ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হজরত ফরিদপুরীর সঙ্গে চিত্রবাংলা প্রতিনিধির বিশেষ সাক্ষাৎকার

  • আপডেট সময় : ০১:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৪১ বার পড়া হয়েছে

আটরশি দরবার । আটরশির কাফেলা

Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হজরত ফরিদপুরীর সঙ্গে চিত্রবাংলা প্রতিনিধির বিশেষ সাক্ষাৎকারঃ

চিত্রবাংলাঃ আপনার প্রচারিত নকশবন্দীয়া তরিকা এবং আপনার এ তরিকা প্রচার সম্পর্কে কিছু বলুন।
হজরত ফরিদপুরীঃ (হেসে) এ সম্পর্কে তো আমি বহুবার বলেছি,বই পত্রে ও লেখা আছে প্রচুর। তাছাড়া এ তরিকা প্রচারের ইতিহাস এক দীর্ঘকাহিনী। এত অল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না।

চিত্রবাংলাঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নানা প্রকল্প পরিকল্পনায় আপনার ভুমিকা কি?
হজরত ফরিদপুরীঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আলীয়া মাদ্রাসা,ইসলামী গবেষনা কেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপিত হয়েছে।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে জামে মসজিদের স্থান নির্বাচন হয়ে আছে। এ ছাড়া ইসলামী কলেজ, হেলথ কমপ্লেক্স প্রভৃতি প্রকল্পের পরিকল্পনাও রয়েছে। সব পরিকল্পনাতেই আমি অংশ নিয়ে থাকি। বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের প্রতিটি কাজের তত্ত্বাবধান নিজে করে থাকি।

 

চিত্রবাংলাঃ আপনার মৃত্যুর বিরাট এই প্রতিষ্ঠানের রক্ষনাবেক্ষন কে করবেন?
হজরত ফরিদপুরীঃ আল্লাহ আছেন। তিনিই দেখবেন সবকিছু।

চিত্রবাংলাঃ গতবছর উট এবং উরস শরীফ নিয়ে সারা দেশে প্রচুর বাকবিতন্ডা হয়ে গেল। আপনি এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ ছিলেন।এ নিয়ে সবার মনে কৌতুহল রয়েছে এ সম্পর্কে কিছু বলুন।
হজরত ফরিদপুরীঃ দেখুন বাবা । আমি ওসবের ধারেও না,কাছেও না। যারা বাকবিতন্ডা করার তারা করেছে।আমি সামান্য মানুষ, ইসলাম প্রচার করি, ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। তবে ইসলাম কি জিনিস মানুষ তা জানে না। ইসলাম শান্তির এক ফাল্গুনধারা। কিন্তু এ নদী শুকিয়ে রয়েছে। খোচা মেরে এর শুকনো তট থেকে থেকে পানি বের করতে হবে। এর জন্য পরিশ্রম করা চাই।

চিত্রবাংলাঃ ইসলাম ধর্মে পীরের ভূমিকা কি?
হজরত ফরিদপুরীঃ আল্লাহকে জানার জন্য ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এজন্য আধ্যাত্মিক বিদ্যা হাসিল করা প্রয়োজন। আর তাই ইসলামে পীরের খাসলত ধরার কথা বলা হয়েছে। কামেল পীরের মুরিদ না হলে বাতেনী বিদ্যা অর্জন করা যায় না, খোদাপ্রাপ্তির পথে এগোনো যায় না।

চিত্রবাংলাঃ প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে আপনার দরবারে।অনেকেই বলেঃ তার মধ্যে পাপী, অসৎ, বেপথু, লোকের সংখ্যাই বেশী। কোন মন্তব্য করবেন এ বিষয়ে?
হজরত ফরিদপুরীঃ দেখুন বাবা যারা পাপী, যারা অসৎ, যারা সঠিক পথ ছেড়ে ভূল পথে হাঁটছে তারাই তো আসবে এখানে। এখানে এসে তারা সত্য পথ খুজে পাবে, পাবে সৎ পথের সন্ধান, এই তো স্বাভাবিক।

চিত্রবাংলাঃ আপনার অনেক ভক্তের বিশ্বাস-আখেরী জামানায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল থেকেই হজরত ইমাম মেহেদী (রঃ) এর আবির্ভাব হবে।আপনিও কি তাই মনে করেন?
হজরত ফরিদপুরীঃ এসব বাজে কথা। আবেগবশতঃ তারা এসব কথা বলে।আখেরি জামানা নিয়ে আলোচনা করার অধিকার আল্লাহ আমাদের কাউকে দেননি।

চিত্রবাংলাঃ ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আপনি জনসাধারনের কাছে থাকেন। তারপর আপনি দু’তিন ঘণ্টা আড়ালে থাকেন। এ সময়টা কি করে কাটান আপনি?
হজরত ফরিদপুরীঃ (হেসে) এ যে একেবারে ব্যাক্তিগত কথা বাবা। কি করি? কোনদিন বিশ্রাম করি, কোনদিন খোদার নাম নিতে নিতে রাত কেটে যায়।

 

চিত্রবাংলাঃ আমাদের কিছু বলবেন?
হজরত ফরিদপুরীঃ সাংবাদিকদের লেখনী অতি শক্তিশালী। আপনারা আসুন, দেখুন, বুঝুন। আপনারা আমার তরিকা প্রচারে যদি সাহায্য করেন তবে অনেক কাজ হবে। আসবেন বাবা, উরসে আসবেন। এমনি আসবেন। আপনারা যদি আসেন,তবে বেশী কাজ হবে।

[ চিত্র বাংলা প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎকার ১৮-০২-৮৩ ]

 

আরো পড়ুনঃ 

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

হজরত ফরিদপুরীর সঙ্গে চিত্রবাংলা প্রতিনিধির বিশেষ সাক্ষাৎকার

আপডেট সময় : ০১:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

হজরত ফরিদপুরীর সঙ্গে চিত্রবাংলা প্রতিনিধির বিশেষ সাক্ষাৎকারঃ

চিত্রবাংলাঃ আপনার প্রচারিত নকশবন্দীয়া তরিকা এবং আপনার এ তরিকা প্রচার সম্পর্কে কিছু বলুন।
হজরত ফরিদপুরীঃ (হেসে) এ সম্পর্কে তো আমি বহুবার বলেছি,বই পত্রে ও লেখা আছে প্রচুর। তাছাড়া এ তরিকা প্রচারের ইতিহাস এক দীর্ঘকাহিনী। এত অল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না।

চিত্রবাংলাঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নানা প্রকল্প পরিকল্পনায় আপনার ভুমিকা কি?
হজরত ফরিদপুরীঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আলীয়া মাদ্রাসা,ইসলামী গবেষনা কেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপিত হয়েছে।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে জামে মসজিদের স্থান নির্বাচন হয়ে আছে। এ ছাড়া ইসলামী কলেজ, হেলথ কমপ্লেক্স প্রভৃতি প্রকল্পের পরিকল্পনাও রয়েছে। সব পরিকল্পনাতেই আমি অংশ নিয়ে থাকি। বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের প্রতিটি কাজের তত্ত্বাবধান নিজে করে থাকি।

 

চিত্রবাংলাঃ আপনার মৃত্যুর বিরাট এই প্রতিষ্ঠানের রক্ষনাবেক্ষন কে করবেন?
হজরত ফরিদপুরীঃ আল্লাহ আছেন। তিনিই দেখবেন সবকিছু।

চিত্রবাংলাঃ গতবছর উট এবং উরস শরীফ নিয়ে সারা দেশে প্রচুর বাকবিতন্ডা হয়ে গেল। আপনি এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ ছিলেন।এ নিয়ে সবার মনে কৌতুহল রয়েছে এ সম্পর্কে কিছু বলুন।
হজরত ফরিদপুরীঃ দেখুন বাবা । আমি ওসবের ধারেও না,কাছেও না। যারা বাকবিতন্ডা করার তারা করেছে।আমি সামান্য মানুষ, ইসলাম প্রচার করি, ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। তবে ইসলাম কি জিনিস মানুষ তা জানে না। ইসলাম শান্তির এক ফাল্গুনধারা। কিন্তু এ নদী শুকিয়ে রয়েছে। খোচা মেরে এর শুকনো তট থেকে থেকে পানি বের করতে হবে। এর জন্য পরিশ্রম করা চাই।

চিত্রবাংলাঃ ইসলাম ধর্মে পীরের ভূমিকা কি?
হজরত ফরিদপুরীঃ আল্লাহকে জানার জন্য ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এজন্য আধ্যাত্মিক বিদ্যা হাসিল করা প্রয়োজন। আর তাই ইসলামে পীরের খাসলত ধরার কথা বলা হয়েছে। কামেল পীরের মুরিদ না হলে বাতেনী বিদ্যা অর্জন করা যায় না, খোদাপ্রাপ্তির পথে এগোনো যায় না।

চিত্রবাংলাঃ প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে আপনার দরবারে।অনেকেই বলেঃ তার মধ্যে পাপী, অসৎ, বেপথু, লোকের সংখ্যাই বেশী। কোন মন্তব্য করবেন এ বিষয়ে?
হজরত ফরিদপুরীঃ দেখুন বাবা যারা পাপী, যারা অসৎ, যারা সঠিক পথ ছেড়ে ভূল পথে হাঁটছে তারাই তো আসবে এখানে। এখানে এসে তারা সত্য পথ খুজে পাবে, পাবে সৎ পথের সন্ধান, এই তো স্বাভাবিক।

চিত্রবাংলাঃ আপনার অনেক ভক্তের বিশ্বাস-আখেরী জামানায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল থেকেই হজরত ইমাম মেহেদী (রঃ) এর আবির্ভাব হবে।আপনিও কি তাই মনে করেন?
হজরত ফরিদপুরীঃ এসব বাজে কথা। আবেগবশতঃ তারা এসব কথা বলে।আখেরি জামানা নিয়ে আলোচনা করার অধিকার আল্লাহ আমাদের কাউকে দেননি।

চিত্রবাংলাঃ ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আপনি জনসাধারনের কাছে থাকেন। তারপর আপনি দু’তিন ঘণ্টা আড়ালে থাকেন। এ সময়টা কি করে কাটান আপনি?
হজরত ফরিদপুরীঃ (হেসে) এ যে একেবারে ব্যাক্তিগত কথা বাবা। কি করি? কোনদিন বিশ্রাম করি, কোনদিন খোদার নাম নিতে নিতে রাত কেটে যায়।

 

চিত্রবাংলাঃ আমাদের কিছু বলবেন?
হজরত ফরিদপুরীঃ সাংবাদিকদের লেখনী অতি শক্তিশালী। আপনারা আসুন, দেখুন, বুঝুন। আপনারা আমার তরিকা প্রচারে যদি সাহায্য করেন তবে অনেক কাজ হবে। আসবেন বাবা, উরসে আসবেন। এমনি আসবেন। আপনারা যদি আসেন,তবে বেশী কাজ হবে।

[ চিত্র বাংলা প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎকার ১৮-০২-৮৩ ]

 

আরো পড়ুনঃ