ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবুল কালাম আজাদের রোগমুক্তি

Sheikh Alhaz Uddin
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪৩০ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রংপুর শহরের গুপ্তপাড়া নিবাসী আবুল কালাম আজাদ, পিতা শামসুল আলম

 

১৯৭৪ইং সনে এইচ.এস.সি. পাশ করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা

 

দেন। সুদর্শন ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী আবুল কালাম আজাদের দীর্ঘদিনের শখ

 

সেনাবাহিনীতে চাকুরি করা। কিন্তু সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মেডিকেল টেস্টে

 

গিয়ে সেনাবাহিনীর চাকুরির অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হলেন। কারণ, তার হাতের

 

তালু সব সময়েই ঘামত। পরপর দু’বার ভর্তি পরীক্ষা দিয়েও একই কারণে

 

অকৃতকার্য হলেন। কাজেই দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ভঙ্গের কারণে হতাশা ও

 

সিদ্ধান্তহীনতার অসুখ তাকে দিনের পর দিন কুরে কুরে খাচ্ছিল। এমনি এক

 

পর্যায়ে এলাকার প্রবীণ জাকেরদের সহযোগিতায় তিনি আটরশি গিয়ে তাপসকুল

 

শিরোমনি বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের খেদমতে নালিশ

 

পেশ করলেন। হযরত কেবলাজান হুজুর তাকে একনাগাড়ে ৬০ দিন কালো

 

ছাগলের দুধ খেতে উপদেশ দিলেন। আবুল কালাম আজাদ পীর কেবলাজানের

 

সেই নির্দেশ পালন করে সুস্থ্য হয়ে গেলেন এবং পরের বার সেনাবাহিনীতে ভর্তি

 

পরীক্ষা দিয়ে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হলেন। এদিকে হাতের ঘাম না

 

থাকায় মেডিকেল পরীক্ষায়ও টিকে গেলেন। ফলে হযরত কেবলাজান হুজুরের

 

ওসিলায় সেনাবাহিনীর কমিশন র‍্যাংকে তার চাকুরি হয়ে যায়।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

আবুল কালাম আজাদের রোগমুক্তি

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

 

রংপুর শহরের গুপ্তপাড়া নিবাসী আবুল কালাম আজাদ, পিতা শামসুল আলম

 

১৯৭৪ইং সনে এইচ.এস.সি. পাশ করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা

 

দেন। সুদর্শন ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী আবুল কালাম আজাদের দীর্ঘদিনের শখ

 

সেনাবাহিনীতে চাকুরি করা। কিন্তু সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মেডিকেল টেস্টে

 

গিয়ে সেনাবাহিনীর চাকুরির অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হলেন। কারণ, তার হাতের

 

তালু সব সময়েই ঘামত। পরপর দু’বার ভর্তি পরীক্ষা দিয়েও একই কারণে

 

অকৃতকার্য হলেন। কাজেই দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ভঙ্গের কারণে হতাশা ও

 

সিদ্ধান্তহীনতার অসুখ তাকে দিনের পর দিন কুরে কুরে খাচ্ছিল। এমনি এক

 

পর্যায়ে এলাকার প্রবীণ জাকেরদের সহযোগিতায় তিনি আটরশি গিয়ে তাপসকুল

 

শিরোমনি বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের খেদমতে নালিশ

 

পেশ করলেন। হযরত কেবলাজান হুজুর তাকে একনাগাড়ে ৬০ দিন কালো

 

ছাগলের দুধ খেতে উপদেশ দিলেন। আবুল কালাম আজাদ পীর কেবলাজানের

 

সেই নির্দেশ পালন করে সুস্থ্য হয়ে গেলেন এবং পরের বার সেনাবাহিনীতে ভর্তি

 

পরীক্ষা দিয়ে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হলেন। এদিকে হাতের ঘাম না

 

থাকায় মেডিকেল পরীক্ষায়ও টিকে গেলেন। ফলে হযরত কেবলাজান হুজুরের

 

ওসিলায় সেনাবাহিনীর কমিশন র‍্যাংকে তার চাকুরি হয়ে যায়।