ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীগর্ভে ধ্বসে পড়া মসজিদের পূর্বাবস্থায় ফিরে আসা

Sheikh Alhaz Uddin
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৮৫-৮৬ইং সনের একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার একটি শতবর্ষের পুরাতন ঐতিহাসিক মসজিদ নদী ভাঙ্গনের কারণে মারাত্মকভাবে কাত হয়ে পড়ে। তদুপরি প্রচন্ড স্রোতের ধাক্কায় মসজিদটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। ইতোমধ্যেই মূলভিটির মাঝখানে বিরাট ফাটলও দেখা যাচ্ছিল। এলাকাবাসী বিশেষ করে মুসল্লীগণ সবাই গভীরভাবে চিন্তিত, আতংকিত হয়ে পড়লো।কিভাবে মসজিদটিকে অবশ্যম্ভাবী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা যায় এ বিষয়ে কেউ কোন কার্যকর পরামর্শ বা সমাধান দিতে পারছিলেননা। এমতাবস্থায় উক্ত মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং একই সাথে মসজিদ কমিটিরও সেক্রেটারী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন মুসলিম দেশ ঘুরে সবশেষে বাংলাদেশেরই নিভৃত পাড়াগাঁ আটরশিতে গিয়ে দরবার শরীফের ২নং লাইব্রেরীর সার্বক্ষণিক কর্মী ও প্রবীণ খাদেম জনাব নজরুল ইসলাম রিকাবদারকে সব ঘটনা খুলে বললেন। তিনি এ ব্যাপারে হুজুর পাকের কাছে নালিশ পেশের জন্য নজরুল ইসলামের সহযোগিতা চাইলেন। নজরুল ভাই সব শুনে অত্যন্ত ফায়েজ ও জজবার হালে বলে উঠলেন, “এই ফ্যালনা সমস্যা নিয়ে আপনি আটরশিতে এসেছেন! আটরশির হুজুর তথা বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর কেবলাজান হুজুর হযরত শাহসুফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের কাছে এটা একটা সমস্যা নাকি?” তিনি আরও বললেন, “পানির জগতের বাদশাহ স্বয়ং খিজির (আঃ) খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের সাথে দেখা করেন।”

 

জনাব নজরুল ইসলামের একথায় মাওলানা সাহেবের মনে দৃঢ় বিশ্বাস ও ভক্তিপূর্ণ আশার সঞ্চার হলো। তিনি হযরত কেবলাজান হুজুরের কাছে তাঁর মসজিদ ভাঙ্গনের ভয়াবহ চিত্রটি তুলে ধরলেন। পীর কেবলাজান সব শুনে সেই পড়ো পড়ো ধ্বসে যাওয়া মসজিদে ৪/৫ গ্রামের লোক নিয়ে জু’মার নামাজ পড়ার জন্য মাওলানা সাহেবকে নির্দেশ দিলেন। নামাজের আগে ও পরে অত্যন্ত হাউস ও মহব্বতের সাথে মিলাদ শরীফ পড়ার জন্যও বলে দিলেন। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ হুজুর কেবলাজানের হুকুম মাথায় করে এলাকায় ফিরেই দেখেন, পড়ে যাওয়া মসজিদটি বেশ কিছুটা সোজা হয়ে গিয়েছে। পরে নির্দেশানুযায়ী জু’মার নামাজ ও মিলাদ পড়ার পর নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে স্রোত ও পানি ভিন্নধারায় প্রবাহিত হতে শুরু করল। এতে করে বালির ধাক্কায় মসজিদটি আগের মতোই পুরোপুরি সোজা হয়ে গেলো, এমনকি ভিটার মাঝখানের ফাটল বা ফাঁকও বালিতে ভরাট হয়ে গেলো। ফলে মোড়লগঞ্জ এলাকায় হযরত শাহসুফী খাজাবাবা ফরিদপুরীর (কুঃছেঃআঃ) আধ্যাত্মিক শক্তি ও উচ্চ মর্তবা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ হয়ে যায়।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

নদীগর্ভে ধ্বসে পড়া মসজিদের পূর্বাবস্থায় ফিরে আসা

আপডেট সময় : ০৫:০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

১৯৮৫-৮৬ইং সনের একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার একটি শতবর্ষের পুরাতন ঐতিহাসিক মসজিদ নদী ভাঙ্গনের কারণে মারাত্মকভাবে কাত হয়ে পড়ে। তদুপরি প্রচন্ড স্রোতের ধাক্কায় মসজিদটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। ইতোমধ্যেই মূলভিটির মাঝখানে বিরাট ফাটলও দেখা যাচ্ছিল। এলাকাবাসী বিশেষ করে মুসল্লীগণ সবাই গভীরভাবে চিন্তিত, আতংকিত হয়ে পড়লো।কিভাবে মসজিদটিকে অবশ্যম্ভাবী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা যায় এ বিষয়ে কেউ কোন কার্যকর পরামর্শ বা সমাধান দিতে পারছিলেননা। এমতাবস্থায় উক্ত মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং একই সাথে মসজিদ কমিটিরও সেক্রেটারী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন মুসলিম দেশ ঘুরে সবশেষে বাংলাদেশেরই নিভৃত পাড়াগাঁ আটরশিতে গিয়ে দরবার শরীফের ২নং লাইব্রেরীর সার্বক্ষণিক কর্মী ও প্রবীণ খাদেম জনাব নজরুল ইসলাম রিকাবদারকে সব ঘটনা খুলে বললেন। তিনি এ ব্যাপারে হুজুর পাকের কাছে নালিশ পেশের জন্য নজরুল ইসলামের সহযোগিতা চাইলেন। নজরুল ভাই সব শুনে অত্যন্ত ফায়েজ ও জজবার হালে বলে উঠলেন, “এই ফ্যালনা সমস্যা নিয়ে আপনি আটরশিতে এসেছেন! আটরশির হুজুর তথা বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর কেবলাজান হুজুর হযরত শাহসুফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের কাছে এটা একটা সমস্যা নাকি?” তিনি আরও বললেন, “পানির জগতের বাদশাহ স্বয়ং খিজির (আঃ) খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের সাথে দেখা করেন।”

 

জনাব নজরুল ইসলামের একথায় মাওলানা সাহেবের মনে দৃঢ় বিশ্বাস ও ভক্তিপূর্ণ আশার সঞ্চার হলো। তিনি হযরত কেবলাজান হুজুরের কাছে তাঁর মসজিদ ভাঙ্গনের ভয়াবহ চিত্রটি তুলে ধরলেন। পীর কেবলাজান সব শুনে সেই পড়ো পড়ো ধ্বসে যাওয়া মসজিদে ৪/৫ গ্রামের লোক নিয়ে জু’মার নামাজ পড়ার জন্য মাওলানা সাহেবকে নির্দেশ দিলেন। নামাজের আগে ও পরে অত্যন্ত হাউস ও মহব্বতের সাথে মিলাদ শরীফ পড়ার জন্যও বলে দিলেন। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ হুজুর কেবলাজানের হুকুম মাথায় করে এলাকায় ফিরেই দেখেন, পড়ে যাওয়া মসজিদটি বেশ কিছুটা সোজা হয়ে গিয়েছে। পরে নির্দেশানুযায়ী জু’মার নামাজ ও মিলাদ পড়ার পর নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে স্রোত ও পানি ভিন্নধারায় প্রবাহিত হতে শুরু করল। এতে করে বালির ধাক্কায় মসজিদটি আগের মতোই পুরোপুরি সোজা হয়ে গেলো, এমনকি ভিটার মাঝখানের ফাটল বা ফাঁকও বালিতে ভরাট হয়ে গেলো। ফলে মোড়লগঞ্জ এলাকায় হযরত শাহসুফী খাজাবাবা ফরিদপুরীর (কুঃছেঃআঃ) আধ্যাত্মিক শক্তি ও উচ্চ মর্তবা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ হয়ে যায়।