ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওছিলা ধরিবার নিয়ম

  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে বিশ্বওলী হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত।

ওছিলা ধরিবার নিয়মঃ

প্রথমে আপন আপন চক্ষুদ্বয়কে বন্ধ করিবে। খেয়ালকে সবদিক হইতে ঘুরাইয়া এককালীন দেল দরিয়ায় ডুবাইবে এবং আল্লাহতায়ালাকে অনুসন্ধান করিবে। আল্লাহপাক বলেন,
” ওয়া ফি আন ফুছেকুম আফালা তুবছেরুন”-
আমার নিদর্শনতাে তােমাদের মধ্যেই আছে, তােমরা দেখ না কেন? (সূরা জারিয়াতঃ ২১)

খােদাতায়ালার নিদর্শন দেখিবার জন্য দেল দরিয়ায় ডুব দিবে। কিন্তু অছিলা ব্যতীত একা একা কম্মিনকালেও দেল সমুদ্রে খেয়ালকে ডুবাইতে পারিবে না। এখানে প্রয়ােজন ওছিলা বা মাধ্যমের।

আল্লাহপাক তদীয় কালামপাকে বলেন, “হে ঈমানদার বান্দা সকল! তােমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাহাকে পাওয়ার জন্য অছিলা অন্বেষণ কর।”
(সূরা মায়েদাঃ ৩৫)

সেই ওছিলাই জামানার কামেল অলীসকল। বর্তমান জামানার শ্রেষ্ঠতম অছিলা, আরেফে কামেল, মাের্শেদে মােকাম্মেল, হযরত খাজাবাবা এনায়েতপুরী (কুঃ) ছাহেব- যিনির পাক আত্নার তাওয়াজ্জুহ বলেতে লক্ষ লক্ষ মুর্দা দেল জেন্দা হইতেছে। আল্লাহর তাজাল্লীতে দেল রৌশন হইতেছে, সেই সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে এবং আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সাথে তেনার পাক দেলে দেল মিশাইবে। যদি এক মুহূর্ত সেই পাক দেলের সাথে তােমার নাপাক দেল মিশাইতে পার, তবে তােমার দেলে গওহর পয়দা হইবে, গােলাপ ফুলের মত ফুটিয়া, মুর্দা দেল জেন্দা হইবে। দেল ১৪ই রাত্রির পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জল হইবে। দেলে আল্লাহ আল্লাহ জেকের জারী হইবে। কখনও আর এই জেকের বন্ধ হইবে না।

কাজেই খেয়ালকে দেল সমুদ্রে ডুবাইয়া দেলের হাতে সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে এবং তাহার পাক দেলের সহিত তোমার নাপাক দেল মিশাইবে। খেয়াল করিবে, শরীয়তের পর্দার অন্তরালে আফজালে জামানিয়া, কুতুবে জামান, মারহুমা, মাগফুরা হযরত জোহরা খাতুন (রঃ) ছাহেবা, যাহার দোয়ার বরকতে আল্লাহর তরফ হইতে তাঈদ ও মদদ আসিয়া আশেকানদের দেলে পড়িতেছে।
খেয়াল করিবে, কুতুবুল এরশাদ হযরত শাহসূফী সৈয়দ ওয়াজেদ আলী (রঃ) ছাহেব- তাঁহার কদম মােবারক জড়াইয়া ধরিবে ও আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সাথে তাঁহার পাক দেলে দেল মিশাইবে।

তারপর খেয়াল করিবে, হযরত শাহসূফী সৈয়দ ফতেহ আলী (রঃ) ছাহেব, যিনির অংগুলীর ইশারায় নদীর পানি উজান দিকে প্রবাহিত হইত-সেই সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে; আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সংগে তাঁহার পাক দেলে দেল মিশাইবে।
তারপর খেয়ালে খেয়ালে যাইবে সেরহিন্দ শরীফ- যেখানে তরিকার ইমাম, কাইয়্যুমে জামানী, মাহবুবে সােবহানী, মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেব- যিনি তামাম জেন্দেগী উম্মতে মােহাম্মদীর বেদনায় আহার নিদ্রা ত্যাগ পূর্বক হু-হু করিয়া কাঁদিয়াছেন- সেই সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে এবং আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সংগে তাঁহার পাক দেলে দেল মিশাইবে।

তারপর খেয়ালে খেয়ালে যাইবে সেই সােনার মদিনায়- যেখানে পাপীদের কান্ডারী, গুনাহগারের দরদী, শাফিউল মুজনেবীন, দ্বীন-দুনিয়ার রহমত, রাহমাতুল্লিল আ’লামিন দয়াল নবীজী (সাঃ) যিনি সারাটি জীবন উম্মতের ব্যাথায় আহার-নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া, পেটেতে পাথর বাঁধিয়া দিবা-নিশি কাঁদিতেন; এখনও যিনি মদিনার রওজা পাকে শুইয়া উম্মতের চিন্তায় চোখের পানিতে রওজার মাটি ভিজাইতেছেন- সেই দয়াল নবীজীকে মদিনার অলিতে গলিতে, রাস্তা-ঘাটে, পাহাড়ে-পর্বতে, গুহায়-গহবরে, রওজা পাকে খুঁজিবে এবং বুকফাটা মহব্বতের সাথে কয়েকবার “ইয়া রাহমাতাল্লিল আ’লামীন বলিয়া ডাকিবে। দয়াল নবীজীর দুই খানা জুতা মােবারক অছিলা করিবে। একখানা জুতা মােবারক দেল কলিজায় ভরিবে। আর এক খানা জুতা মােবারক দেলের মাথায় টুপী দিবে। তারপর সুসজ্জিত দেল লইয়া আল্লাহতায়ালার রহমতের দরজায় ধর্ণা দিবে, দেলের ঝুলি পাতিবে এবং আল্লাহতায়ালার রহমতের ফয়েজের উমেদার হইয়া মহান খােদাতায়ালাকে বিনীতভাবে নিবেদিত প্রাণে “ইয়া আল্লাহু, ইয়া রাহমানু, ইয়া রাহিম” বলিয়া ডাকিবে। এরপর রহমতের ফয়েজ খেয়াল করিবার নিয়ম।

গ্রন্থসূত্রঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচলানা-পদ্ধতি।
পৃষ্ঠা নং- ২৭,২৮ ও ২৯ ।

 

আরো পড়ুনঃ

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

ওছিলা ধরিবার নিয়ম

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে বিশ্বওলী হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত।

ওছিলা ধরিবার নিয়মঃ

প্রথমে আপন আপন চক্ষুদ্বয়কে বন্ধ করিবে। খেয়ালকে সবদিক হইতে ঘুরাইয়া এককালীন দেল দরিয়ায় ডুবাইবে এবং আল্লাহতায়ালাকে অনুসন্ধান করিবে। আল্লাহপাক বলেন,
” ওয়া ফি আন ফুছেকুম আফালা তুবছেরুন”-
আমার নিদর্শনতাে তােমাদের মধ্যেই আছে, তােমরা দেখ না কেন? (সূরা জারিয়াতঃ ২১)

খােদাতায়ালার নিদর্শন দেখিবার জন্য দেল দরিয়ায় ডুব দিবে। কিন্তু অছিলা ব্যতীত একা একা কম্মিনকালেও দেল সমুদ্রে খেয়ালকে ডুবাইতে পারিবে না। এখানে প্রয়ােজন ওছিলা বা মাধ্যমের।

আল্লাহপাক তদীয় কালামপাকে বলেন, “হে ঈমানদার বান্দা সকল! তােমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাহাকে পাওয়ার জন্য অছিলা অন্বেষণ কর।”
(সূরা মায়েদাঃ ৩৫)

সেই ওছিলাই জামানার কামেল অলীসকল। বর্তমান জামানার শ্রেষ্ঠতম অছিলা, আরেফে কামেল, মাের্শেদে মােকাম্মেল, হযরত খাজাবাবা এনায়েতপুরী (কুঃ) ছাহেব- যিনির পাক আত্নার তাওয়াজ্জুহ বলেতে লক্ষ লক্ষ মুর্দা দেল জেন্দা হইতেছে। আল্লাহর তাজাল্লীতে দেল রৌশন হইতেছে, সেই সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে এবং আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সাথে তেনার পাক দেলে দেল মিশাইবে। যদি এক মুহূর্ত সেই পাক দেলের সাথে তােমার নাপাক দেল মিশাইতে পার, তবে তােমার দেলে গওহর পয়দা হইবে, গােলাপ ফুলের মত ফুটিয়া, মুর্দা দেল জেন্দা হইবে। দেল ১৪ই রাত্রির পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জল হইবে। দেলে আল্লাহ আল্লাহ জেকের জারী হইবে। কখনও আর এই জেকের বন্ধ হইবে না।

কাজেই খেয়ালকে দেল সমুদ্রে ডুবাইয়া দেলের হাতে সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে এবং তাহার পাক দেলের সহিত তোমার নাপাক দেল মিশাইবে। খেয়াল করিবে, শরীয়তের পর্দার অন্তরালে আফজালে জামানিয়া, কুতুবে জামান, মারহুমা, মাগফুরা হযরত জোহরা খাতুন (রঃ) ছাহেবা, যাহার দোয়ার বরকতে আল্লাহর তরফ হইতে তাঈদ ও মদদ আসিয়া আশেকানদের দেলে পড়িতেছে।
খেয়াল করিবে, কুতুবুল এরশাদ হযরত শাহসূফী সৈয়দ ওয়াজেদ আলী (রঃ) ছাহেব- তাঁহার কদম মােবারক জড়াইয়া ধরিবে ও আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সাথে তাঁহার পাক দেলে দেল মিশাইবে।

তারপর খেয়াল করিবে, হযরত শাহসূফী সৈয়দ ফতেহ আলী (রঃ) ছাহেব, যিনির অংগুলীর ইশারায় নদীর পানি উজান দিকে প্রবাহিত হইত-সেই সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে; আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সংগে তাঁহার পাক দেলে দেল মিশাইবে।
তারপর খেয়ালে খেয়ালে যাইবে সেরহিন্দ শরীফ- যেখানে তরিকার ইমাম, কাইয়্যুমে জামানী, মাহবুবে সােবহানী, মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেব- যিনি তামাম জেন্দেগী উম্মতে মােহাম্মদীর বেদনায় আহার নিদ্রা ত্যাগ পূর্বক হু-হু করিয়া কাঁদিয়াছেন- সেই সত্য জেন্দা পীরের পাক কদম জড়াইয়া ধরিবে এবং আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সংগে তাঁহার পাক দেলে দেল মিশাইবে।

তারপর খেয়ালে খেয়ালে যাইবে সেই সােনার মদিনায়- যেখানে পাপীদের কান্ডারী, গুনাহগারের দরদী, শাফিউল মুজনেবীন, দ্বীন-দুনিয়ার রহমত, রাহমাতুল্লিল আ’লামিন দয়াল নবীজী (সাঃ) যিনি সারাটি জীবন উম্মতের ব্যাথায় আহার-নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া, পেটেতে পাথর বাঁধিয়া দিবা-নিশি কাঁদিতেন; এখনও যিনি মদিনার রওজা পাকে শুইয়া উম্মতের চিন্তায় চোখের পানিতে রওজার মাটি ভিজাইতেছেন- সেই দয়াল নবীজীকে মদিনার অলিতে গলিতে, রাস্তা-ঘাটে, পাহাড়ে-পর্বতে, গুহায়-গহবরে, রওজা পাকে খুঁজিবে এবং বুকফাটা মহব্বতের সাথে কয়েকবার “ইয়া রাহমাতাল্লিল আ’লামীন বলিয়া ডাকিবে। দয়াল নবীজীর দুই খানা জুতা মােবারক অছিলা করিবে। একখানা জুতা মােবারক দেল কলিজায় ভরিবে। আর এক খানা জুতা মােবারক দেলের মাথায় টুপী দিবে। তারপর সুসজ্জিত দেল লইয়া আল্লাহতায়ালার রহমতের দরজায় ধর্ণা দিবে, দেলের ঝুলি পাতিবে এবং আল্লাহতায়ালার রহমতের ফয়েজের উমেদার হইয়া মহান খােদাতায়ালাকে বিনীতভাবে নিবেদিত প্রাণে “ইয়া আল্লাহু, ইয়া রাহমানু, ইয়া রাহিম” বলিয়া ডাকিবে। এরপর রহমতের ফয়েজ খেয়াল করিবার নিয়ম।

গ্রন্থসূত্রঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচলানা-পদ্ধতি।
পৃষ্ঠা নং- ২৭,২৮ ও ২৯ ।

 

আরো পড়ুনঃ