ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহসূফি খাজা ফরিদপুরী (কুঃ) ছাহেবের নসিহতের আলোকে

লাইলাতুল কদর কি?

Sheikh Alhaz Uddin
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৪৮৩ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লাইলাতুন’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান ও মাহাত্ম্য। ‘লাইলাতুল কদর’ অর্থ সম্মানিত বা মহিমান্বিত রাত। ‘কদর’ শব্দের আর এক অর্থ ‘তকদীর’। কদর রজনীতে পরবর্তী এক বছরের নির্ধারিত বিধিলিপি ফেরেশতাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। সেই বিধিলিপিতে প্রত্যেক মানুষের জন্ম, বয়স, মৃত্যু, রিযিক ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। উল্লিখিত বিধান প্রয়োগের জন্য চারজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন। তাহারা হইলেন হযরত ইসরাফীল (আঃ), হযরত মীকাঈল (আঃ), হযরত আফ্রাইল (আঃ) ও হযরত জিব্রাইল (আঃ)।

 

এখানে উল্লেখ্য, লাইলাতুল বরাতেও তকদীর (পরবর্তী এক বছরের) লিপিবদ্ধ হয়; আবার লাইলাতুল কদরেও লিপিবদ্ধ হয়-দুইয়ের মধ্যে তফাৎ কি? মূলতঃ তকদীর সংক্রান্ত বিষয়াদির প্রাথমিক ফায়সালা হয় লাইলাতুল বরাতে এবং আল্লাহপাক তাহা নিজের কাছে সংরক্ষিত রাখেন। তকদীরের বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ হয় লাইলাতুল কদরে যাহা এই রাত্রিতে ফেরেশতাদের নিকট সোপর্দ করা হয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ছাহেব বলেন, “আল্লাহতায়ালা সারা বছরের তকদীর সংক্রান্ত ফায়সালা শবে বরাতে সম্পন্ন করেন, অতঃপর শবে কদরে এইসব ফায়সালা সংশ্লিষ্ট ফেরেশতাদের নিকট সোপর্দ করেন।” (মাযহারী)

 

আরো পড়ুনঃ 

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

শাহসূফি খাজা ফরিদপুরী (কুঃ) ছাহেবের নসিহতের আলোকে

লাইলাতুল কদর কি?

আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

লাইলাতুন’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান ও মাহাত্ম্য। ‘লাইলাতুল কদর’ অর্থ সম্মানিত বা মহিমান্বিত রাত। ‘কদর’ শব্দের আর এক অর্থ ‘তকদীর’। কদর রজনীতে পরবর্তী এক বছরের নির্ধারিত বিধিলিপি ফেরেশতাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। সেই বিধিলিপিতে প্রত্যেক মানুষের জন্ম, বয়স, মৃত্যু, রিযিক ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। উল্লিখিত বিধান প্রয়োগের জন্য চারজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন। তাহারা হইলেন হযরত ইসরাফীল (আঃ), হযরত মীকাঈল (আঃ), হযরত আফ্রাইল (আঃ) ও হযরত জিব্রাইল (আঃ)।

 

এখানে উল্লেখ্য, লাইলাতুল বরাতেও তকদীর (পরবর্তী এক বছরের) লিপিবদ্ধ হয়; আবার লাইলাতুল কদরেও লিপিবদ্ধ হয়-দুইয়ের মধ্যে তফাৎ কি? মূলতঃ তকদীর সংক্রান্ত বিষয়াদির প্রাথমিক ফায়সালা হয় লাইলাতুল বরাতে এবং আল্লাহপাক তাহা নিজের কাছে সংরক্ষিত রাখেন। তকদীরের বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ হয় লাইলাতুল কদরে যাহা এই রাত্রিতে ফেরেশতাদের নিকট সোপর্দ করা হয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ছাহেব বলেন, “আল্লাহতায়ালা সারা বছরের তকদীর সংক্রান্ত ফায়সালা শবে বরাতে সম্পন্ন করেন, অতঃপর শবে কদরে এইসব ফায়সালা সংশ্লিষ্ট ফেরেশতাদের নিকট সোপর্দ করেন।” (মাযহারী)

 

আরো পড়ুনঃ