ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরের দয়ায় পরীক্ষা পাশ

Sheikh Alhaz Uddin
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনাব ফরহাদ হোসেন তার তরিকা জীবনের একটি মজার ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি ১৯৭২ইং সনে জয়পাড়া হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি. পাশ করেন এবং জয়পাড়া কলেজেই এইচ.এস.সি.তে ভর্তি হন। কিন্তু পড়াশোনায় মন বসেনা বিধায় উচ্চশিক্ষার আশা ছেড়ে দিয়ে চাকুরীর সন্ধানে লেগে পড়েন। এমতাবস্থায় হযরত কেবলাজান হুজুর ঘোড়াশালে ফজলু মিয়ার করাত কলে (স’মিল) ফরহাদ হোসেনকে একটি চাকুরী ঠিক করে দেন কেরানী পদে। সেই সাথে পড়াশোনা অব্যাহত রেখে এইচ.এস.সি. পরীক্ষা দেয়ার জন্য হযরত কেবলাজান হুজুর তাকে নির্দেশ দিলেন। আর এদিকে তদীয় অন্যতম প্রবীণ মুরীদ, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক এম.পি. আজহার সাহেবকে বলে দিলেন, তিনি যেন ফরহাদ হোসেনকে এইচ.এস.সি. পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।

 

প্রিন্সিপাল আজহার সাহেব হুজুর পাকের কথায় মুখে মুখে সায় দিলেও মনে মনে ফরহাদ হোসেনের পাশের ব্যাপারে মোটেই আশাবাদী ছিলেননা। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত জনাব ফরহাদ হোসেন ১৯৭৫ইং সালে এইচ.এস.সি. পরীক্ষা দেন। কিন্তু সিভিকস (পৌরনীতি) ১ম পত্র পরীক্ষার দিনে কোন রকম নকল না করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট গার্ড কোন কারণ ছাড়াই ফরহাদ হোসেনের খাতা সীজ করে নিয়ে যান। ফলে সবাই তাকে ২য় পত্রের পরীক্ষা ভালভাবে দেবার জন্য পরামর্শ দান করে।

 

কিন্তু ফরহাদ হোসেনের পরিণতি ভবিতব্যই জানেন। পরীক্ষা শেষে হুজুর পাক প্রিন্সিপাল আজহার সাহেবকে ডেকে তার সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আজহার সাহেব কোন রকম দ্বিধাদ্বন্দ না রেখেই বলে ফেললেন, “হুজুর, ফরহাদ পাশ করলে ঢাকা বিভাগের সব চেয়ার টেবিলও পাশ করবে”। হুজুর পাক গম্ভীর কন্ঠে বললেন, “দেখা যাক”। পরবর্তীতে এইচ.এস.সি. পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা গেলো যে, একই কলেজের ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৩৭জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ফরহাদ হোসেনের নামও রয়েছে। এতে সবাই অবাক হলেন।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পীরের দয়ায় পরীক্ষা পাশ

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

জনাব ফরহাদ হোসেন তার তরিকা জীবনের একটি মজার ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি ১৯৭২ইং সনে জয়পাড়া হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি. পাশ করেন এবং জয়পাড়া কলেজেই এইচ.এস.সি.তে ভর্তি হন। কিন্তু পড়াশোনায় মন বসেনা বিধায় উচ্চশিক্ষার আশা ছেড়ে দিয়ে চাকুরীর সন্ধানে লেগে পড়েন। এমতাবস্থায় হযরত কেবলাজান হুজুর ঘোড়াশালে ফজলু মিয়ার করাত কলে (স’মিল) ফরহাদ হোসেনকে একটি চাকুরী ঠিক করে দেন কেরানী পদে। সেই সাথে পড়াশোনা অব্যাহত রেখে এইচ.এস.সি. পরীক্ষা দেয়ার জন্য হযরত কেবলাজান হুজুর তাকে নির্দেশ দিলেন। আর এদিকে তদীয় অন্যতম প্রবীণ মুরীদ, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক এম.পি. আজহার সাহেবকে বলে দিলেন, তিনি যেন ফরহাদ হোসেনকে এইচ.এস.সি. পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।

 

প্রিন্সিপাল আজহার সাহেব হুজুর পাকের কথায় মুখে মুখে সায় দিলেও মনে মনে ফরহাদ হোসেনের পাশের ব্যাপারে মোটেই আশাবাদী ছিলেননা। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত জনাব ফরহাদ হোসেন ১৯৭৫ইং সালে এইচ.এস.সি. পরীক্ষা দেন। কিন্তু সিভিকস (পৌরনীতি) ১ম পত্র পরীক্ষার দিনে কোন রকম নকল না করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট গার্ড কোন কারণ ছাড়াই ফরহাদ হোসেনের খাতা সীজ করে নিয়ে যান। ফলে সবাই তাকে ২য় পত্রের পরীক্ষা ভালভাবে দেবার জন্য পরামর্শ দান করে।

 

কিন্তু ফরহাদ হোসেনের পরিণতি ভবিতব্যই জানেন। পরীক্ষা শেষে হুজুর পাক প্রিন্সিপাল আজহার সাহেবকে ডেকে তার সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আজহার সাহেব কোন রকম দ্বিধাদ্বন্দ না রেখেই বলে ফেললেন, “হুজুর, ফরহাদ পাশ করলে ঢাকা বিভাগের সব চেয়ার টেবিলও পাশ করবে”। হুজুর পাক গম্ভীর কন্ঠে বললেন, “দেখা যাক”। পরবর্তীতে এইচ.এস.সি. পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা গেলো যে, একই কলেজের ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৩৭জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ফরহাদ হোসেনের নামও রয়েছে। এতে সবাই অবাক হলেন।