ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোমিন বান্দার পরিচয়

  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৫০৮ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোমিন বান্দার পরিচয়

“এখানে মর্দে মোমেনদের পরিচয় প্রয়োজন। মোমেন আর মোসলমান এক কথা নয়। ঈমান আনার পর মোসলমান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করা যায়; মোমেন স্বীকৃতি পাইতে বহু কাঠ-খড়ি পোড়াইতে হয়, বহু ত্যাগ তিতিক্ষা ও সাধনার প্রয়োজন হয়। মোমেনের পরিচয় দানের ক্ষেত্রে রাসূলে পাক (সাঃ) বলেন, মোমেন হইল সেই ব্যক্তি-যাহার নামাজে মেরাজ” সিদ্ধ হয় ।

الصلوة معراج المؤمنين
অর্থাৎ-“নামাজ মোমেনের জন্য মেরাজ।”

একজন সাধকের কখন মেরাজ বা খোদাতায়ালার দীদার নছিব হয়? যে সকল সাধক কামালাতে বেলায়েত ও কামালাতে নবুয়তের মাকাম সমূহ তয় করিয়া হকিকতে এলাহিয়ায়” (হকিকতে কুরআন, হকিকতে কাবা, হকিকতে সালাত) উপনীত হইতে পারিয়াছেন; তিনি যখন নামাজে দন্ডায়মান হন, তাঁহার উপর হকিকতে কুরআন হইতে একটি নূরের ধারা, হকিকতে কাবা হইতে আর একটি নূরের ধারা এবং হকিকতে সালাত হইতে ভিন্ন একটি নূরের ধারা অবিরাম পড়িতে থাকে। সাধক বা নামাজী তখন নিজের সমগ্র অজুদ বা সত্তাকে হযরত মুসা (আঃ) এর নূর প্রজ্জলিত বৃক্ষের মত দেখিতে পান ।

হকিকতত্রয়ের নূর একত্রিত হইয়া বিশাল এক নূরের গম্বুজ তৈরী করে-যেই গম্বুজের মধ্যে তখন সাধক বিনীতভাবে বিগলিত প্রাণে সেজদা করেন। ইহাই মেরাজ। এই অবস্থাতে সাধক খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞানের পরিপূর্ণতা অর্জন করেন, যেমন মেরাজে দয়াল নবী (সাঃ) এর খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞান লাভ হইয়াছিল । এমন সাধকবর্গকে বলা হয় মোমেন। কাজেই মোমেনের মর্যাদা পাওয়া এত সহজ নয়। আর ঈমান আনিলেই মোমেন হওয়া যায় না। একমাত্র ওলীয়ে কামেলগণই যথার্থ মোমেন।”
-শাহসূফী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব

 

আরো পড়ুনঃ

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মোমিন বান্দার পরিচয়

আপডেট সময় : ০২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

মোমিন বান্দার পরিচয়

“এখানে মর্দে মোমেনদের পরিচয় প্রয়োজন। মোমেন আর মোসলমান এক কথা নয়। ঈমান আনার পর মোসলমান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করা যায়; মোমেন স্বীকৃতি পাইতে বহু কাঠ-খড়ি পোড়াইতে হয়, বহু ত্যাগ তিতিক্ষা ও সাধনার প্রয়োজন হয়। মোমেনের পরিচয় দানের ক্ষেত্রে রাসূলে পাক (সাঃ) বলেন, মোমেন হইল সেই ব্যক্তি-যাহার নামাজে মেরাজ” সিদ্ধ হয় ।

الصلوة معراج المؤمنين
অর্থাৎ-“নামাজ মোমেনের জন্য মেরাজ।”

একজন সাধকের কখন মেরাজ বা খোদাতায়ালার দীদার নছিব হয়? যে সকল সাধক কামালাতে বেলায়েত ও কামালাতে নবুয়তের মাকাম সমূহ তয় করিয়া হকিকতে এলাহিয়ায়” (হকিকতে কুরআন, হকিকতে কাবা, হকিকতে সালাত) উপনীত হইতে পারিয়াছেন; তিনি যখন নামাজে দন্ডায়মান হন, তাঁহার উপর হকিকতে কুরআন হইতে একটি নূরের ধারা, হকিকতে কাবা হইতে আর একটি নূরের ধারা এবং হকিকতে সালাত হইতে ভিন্ন একটি নূরের ধারা অবিরাম পড়িতে থাকে। সাধক বা নামাজী তখন নিজের সমগ্র অজুদ বা সত্তাকে হযরত মুসা (আঃ) এর নূর প্রজ্জলিত বৃক্ষের মত দেখিতে পান ।

হকিকতত্রয়ের নূর একত্রিত হইয়া বিশাল এক নূরের গম্বুজ তৈরী করে-যেই গম্বুজের মধ্যে তখন সাধক বিনীতভাবে বিগলিত প্রাণে সেজদা করেন। ইহাই মেরাজ। এই অবস্থাতে সাধক খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞানের পরিপূর্ণতা অর্জন করেন, যেমন মেরাজে দয়াল নবী (সাঃ) এর খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞান লাভ হইয়াছিল । এমন সাধকবর্গকে বলা হয় মোমেন। কাজেই মোমেনের মর্যাদা পাওয়া এত সহজ নয়। আর ঈমান আনিলেই মোমেন হওয়া যায় না। একমাত্র ওলীয়ে কামেলগণই যথার্থ মোমেন।”
-শাহসূফী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব

 

আরো পড়ুনঃ