ইমাম মেহদী (আ.) এর আবির্ভাব ও জাকের পার্টির গুরুত্ব

- আপডেট সময় : ০৫:১৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
- / ২৪২১ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান যুগকে অনেকে “নব্য অন্ধকার যুগ” বলে অভিহিত করছেন, যেখানে সত্য ও ন্যায়ের বিপরীতে অন্যায়, ফিতনা ও বিভ্রান্তি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামের প্রকৃত আদর্শ থেকে বিচ্যুতি, অনৈতিকতা, ও নৈতিক অবক্ষয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কঠিন সময়ে যদি কেউ মুক্তি ও সঠিক পথ খুঁজে পেতে চায়, তবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আদর্শের অনুসরণ করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
হযরত খাজা এনায়েতপুরী (রহ.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, বর্তমান জামানায় মহানবী (সাঃ)-এর সম্পূর্ণ ও খাঁটি আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য হযরত ইমাম মেহদী (আঃ) আল্লাহতায়ালার ইঙ্গিতে আবির্ভূত হবেন। ইসলামের বিভিন্ন প্রামাণ্য হাদিস ও ওলিদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ইমাম মেহদী (আঃ) একটি ন্যায়ভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করবেন, যেখানে অন্যায়, জুলুম ও বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে।
ইমাম মেহদী (আঃ)-এর আবির্ভাব ও সত্য তরিকায় প্রতিষ্ঠা
বিশ্বজুড়ে অন্যায় ও নৈতিক অবক্ষয়ের মধ্যেই হযরত মুজাদ্দেদ আলফেসানি (রহ.)-এর সত্য তরিকায় ইমাম মেহদী (আঃ)-এর আবির্ভাব হবে। ইসলামের ইতিহাসে মুজাদ্দেদগণ বিভিন্ন যুগে দ্বীনকে নবজীবন দিয়েছেন, আর ইমাম মেহদী (আঃ) হবেন চূড়ান্ত নবজাগরণের প্রতীক। তিনি ইসলামের প্রকৃত রূপ পুনরুদ্ধার করবেন, আল্লাহতায়ালার হুকুম প্রতিষ্ঠা করবেন এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করবেন।
আরো পড়ুন:জাকের পার্টি: ওলি আল্লাহ তৈরির একটি দল?
জাকের পার্টি ও পীর কেবলাজান হুজুরের ভূমিকা
বর্তমান সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ের মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দয়াল পীর কেবলাজানের আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি। পীর কেবলাজান ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য জাকের পার্টির পতাকা তলে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
জাকের পার্টি এমন একটি আদর্শিক সংগঠন, যা মহানবী (সাঃ)-এর সত্যিকারের আদর্শ প্রচারে নিবেদিত। ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এটি কাজ করে এবং সাধারণ মানুষের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং সঠিক পথে চলার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়
বর্তমান ফিতনার যুগে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা এবং ইসলামের প্রকৃত আদর্শের ওপর চলতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে—
১. মহানবী (সাঃ)-এর সুন্নাহ মেনে চলা – জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শ অনুসরণ করা।
2. আউলিয়া কেরামের নির্দেশনা গ্রহণ – যারা ইসলামের প্রকৃত রূপ সংরক্ষণ করেছেন এবং মানুষের আত্মিক উন্নতির জন্য কাজ করেছেন, তাদের অনুসরণ করা।
3. জাকের পার্টির ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া – যারা মহানবী (সাঃ)-এর সত্য আদর্শের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন, তাদের সাথে থাকা।
4. ইবাদত ও আত্মশুদ্ধি – নিয়মিত নামাজ, জিকির-আজকার, দরুদ শরীফ পাঠ করা এবং আল্লাহর হুকুম মেনে চলা।
5. সত্যের পথে দৃঢ় থাকা – বর্তমান সমাজের ফিতনা ও বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকা এবং সঠিক পথের অনুসন্ধান করা।
পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান সময়ের সংকট ও নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে, আমাদের মহানবী (সাঃ)-এর শিক্ষা ও আদর্শে ফিরে যেতে হবে। হযরত খাজা এনায়েতপুরী (রহ.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ইমাম মেহদী (আঃ)-এর আগমনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাই আমাদের উচিত, দয়াল পীর কেবলাজানের আদর্শের ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়া এবং জাকের পার্টির পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলা।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী জীবন গঠন করলে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য চেষ্টা করলে, বর্তমান জামানার কঠিন সময় ও ভবিষ্যতের বিপদ-আপদ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
:- বিশ্বওলী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) ছাহেবের পবিত্র নসিহতের অংশ দিয়ে এটি লেখা হয়েছে।