বলিয়ান
উড়িবে আকাশে তব বিজয় নিশান”
তোমরা যদি এক্যবদ্ধ ভাবে এই জাকের পার্টি ধইরা থাক, তাইলে আর কোন চিন্তার কোন কারন থাকবে না। তোমরা যদি এই ঐক্য শক্তি রক্ষা কর, আরো শক্তিশালী করো, পৃথিবীতে এমন কোন লোক নাই, তোমাদের গায়ে টোকা দেয়। যতবড় শক্তিশালী সে হোক না কেন। অতএব, তোমরা ভুইলো না। এক ভাই আরেক ভাইকে ভুইলো না।
কেবলাজান বলছেন যে, একটা পীর ভাই ৭০টা নিজের ভাই এর চাইতে শ্রেষ্ঠ। এরকম দেখা গেছে যে, গত প্লাবনের সময়ে বন্যার সময়ে, যখন জাকের খাদ্য সামগ্রী নিয়া আপনারা খাওয়াইছেন, তখন একজন আমাকে বলছেন যে, আমার সাথে তিন দিন উপবাস, তিন দিন পরে একদিন তার খাওয়া দিসে। ভাত তার সামনে দিসে। তখন সে বলসে, আমাকে না খাওয়াইয়া আমার এই ভাই তাকে খাওয়ান। তিনি তিন দিন না খাইয়া আছেন, তখন তিনি বললেন, আমি কাইন্দা দিলাম। একটা পীর ভাই আরেকটা পীর ভাইকে কতই মহব্বত করে। তার সামনে ঠিক করে খায় না, তা সত্যেও বলে আমার ভাইরে খাওয়ান। আমি খাব না। এইটা হইলো জাকেরদের মহব্বত। এইটা হইল ৭০ গুণ প্রাণের টান।
এই বাধন আত্মার বাধন। এই বাধন দিয়া দিসেন খাজাবাবা এনায়েতপুরী (রঃ)। কোটি কোটি মুরিদানের ভিতরে এই বাধন দিয়া দিছেন। হযরত কেবলাজান হুজুর বলছেন, আমি বিনা সুতার বান দিয়া গেলাম। এই বান খুলবার শক্তি কাহারো নাই পৃথিবীতে। সেই বান আজকে আমি আপনাদের জাকের পার্টি গঠন কইরা এই পার্টি আরো শক্তিশালী করে দিলাম। এই বান আরো শক্তিশালী কইরা দিলাম। আপনারা যেন মহান ওলী খাজাবাবাকে ভুইলেন না।
নারায়ে তাকবীর – আল্লাহু আকবার
নারায়ে তাকবীর – আল্লাহু আকবার
জাকের পার্টি – জিন্দাবাদ
জাকের পার্টি- জিন্দাবাদ
সত্য তরীকা – জিন্দাবাদ
সত্য তরীকা – জিন্দাবাদ
মাজহাবে খাজাবাবা – জিন্দাবাদ
মাজহাবে খাজাবাবা – জিন্দাবাদ
নারায়ে তাকবির – আল্লাহু আকবার
নারায়ে তাকবির – আল্লাহু আকবার
গোলাপ ফুলে একটা ভোট দেন। কারণ, আমরা সব মুসলমান। অতএব মুসলমানদের পার্টি জাকের পার্টি। আপনারা জেকের করেন। আল্লাহর জেকের করেন। আল্লাকে ডাকেন। নামাজ পরেন। রোজা রাখেন। এইতো জাকের। অতএব, জাকেরদের পার্টি এই জাকের পার্টি। গোলাপ ফুল। গোলাপ ফুলে একটা ভোট দিবেন দয়া কইরা।
সমস্ত মেয়েরাও জেন বোরখা পইরা পইরা, বোরখা পইরা নাইমা পরবেন মেয়েদের ভিতরে, নাইমা ক্যামপাস কইরা ভোট দেওয়ায় দিবেন।
আর যারা ক্যান্ডিডেট, জীবন দিয়ে, তার শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও পার্টিকে রক্ষা করার চেষ্ঠা করবেন।”
বিশ্বওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেব
প্রতিষ্ঠাতা, জাকের পার্টি