ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলত

  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলতঃ

হিজরী বর্ষ পঞ্জিকার নবম মাসের নাম রমজান। এই মাস অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ। এই মোবারক মাসেই শ্রেষ্ঠতম আসমানী গ্রন্হ আল কুরআন নাযিল হয়। এই মাসেই ‘শবে কদর’ নিহিত। চান্দ বৎসরের বারো (১২) মাসের মধ্যে একমাত্র রমজান মাসের কথাই কুরআন মজীদে উল্লিখিত আছে। আল্লাহপাক বলেন, “রমজান সেই মাস, যাহাতে কুরআনকে অবতীর্ণ করা হইয়াছে।” (সূরা বাকারাহঃ১৮৫)

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। যথাঃ ঈমান, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্জ্ব। অন্যতম রোকন বা ভিত্তি ‘রোজা’র জন্য রমজান মাসকে নির্ধারণ করা হইয়াছে। রোজা কি? রোজা ফার্সী শব্দ। ইহার আভিধানিক অর্থ উপবাস। আরবী ভাষায় রোজার প্রতিশব্দ “ছাওমুন”। ইহার মূলে আছে ছাওম। ছাওমুনের বহুবচন ছিয়াম। যাহার অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদেকের প্রারম্ভ হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও স্ত্রী সহবাস হইতে বিরত থাকাই রোজা।

হিজরী দ্বিতীয় বর্ষে রোজাকে ফরজ বলিয়া ঘোষণা দেওয়া হয়। আল্লাহপাক বলেন,”হে মোমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হইয়াছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হইয়াছিল, যেন তোমরা পরহেযগারীর গুনে গুণান্বিত হইতে পার। অল্প কয়েকদিনের জন্য মাত্র। তোমাদের মধ্যে কেহ অসুস্থ থাকিলে অথবা ছফরের থাকিলে অন্য সময় হিসাব গণনা করিয়া রোজা রাখিবে।” (সূরা বাকারাঃ ১৮৩-১৮৪)
রোজা পালন করা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারীর জন্য ফরজ। রোজার ফরজিয়াতের উপর ঈমান রাখা অপরিহার্য। ইহা অস্বীকারকারী কাফের।
হযরত আদম (আঃ) হইতে হযরত ঈসা (আঃ) পর্যন্ত সকল পয়গম্বরগণের সময়ে রোজা ফরজ ছিল। তবে কাহার আমলে কতদিন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু শরীয়তে পাওয়া যায় না।

ইসলামে নির্ধারিত সকল ইবাদতের মধ্যে রোজা মহান খোদাতায়ালার নিকট অধিক প্রিয়। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ রাসূলে পাক (সাঃ) বলিয়াছেন, মানব সন্তানের নেক আমল বাড়ানো হইয়া থাকে, প্রত্যেক নেক আমল দশ হইতে সাত শত গুন পর্যন্ত। আল্লাহ বলেন, রোজা ব্যতীত। কেননা, রোজা আমারই জন্য এবং আমিই ইহার প্রতিফল দান করিব। সে আমারই জন্য আপন প্রবৃত্তি ও পানাহার ত্যাগ করে। (মেশকাত শরীফ)

গ্রন্থসূত্রঃ খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহ্সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ, ২০তম খন্ড, নসিহত নম্বর ১২৩

 

আরো পড়ুনঃ

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলত

আপডেট সময় : ১০:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলতঃ

হিজরী বর্ষ পঞ্জিকার নবম মাসের নাম রমজান। এই মাস অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ। এই মোবারক মাসেই শ্রেষ্ঠতম আসমানী গ্রন্হ আল কুরআন নাযিল হয়। এই মাসেই ‘শবে কদর’ নিহিত। চান্দ বৎসরের বারো (১২) মাসের মধ্যে একমাত্র রমজান মাসের কথাই কুরআন মজীদে উল্লিখিত আছে। আল্লাহপাক বলেন, “রমজান সেই মাস, যাহাতে কুরআনকে অবতীর্ণ করা হইয়াছে।” (সূরা বাকারাহঃ১৮৫)

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। যথাঃ ঈমান, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্জ্ব। অন্যতম রোকন বা ভিত্তি ‘রোজা’র জন্য রমজান মাসকে নির্ধারণ করা হইয়াছে। রোজা কি? রোজা ফার্সী শব্দ। ইহার আভিধানিক অর্থ উপবাস। আরবী ভাষায় রোজার প্রতিশব্দ “ছাওমুন”। ইহার মূলে আছে ছাওম। ছাওমুনের বহুবচন ছিয়াম। যাহার অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদেকের প্রারম্ভ হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও স্ত্রী সহবাস হইতে বিরত থাকাই রোজা।

হিজরী দ্বিতীয় বর্ষে রোজাকে ফরজ বলিয়া ঘোষণা দেওয়া হয়। আল্লাহপাক বলেন,”হে মোমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হইয়াছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হইয়াছিল, যেন তোমরা পরহেযগারীর গুনে গুণান্বিত হইতে পার। অল্প কয়েকদিনের জন্য মাত্র। তোমাদের মধ্যে কেহ অসুস্থ থাকিলে অথবা ছফরের থাকিলে অন্য সময় হিসাব গণনা করিয়া রোজা রাখিবে।” (সূরা বাকারাঃ ১৮৩-১৮৪)
রোজা পালন করা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারীর জন্য ফরজ। রোজার ফরজিয়াতের উপর ঈমান রাখা অপরিহার্য। ইহা অস্বীকারকারী কাফের।
হযরত আদম (আঃ) হইতে হযরত ঈসা (আঃ) পর্যন্ত সকল পয়গম্বরগণের সময়ে রোজা ফরজ ছিল। তবে কাহার আমলে কতদিন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু শরীয়তে পাওয়া যায় না।

ইসলামে নির্ধারিত সকল ইবাদতের মধ্যে রোজা মহান খোদাতায়ালার নিকট অধিক প্রিয়। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ রাসূলে পাক (সাঃ) বলিয়াছেন, মানব সন্তানের নেক আমল বাড়ানো হইয়া থাকে, প্রত্যেক নেক আমল দশ হইতে সাত শত গুন পর্যন্ত। আল্লাহ বলেন, রোজা ব্যতীত। কেননা, রোজা আমারই জন্য এবং আমিই ইহার প্রতিফল দান করিব। সে আমারই জন্য আপন প্রবৃত্তি ও পানাহার ত্যাগ করে। (মেশকাত শরীফ)

গ্রন্থসূত্রঃ খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহ্সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ, ২০তম খন্ড, নসিহত নম্বর ১২৩

 

আরো পড়ুনঃ