রমজান নেকী অর্জনের মওসুম
- আপডেট সময় : ০৭:০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
- / ২৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
রমজান নেকী অর্জনের মওসুম। এই মাসে যত সহজে যত অধিক নেকী অর্জন করা যায় তাহা অন্য মাসে সম্ভব নহে। যে কোন ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত মৌসুম ও অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যেমন শীতের মওসুমে প্রচুর সবজী উৎপন্ন হয়। গ্রীষ্মে আম কাঠালের ভাল ফলন হয়। তেমনি রমজানে অপরিসীম পূণ্য হাছিল করা যায়। রাসূলে পাক (সাঃ)বলেন,
- আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমলই দশ হইতে সাতশত গুণ পর্যন্ত বাড়াইয়া দেওয়া হয়। কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। আল্লাহ পাক বলেন, “রোজা শুধু আমার জন্য। সুতরাং আমি নিজে তাহার বিনিময় প্রদান করিব।” (বোখারী, মুসলিম)
- বেহেশতের একটি দরোজার নাম রায়হান। রায়হান শব্দের অর্থ তৃষ্ণা নিবারক ও তৃপ্তিদায়ক। ঐ দরোজা শুধু রোজাদারের জন্যই। অন্য কেউ ঐ দরোজা দিয়া প্রবেশ করিতে পারিবে না। আর ঐ দরোজা দিয়া যে প্রবেশ করিবে, সে কোন দিনও পিপাসিত হইবে না।(বোখারী, মুসলিম)
- রোজাদারের নিদ্রা ইবাদত তুল্য। তাহার মৌনতা তসবীহ পাঠতুল্য। রোজদার সামান্য ইবাদতে অধিক বিনিময় লাভকারী। তাহার দু‘আ কবুল হয় এবং গোনাহ মাফ হয়। (বায়হাকী)
একদিকে রমজানে ইবাদতের পরিমান বৃদ্ধি পায়। দিনে রোজা, রাত্রে বন্দেগী। দিবারাত্র ব্যাপী চলে ইবাদত। অন্যদিকে প্রত্যেক ইবাদতের বিনিময়ে নেকী বৃদ্ধি করা হয় কমপক্ষে ৭০গুণ। এই কারণেই রমজানকের বলা হয় নেকীর মওসুম।
গ্রন্থসূত্রঃ খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহসূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ, ২০তম খন্ড, পৃষ্টা-২০।
আরো পড়ুনঃ
- সুফিবাদ বা সূফীজমে পরমতসহিষ্ণুতা
- মোমিন বান্দার পরিচয়
- আসহাবে সুফফা
- বায়াত না হওয়ার কুফল
- আটরশি দরবার । আটরশির কাফেলা । ১ম পর্ব
- হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সৃষ্টির ফাউন্ডেশন – শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রাঃ) ছাহেব
- শাহ নেয়ামাতুল্লাহ ওয়ালী (রহঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী
- সুফিবাদ কী ? সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ
- রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলত
- রমজান ফজিলতের মাস
- রমজান বিজয়ের মাস