ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসরের নামাজ ও তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ

  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৫১২ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে বিশ্বওলী হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত।

আসরের নামাজ ও তওবা কবুলিয়তের ফয়েজঃ

খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহতায়ালাকে হাজের নাজের ওয়াহেদ জানিয়া হুজুরে কালবে আসরের নামাজ আদায়ান্তে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ খেয়াল করিবে।

এই আসরের নামাজের সময়েই আল্লাহপাক হযরত আদম (আঃ) এর তওবা কবুল করিয়াছিলেন এবং মাগরিবের সময়ে বাবা হযরত আদম (আঃ) তাহার তওবা কবুলিয়তের সংবাদ পাইয়াছিলেন। তাই আসর হইতে মাগরিব নামাজের সময় পর্যন্ত তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ ওয়ারেদ হয়। এখনও হজ্বের সময়ে হাজীরা আরাফাতের মাঠে জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করিয়া নামাজ শেষে তওবা করেন।

কাজেই তােমরা আসর নামাজ শেষ করিয়া আপন আপন চক্ষুদ্বয় বন্ধ করিয়া খাজাবাবার পাক দেলের সহিত দেল মিশাইয়া অন্যান্য পীরানে পীরদের দেলের ওছিলা ধরিয়া ও রাসুলে করীম (সাঃ) এর দেলের ওছিলা লইয়া নিজ দেলকে জাতপাকের দিকে মােতাওয়াজ্জুহ করিবে।

ওছিলা ধরিবার নিয়ম

অতঃপর খেয়াল করিবেঃ হকিকতে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ জাত পাক হইয়া দয়াল নবী রাসূলে করীম (সাঃ) এর পাক দেল হইয়া পীরানে পীরদের দেলের ওছিলায় আমার হযরত দয়াল পীরের পাক দেল হইয়া আমার দেলে আসিতেছে। দেলের জাহের বাতেন, ছফিদায়ে কালব, ৭০ হাজর পদার অন্তরাল গােনাহের পাহাড়, গােনাহের তাছির, গােনাহের অন্ধকার, গােনাহের যুলমত, গােনাহ করিবার হাউস সবই তওবার ফয়েজের আগুনে পুড়িয়া ছাই হইয়া নাই হইয়া গেল, দেল সাফ হইয়া গেল। এই সাফ দেলের ঝুলা তওবা কবুলিয়তের মােকামে পাতিবে। খেয়াল করিবে, মাথার চান্দি বরাবর সপ্তম আসমানের উপরে আরশে আজিম। আরশে আজিমের উপর তওবা কবুলিয়তের মােকাম। সেই মােকামে দেলের ঝুলা রাখিয়া কয়েকবার বিনীতভাবে অনুতপ্ত হৃদয়ে নিম্নলিখিত তওবা করিবে।

তওবাঃ আসতাগফেরুল্লাহে রাব্বী মিনকুল্লে জাম্বেও ওয়াতুবু এলাইহে।

এরপর মাগরিবের নামাজ ও পাঁচ প্রকারের ফায়েজ।

গ্রন্থসূত্রঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতি।
পৃষ্ঠা নং- ৪৪ ও ৪৫

 

আরো পড়ুনঃ

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আসরের নামাজ ও তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ

আপডেট সময় : ১২:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে বিশ্বওলী হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত।

আসরের নামাজ ও তওবা কবুলিয়তের ফয়েজঃ

খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহতায়ালাকে হাজের নাজের ওয়াহেদ জানিয়া হুজুরে কালবে আসরের নামাজ আদায়ান্তে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ খেয়াল করিবে।

এই আসরের নামাজের সময়েই আল্লাহপাক হযরত আদম (আঃ) এর তওবা কবুল করিয়াছিলেন এবং মাগরিবের সময়ে বাবা হযরত আদম (আঃ) তাহার তওবা কবুলিয়তের সংবাদ পাইয়াছিলেন। তাই আসর হইতে মাগরিব নামাজের সময় পর্যন্ত তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ ওয়ারেদ হয়। এখনও হজ্বের সময়ে হাজীরা আরাফাতের মাঠে জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করিয়া নামাজ শেষে তওবা করেন।

কাজেই তােমরা আসর নামাজ শেষ করিয়া আপন আপন চক্ষুদ্বয় বন্ধ করিয়া খাজাবাবার পাক দেলের সহিত দেল মিশাইয়া অন্যান্য পীরানে পীরদের দেলের ওছিলা ধরিয়া ও রাসুলে করীম (সাঃ) এর দেলের ওছিলা লইয়া নিজ দেলকে জাতপাকের দিকে মােতাওয়াজ্জুহ করিবে।

ওছিলা ধরিবার নিয়ম

অতঃপর খেয়াল করিবেঃ হকিকতে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ জাত পাক হইয়া দয়াল নবী রাসূলে করীম (সাঃ) এর পাক দেল হইয়া পীরানে পীরদের দেলের ওছিলায় আমার হযরত দয়াল পীরের পাক দেল হইয়া আমার দেলে আসিতেছে। দেলের জাহের বাতেন, ছফিদায়ে কালব, ৭০ হাজর পদার অন্তরাল গােনাহের পাহাড়, গােনাহের তাছির, গােনাহের অন্ধকার, গােনাহের যুলমত, গােনাহ করিবার হাউস সবই তওবার ফয়েজের আগুনে পুড়িয়া ছাই হইয়া নাই হইয়া গেল, দেল সাফ হইয়া গেল। এই সাফ দেলের ঝুলা তওবা কবুলিয়তের মােকামে পাতিবে। খেয়াল করিবে, মাথার চান্দি বরাবর সপ্তম আসমানের উপরে আরশে আজিম। আরশে আজিমের উপর তওবা কবুলিয়তের মােকাম। সেই মােকামে দেলের ঝুলা রাখিয়া কয়েকবার বিনীতভাবে অনুতপ্ত হৃদয়ে নিম্নলিখিত তওবা করিবে।

তওবাঃ আসতাগফেরুল্লাহে রাব্বী মিনকুল্লে জাম্বেও ওয়াতুবু এলাইহে।

এরপর মাগরিবের নামাজ ও পাঁচ প্রকারের ফায়েজ।

গ্রন্থসূত্রঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতি।
পৃষ্ঠা নং- ৪৪ ও ৪৫

 

আরো পড়ুনঃ