ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেতার হুকুম মানা ফরজ

  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৫০১ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
“হে ঈমানদারগণ, আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূল (সা.) এর, আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যে যারা দায়িত্বশীল তাদের”। রাসূল (সা.) বলেন “তোমাদের মধ্যে যদি হাবশি গোলাম আমীর নির্বাচিত হয় তাহার মাথা যদি তালের আটির ন্যায় হয় তবুও তাহার আনুগত্য করো”।
রাসূল(সা.) বলেন “কঠিন অবস্থায় সহজ অবস্থায় সন্তষ্টিতে অসন্তষ্টিতে এবং তোমার উপর অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও তোমার কর্তব্য হচ্ছে নেতার নির্দেশ শুনা ও মানা” (আবু হুরায়রা- মুসলিম শরীফ)।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন “যেই ব্যক্তি আনুগত্যের হাত গুটিয়ে নেয় কিয়ামতের দিন সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় মিলিত হবে যে, তার পক্ষে কোন যুক্তি থাকবে না। আর যেই ব্যক্তি এইরূপ অবস্থায় মার যায় যে তার ঘারে আনুগত্যের বন্ধন নেই, তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু”। (সহীহ মুসলিম)
হাবসি গোলাম হলেও তার আনুগত্য করতে হবে : রাসূল (সা.) বলেন “আমি তোমাদের আল্লাহর ভয় করার ও নেতার কথা শোনার তার আনুগত্য করার নির্দেশ দিচ্ছি যদিও সে হাবসি গোলাম হয়”। (তিরমিজি শরীফ)
ইসলামী দলের নেতার আনুগত্য করা না করার মধ্যে জান্নাত বা জাহান্নাম নির্ধারিত, কিন্তু অইসলামী দলের আনুগত্যের মধ্যে জান্নাত বা জাহান্নাম নির্ধারিত নয়। ইসলামী দলের নেতার আনুগত্য করার জন্য মহান রব্বুল আল-আমিন নিজেই আদেশ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে রাসূল (সা.) বলেছেন “দায়িত্বশীল ব্যক্তির কথা শুনা ও মানা মুসলিম ব্যক্তির জন্য অবশ্য কতর্ব্য। সে হুকুম তার পছন্দ মত হোক বা না হোক, এ শর্তে যে তা যেন নাফারমানী কাজের জন্য না হয়, আর যখন আল্লাহর নাফারমানী জনক কোন কাজের জন্য আদেশ তাকে দেওয়া হবে তখন তা শুনা বা মানা যাবে না”(সহীহ বুখারী-মুসলিম) রাহে আমল ৭৬ পৃষ্ঠা।
আমীরের আনুগত্য রাসূল (সা.) এর আনুগত্য : “যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো, যে ব্যক্তি আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকেই অমান্য করলো। আর যেই ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো, যেই ব্যক্তি আমীরকে অমান্য করলো সে আমাকেই অমান্য করলো”। (সহীহ বুখারী)
‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মুসলমানদের উপর নেতার আদেশ শোনা ও মানা অপরিহার্য কর্তব্য। চাই সে আদেশ তার পছন্দনীয় হোক, আর অপছন্দনীয় হোক। (বুখারী ও মুসলিম)
উপরে উল্লেখিত পবিত্র আল কুরআন ও পবিত্র সহিহ হাদিস মোতাবেক, বিশ্বওলী হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপূরী (কু:ছে:আ:) ছাহেবের হাতে গড়া জাকের পার্টি ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা আমরণ জাকের পার্টির মহামান্য সর্বচ্চো নীতিনির্ধারক পীরজাদা আলহাজ খাজা মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেব, জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান পীরজাদা আলহাজ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেব, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান খাজা সাইফুল ইসলাম জামী মিয়া চাচাজান মুজাদ্দেদী ছাহেব ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান খাজা সায়েম আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেবের নেতৃত্বে প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য ও আস্থার প্রতিজ্ঞায় ওয়াদাবদ্ধ আছে। সকল প্রকার সাংগঠনিক ও দরবারিক নির্দেশাবলী মহামান্য খাজা মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেবের পক্ষ থেকে তিনার একমাত্র মুখপাত্র জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেবের মাধ্যমে জাকের পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা পেয়ে থাকেন এবং তা মাঠে বাস্তবায়ন করে থাকেন।
একই সাথে জাকের পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের নিজ নিজ সাংগঠনিক এলাকার সকল নেতৃবৃন্দের প্রতিও পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা পূর্ণাঙ্গ আস্থাশীল আছেন।
জাকের পার্টির সাংগঠনিক কর্মকান্ড অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে “চেইন অব কমান্ড” অনুসরণ করে প্রতিপালিত হয়। এ ক্ষেত্রে জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট থেকেই সকল প্রকার সাংগঠনিক ও দরবারিক নির্দেশ সমূহ পার্টির সর্বস্তরে বিস্তার লাভ করে। জাকের পার্টির এই অত্যন্ত সুশৃঙ্খল চেইন অব কমান্ডের বাইরে অন্য কারো কোন প্রকার নির্দেশ বা সংগঠনের নীতি বিরোধী কোন কর্মকান্ডে পার্টির কোন সদস্যরা মানতে বাধ্য নয়।
আল্লাহ আমাদের যথাযথ ভাবে জাকের পার্টির নেতার আনুগত্য করার তাওফিক দান করুন।
Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

নেতার হুকুম মানা ফরজ

আপডেট সময় : ১২:২৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
“হে ঈমানদারগণ, আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূল (সা.) এর, আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যে যারা দায়িত্বশীল তাদের”। রাসূল (সা.) বলেন “তোমাদের মধ্যে যদি হাবশি গোলাম আমীর নির্বাচিত হয় তাহার মাথা যদি তালের আটির ন্যায় হয় তবুও তাহার আনুগত্য করো”।
রাসূল(সা.) বলেন “কঠিন অবস্থায় সহজ অবস্থায় সন্তষ্টিতে অসন্তষ্টিতে এবং তোমার উপর অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও তোমার কর্তব্য হচ্ছে নেতার নির্দেশ শুনা ও মানা” (আবু হুরায়রা- মুসলিম শরীফ)।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন “যেই ব্যক্তি আনুগত্যের হাত গুটিয়ে নেয় কিয়ামতের দিন সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় মিলিত হবে যে, তার পক্ষে কোন যুক্তি থাকবে না। আর যেই ব্যক্তি এইরূপ অবস্থায় মার যায় যে তার ঘারে আনুগত্যের বন্ধন নেই, তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু”। (সহীহ মুসলিম)
হাবসি গোলাম হলেও তার আনুগত্য করতে হবে : রাসূল (সা.) বলেন “আমি তোমাদের আল্লাহর ভয় করার ও নেতার কথা শোনার তার আনুগত্য করার নির্দেশ দিচ্ছি যদিও সে হাবসি গোলাম হয়”। (তিরমিজি শরীফ)
ইসলামী দলের নেতার আনুগত্য করা না করার মধ্যে জান্নাত বা জাহান্নাম নির্ধারিত, কিন্তু অইসলামী দলের আনুগত্যের মধ্যে জান্নাত বা জাহান্নাম নির্ধারিত নয়। ইসলামী দলের নেতার আনুগত্য করার জন্য মহান রব্বুল আল-আমিন নিজেই আদেশ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে রাসূল (সা.) বলেছেন “দায়িত্বশীল ব্যক্তির কথা শুনা ও মানা মুসলিম ব্যক্তির জন্য অবশ্য কতর্ব্য। সে হুকুম তার পছন্দ মত হোক বা না হোক, এ শর্তে যে তা যেন নাফারমানী কাজের জন্য না হয়, আর যখন আল্লাহর নাফারমানী জনক কোন কাজের জন্য আদেশ তাকে দেওয়া হবে তখন তা শুনা বা মানা যাবে না”(সহীহ বুখারী-মুসলিম) রাহে আমল ৭৬ পৃষ্ঠা।
আমীরের আনুগত্য রাসূল (সা.) এর আনুগত্য : “যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো, যে ব্যক্তি আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকেই অমান্য করলো। আর যেই ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো, যেই ব্যক্তি আমীরকে অমান্য করলো সে আমাকেই অমান্য করলো”। (সহীহ বুখারী)
‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মুসলমানদের উপর নেতার আদেশ শোনা ও মানা অপরিহার্য কর্তব্য। চাই সে আদেশ তার পছন্দনীয় হোক, আর অপছন্দনীয় হোক। (বুখারী ও মুসলিম)
উপরে উল্লেখিত পবিত্র আল কুরআন ও পবিত্র সহিহ হাদিস মোতাবেক, বিশ্বওলী হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপূরী (কু:ছে:আ:) ছাহেবের হাতে গড়া জাকের পার্টি ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা আমরণ জাকের পার্টির মহামান্য সর্বচ্চো নীতিনির্ধারক পীরজাদা আলহাজ খাজা মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেব, জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান পীরজাদা আলহাজ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেব, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান খাজা সাইফুল ইসলাম জামী মিয়া চাচাজান মুজাদ্দেদী ছাহেব ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান খাজা সায়েম আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেবের নেতৃত্বে প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য ও আস্থার প্রতিজ্ঞায় ওয়াদাবদ্ধ আছে। সকল প্রকার সাংগঠনিক ও দরবারিক নির্দেশাবলী মহামান্য খাজা মিয়া ভাইজান মুজাদ্দেদী ছাহেবের পক্ষ থেকে তিনার একমাত্র মুখপাত্র জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেবের মাধ্যমে জাকের পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা পেয়ে থাকেন এবং তা মাঠে বাস্তবায়ন করে থাকেন।
একই সাথে জাকের পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের নিজ নিজ সাংগঠনিক এলাকার সকল নেতৃবৃন্দের প্রতিও পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা পূর্ণাঙ্গ আস্থাশীল আছেন।
জাকের পার্টির সাংগঠনিক কর্মকান্ড অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে “চেইন অব কমান্ড” অনুসরণ করে প্রতিপালিত হয়। এ ক্ষেত্রে জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট থেকেই সকল প্রকার সাংগঠনিক ও দরবারিক নির্দেশ সমূহ পার্টির সর্বস্তরে বিস্তার লাভ করে। জাকের পার্টির এই অত্যন্ত সুশৃঙ্খল চেইন অব কমান্ডের বাইরে অন্য কারো কোন প্রকার নির্দেশ বা সংগঠনের নীতি বিরোধী কোন কর্মকান্ডে পার্টির কোন সদস্যরা মানতে বাধ্য নয়।
আল্লাহ আমাদের যথাযথ ভাবে জাকের পার্টির নেতার আনুগত্য করার তাওফিক দান করুন।

আরো পড়ুনঃ