ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপন পীরের প্রতি মহব্বত

  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ২৪০৬ বার পড়া হয়েছে

আপন পীরের প্রতি মহব্বত sufibad

Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) এনায়েতপুর দরবার শরীফে পীরের খেদমতে থাকাকালে একদিন তিনি হাত পাখা দিয়ে স্বীয় পীর এনায়েতপুরী (কুঃ) সাহেবকে বাতাস করছিলেন। সময়টা ছিল বিকাল, লোকজন আশে পাশে দিয়ে ঘুরাফিরা করছে। এসময় হযরত এনায়েতপুরী (কুঃ) সাহেব ফরিদপুরী (কুঃ) সাহেবের দিকে তাঁকিয়ে একটু মুচকি হেসে বললেন,”বাবা, দিনে হাজার দশেক টাকা যদি পকেট খরচ হয় তাহলে তোমার চলবেনা?”। এ কথা শুনে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) কেঁদে ফেললেন, হাত থেকে পাখা পড়ে গেলো। কারণ দশ পয়সা আয়ের রাস্তা যার নেই, তার দৈনিক পকেট খরচ দশ হাজার টাকা হলে চলবে কিনা এটা জিজ্ঞাসা করা তামাশা ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা। কিন্তু পীরের কথা, কোন জবাব না দিয়ে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) কান্না শুরু করলেন।

তখন হযরত খাজা এনায়েতপুরী (কুঃ) বললেন, “পীরের কথা বিশ্বাস হয় না? যেদিন এমন হবে সেদিন আমার কথা যেনো ভুলিসনা”। পীরের জবান থেকে এ মন কথা শুনে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) হাউমাউ করে কেঁদে আপন পীর এনায়েতপুরীর কদমে লুটিয়ে পড়লেন আর বললেন, “এই কদম ধরে শপথ করছি, যদি কোন দিন এ অবস্থা আমার হয় তাহলে বৃক্ষ তরুলতায়, আকাশে বাতাসে শুধু তোমারই নাম লিখে যাব বাবা”। স্বস্নেহে আদর করে হযরত এনায়েতপুরী (কুঃ) বললেন, “জানি বাবা তুই আমারে ভুলবিনা। তাই আমি তোর কাছে আমার সমস্ত কিছু দিয়ে যাচ্ছি ”। আর পরবর্তীতে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি যা করেছেন যা বলেছেন সব কিছুতই স্বীয় পীরের গুণ কীর্তন করেছেন।

তাঁর কাছে গিয়ে যারই কিছু উপকার হতো তাতেই বলতেন, “যা হয়েছে আমার পীরের ওছিলায় আল্লাহ দয়া করেছেন”। মুরিদানদিগকে বিদায় দেওয়ার সময় বলতেন, “বাবা আমার পীরের কদমে সোপর্দ করে বিদায় দিলাম”। এমনি ভালবাসতেন তিনি আপন পীরকে, শয়নে স্বপনে জাগরনে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) আপন পীরের ওছিলা ছাড়া একটি বাক্যও উচ্চারণ করতেননা।

তথ্যঃমহা মোজাদ্দেদ হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) – (বইটি কিনতে ক্লিক করুন)

 

আরো পড়ুনঃ 

ব্লগটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

আপন পীরের প্রতি মহব্বত

আপডেট সময় : ০৬:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) এনায়েতপুর দরবার শরীফে পীরের খেদমতে থাকাকালে একদিন তিনি হাত পাখা দিয়ে স্বীয় পীর এনায়েতপুরী (কুঃ) সাহেবকে বাতাস করছিলেন। সময়টা ছিল বিকাল, লোকজন আশে পাশে দিয়ে ঘুরাফিরা করছে। এসময় হযরত এনায়েতপুরী (কুঃ) সাহেব ফরিদপুরী (কুঃ) সাহেবের দিকে তাঁকিয়ে একটু মুচকি হেসে বললেন,”বাবা, দিনে হাজার দশেক টাকা যদি পকেট খরচ হয় তাহলে তোমার চলবেনা?”। এ কথা শুনে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) কেঁদে ফেললেন, হাত থেকে পাখা পড়ে গেলো। কারণ দশ পয়সা আয়ের রাস্তা যার নেই, তার দৈনিক পকেট খরচ দশ হাজার টাকা হলে চলবে কিনা এটা জিজ্ঞাসা করা তামাশা ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা। কিন্তু পীরের কথা, কোন জবাব না দিয়ে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) কান্না শুরু করলেন।

তখন হযরত খাজা এনায়েতপুরী (কুঃ) বললেন, “পীরের কথা বিশ্বাস হয় না? যেদিন এমন হবে সেদিন আমার কথা যেনো ভুলিসনা”। পীরের জবান থেকে এ মন কথা শুনে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) হাউমাউ করে কেঁদে আপন পীর এনায়েতপুরীর কদমে লুটিয়ে পড়লেন আর বললেন, “এই কদম ধরে শপথ করছি, যদি কোন দিন এ অবস্থা আমার হয় তাহলে বৃক্ষ তরুলতায়, আকাশে বাতাসে শুধু তোমারই নাম লিখে যাব বাবা”। স্বস্নেহে আদর করে হযরত এনায়েতপুরী (কুঃ) বললেন, “জানি বাবা তুই আমারে ভুলবিনা। তাই আমি তোর কাছে আমার সমস্ত কিছু দিয়ে যাচ্ছি ”। আর পরবর্তীতে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি যা করেছেন যা বলেছেন সব কিছুতই স্বীয় পীরের গুণ কীর্তন করেছেন।

তাঁর কাছে গিয়ে যারই কিছু উপকার হতো তাতেই বলতেন, “যা হয়েছে আমার পীরের ওছিলায় আল্লাহ দয়া করেছেন”। মুরিদানদিগকে বিদায় দেওয়ার সময় বলতেন, “বাবা আমার পীরের কদমে সোপর্দ করে বিদায় দিলাম”। এমনি ভালবাসতেন তিনি আপন পীরকে, শয়নে স্বপনে জাগরনে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) আপন পীরের ওছিলা ছাড়া একটি বাক্যও উচ্চারণ করতেননা।

তথ্যঃমহা মোজাদ্দেদ হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) – (বইটি কিনতে ক্লিক করুন)

 

আরো পড়ুনঃ