ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসূল (সাঃ) এর যে নামাজ আল্লাহ্‌র কাছে অধিক পছন্দ

  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

রাসূল (সাঃ) এর যে নামাজ আল্লাহ্‌র কাছে অধিক পছন্দ

Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাসূল (সাঃ) একদিন মসজিদ এ নববীতে আসরের নামাজ পড়াচ্ছিলেন ।
নবীজী (সাঃ) যখন সেজদায় গেলেন , হঠাৎই হযরত ইমাম হোসেন (আঃ) তাঁর প্রিয় নানাজীর (সাঃ) পিঠের উপর উঠে বসে পড়লেন ।
ছোট্ট নাতি খেলার ছলে নানার পিঠে উঠে পড়েছে ।

সেজদাকালীন সময় মহানবী (সাঃ) নাতি হোসেনকে (আঃ) পিঠ থেকে নামাতেও পারছেন না । পাছে পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে নাতি যদি ব্যাথ্যা পায় ! কেননা ছোট্ট দুই নাতি ইমাম হাসান (আঃ) ও ইমাম হোসেনকে (আঃ) মহানবী (সাঃ) প্রচন্ড মহব্বত করতেন । তাঁদেরকে কেউ কষ্ট দিলে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অন্তরে খুব ব্যাথ্যা পেতেন। এদিকে নাতিও পিঠ থেকে নামছেন না ।

মহানবীর (সাঃ) সেজদাও প্রলম্বিত হচ্ছে । সেজদা এতটাই দীর্ঘায়ীত হচ্ছিল যে , অনেক সাহাবী তখন নিজ সেজদা থেকে মাথা খানিক উঁচু করে দেখছিল যে , এরকম অস্বাভাবিক দেরী হচ্ছে কেন ? যারাই মাথা তুলছিলেন তারাই দেখছিলেন যে , এক নূরের উপরে আরেক ছোট্ট নূর সওয়ারী হয়েছে । তৎক্ষনাত তারা পুনরায় সেজদাতে চলে গেলেন যতক্ষন নবীজী (সাঃ) নিজে সেজদা থেকে না উঠছেন । ইতিহাস বলে যে , প্রায় সত্তর বার মহানবী (সাঃ) “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলেছিলেন ।

এক পর্যায় রাসুল (সাঃ) সেজদা থেকে ওঠার জন্য মনস্থ করলেন । ঠিক তখনই জীবরাইল (আঃ) হাজির হয়ে বললেন , “ইয়া রাসুল (সাঃ)! দয়া করে ততক্ষন পর্যন্ত আপনি সেজদা থেকে মাথা উঠাবেন না যতক্ষন ইমাম হোসেন (আঃ) আপন ইচ্ছায় আপনার পিঠ থেকে নেমে না পড়েন । কারন এই দৃশ্যটি মহান আল্লাহর খুব পছন্দ হয়েছে । শুধু আল্লাহ নিজে নন , আরশে আজীমে যারাই আছেন এমনকি সকল ফেরেশতাগনও এই দৃশ্যটি দেখছেন।

লেখকঃ সুজন শাহজী 

আরো পড়ুনঃ

 

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

রাসূল (সাঃ) এর যে নামাজ আল্লাহ্‌র কাছে অধিক পছন্দ

আপডেট সময় : ১০:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাসূল (সাঃ) একদিন মসজিদ এ নববীতে আসরের নামাজ পড়াচ্ছিলেন ।
নবীজী (সাঃ) যখন সেজদায় গেলেন , হঠাৎই হযরত ইমাম হোসেন (আঃ) তাঁর প্রিয় নানাজীর (সাঃ) পিঠের উপর উঠে বসে পড়লেন ।
ছোট্ট নাতি খেলার ছলে নানার পিঠে উঠে পড়েছে ।

সেজদাকালীন সময় মহানবী (সাঃ) নাতি হোসেনকে (আঃ) পিঠ থেকে নামাতেও পারছেন না । পাছে পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে নাতি যদি ব্যাথ্যা পায় ! কেননা ছোট্ট দুই নাতি ইমাম হাসান (আঃ) ও ইমাম হোসেনকে (আঃ) মহানবী (সাঃ) প্রচন্ড মহব্বত করতেন । তাঁদেরকে কেউ কষ্ট দিলে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অন্তরে খুব ব্যাথ্যা পেতেন। এদিকে নাতিও পিঠ থেকে নামছেন না ।

মহানবীর (সাঃ) সেজদাও প্রলম্বিত হচ্ছে । সেজদা এতটাই দীর্ঘায়ীত হচ্ছিল যে , অনেক সাহাবী তখন নিজ সেজদা থেকে মাথা খানিক উঁচু করে দেখছিল যে , এরকম অস্বাভাবিক দেরী হচ্ছে কেন ? যারাই মাথা তুলছিলেন তারাই দেখছিলেন যে , এক নূরের উপরে আরেক ছোট্ট নূর সওয়ারী হয়েছে । তৎক্ষনাত তারা পুনরায় সেজদাতে চলে গেলেন যতক্ষন নবীজী (সাঃ) নিজে সেজদা থেকে না উঠছেন । ইতিহাস বলে যে , প্রায় সত্তর বার মহানবী (সাঃ) “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলেছিলেন ।

এক পর্যায় রাসুল (সাঃ) সেজদা থেকে ওঠার জন্য মনস্থ করলেন । ঠিক তখনই জীবরাইল (আঃ) হাজির হয়ে বললেন , “ইয়া রাসুল (সাঃ)! দয়া করে ততক্ষন পর্যন্ত আপনি সেজদা থেকে মাথা উঠাবেন না যতক্ষন ইমাম হোসেন (আঃ) আপন ইচ্ছায় আপনার পিঠ থেকে নেমে না পড়েন । কারন এই দৃশ্যটি মহান আল্লাহর খুব পছন্দ হয়েছে । শুধু আল্লাহ নিজে নন , আরশে আজীমে যারাই আছেন এমনকি সকল ফেরেশতাগনও এই দৃশ্যটি দেখছেন।

লেখকঃ সুজন শাহজী 

আরো পড়ুনঃ