বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নামাজ ৮ম পর্ব
নামাজ কায়েমের বাস্তব চিত্র এবং নামাজীর ফরিয়াদের ভাষা

- আপডেট সময় : ০৪:১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
- / ২৪৬৭ বার পড়া হয়েছে
নামাজ কায়েমের বাস্তব চিত্র এবং নামাজীর ফরিয়াদের ভাষা
বস্তুত কানে হাত দিয়ে নিজেকে অপরাধী স্বীকার ক রে জোড় হাতে নামাজে দাঁড়িয়েছি। এই নামাজে আমি যেন মিথ্যুক বা মুনাফেক না হই, তা হ লে আমার জন্য ওয়ায়েল। অপরাধী আমি। মহাহাকীম আমাকে দেখতেছেন। তিনিই আমার অপরাধের রায় প্রদানকারী। ক্ষমা ও শাস্তি তাঁর কবজায়ে কুদরাতে নিহিত। অপরাধীর মত হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে প্রথমে তাঁর গুণগান করছি। যেমন سُبْحْنَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبْرَكَ اسْمُكَ وَتَعْلَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ
غَيْرُكَ -
উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা অবিহামদিকা অতাবারাকাসমুকা অতায়ালা জাদ্দুকা অলা-ইলা গাইরুকা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি মহা পবিত্র। তোমার জন্য সকল প্রশংসা এবং তোমার নাম মোবারক বর কতময়, তুমি অসীম ও সীমাহীন এবং তোমার সমকক্ষ আর কেউ নেই। অতঃপর আবার পড়ছি- আল্লাহ বলেন:
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ – الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ – উচ্চারণ: আলহাম দুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। আর রহমানির রহীম।
অর্থাৎ ‘সকল প্রশংসা ঐ পরওয়ারদেগারে আলমের জন্ য, যিনি কুল্লে আলমের মহান প্রতিপালক। তিনি দয়ালু দাতা মেহেরবান।’ (সুরায়ে ফাতিহা) হাকিমের প্রশংসা না করলে তিনি খুশী হবেন না, আর আমাকেও ক্ষমা করবেন না। কারো প্রশংসা বা গুণগান তার অগোচরে করা যায়। অনুরূপ যেন নামাজে দাঁড়িয়ে বলতেছি- এই বিশ্বে র যিনি মহান প্রতিপালক তার গুণগান বা প্রশংসা করছি। যেহেতু আমি অপরাধী, তিনিই তো আমার অপরাা কারী দয়ালু দাতা মেহেরবান। দয়া হলে তিনি আমাকে ক্ষমা করতে পারেন এবং শাস্তি দিতে পারেন। مُلِكِ يَوْمِ الدِّينِ )প্রভু ইয়াওমিদ্দিন)। ‘মহা বিচার দিনের তিনিই একমাত্র মালিক।” এই মহান মালিক মহা বিচার দিনের মালিক। আমার জন্য মহা বিচার আজ। কেননা আমার আজকের নামাজ কবুল হলে বিজলীর মত পুলছেরাত পার করে দিবেন আল্লাহ। অতএব আমার ঐ মহা বিচার আল্লাহ আজকের করে দিতে পারেন। অতএব আজ আমার জন্য মহা বিচার। কেননা আমার আজকের নামাজ তো শেষ নামাজও হতে পারে। এ রকম গুণগান প্রশংসা গীতি কারো অগোচরে করা সম্ভ ব। তাতে হাত জোড় করার আবশ্যকতা যেমন নেই, তেমনি অপরাধী বলে স্বীকার করার প্রয়োজনও নেই। যেহেতু যার সম্বন্ধে কথা বলছি, যার কাছে প্রার্থনা করছি তিনি হাজির নেই।
আমি আসামী সেজে, কান ধরে হাত জোড় করে মহা হাকীমে র প্রশংসা إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ 1 (ইয়্যাকানা’ বুদু অইয়্যাকানাছ তাঈন)। “অর্থাৎ হে মহান বিচারক, একমাত্র তোমার উপসনা করছ ” অর্থাৎ যার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি তিনি আ মার সামনে উপস্থিত। যার ফলে তারইচান সামনে কান ধরে অপরাধীর মত হস্তপদ বিনয় করে ক্ষমা প্রার্থী হয়ে গুণগান করে আমার বিনয়ের ও আমার আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সীমায় সাহায্যের প্রার্থনা জানাচ্ছি। যেহেতু হে মহান বিচারক, তুমি ছাড়া আর দ্বিতীয় কেউ ক্ষমা করার অধিকারী নেই। তোমার রায়-ই চূড়ান্ত। অতএব তুমি আল্লাহ দূরে নও। তুমি আমার সামনে। সরাসরি তোমার সাথে ‘সেই তোমার কুদরতী কদমে আবেদন- নিবেদন করছি। এরই নাম হাজির-নাজির। এ দ্বারা একক ‘তোমারই’ শব্দ ব্যবহার করেছি। ‘এই তুমি’ অর্থাৎ তিনি আল্লাহ আমার সামনে হাজির। সেই মহান আল্লাহর হুজুরে হাজির হয়ে একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে না থাকলে বা তিনি আমাকে উদাসীন দেখলে ক্ষমা করবেন না। কারণ তিনি আমার মনের ভাষা বুঝেন। তারপরও মহান হাকিম। এতবড় ক্ষমতার অধিকারী যিনি, তিনি আমার মুখ আর ম নের খবর রাখেন। মুখের প্রার্থনা, খেয়াল ও চিন্তাধারা তিনি ধরতে পারবেন। তা তিনি রাসূলে পাক এর মাধ্যমে বান্দাকে জানিয়ে ছেন। রাসূল বলেছেন-
أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ ي َرَاكَ بُخَارِي ) উচ্চারণ: আন তা’বুদাল্লাহা কায়ান্নাকা তারাহু ফাইনলাম তাকুন তারাহু ফাইন্নাহু ইয়ারাকা।
অর্থাৎ যখন তুমি আল্লাহর এবাদতে মশগুল হও, তখন তুমি যেন আল্লাহকে দেখতেছ। যদি তুমি আল্লাহকে দেখতে না পাও, আল্লাহ কিন্তু অবশ্যই তোমাকে দেখতেছেন।” (তাতে কোন সন্দেহ নেই) যেই আল্লাহ তোমাকে দেখতেছে ন তিনি তোমার মন, মুখ, চিন্তা-খেয়াল সব কিছুর খবর রাখেন। কিছুই তাঁর দৃষ্টি এড়ায় না। আর তখনই আমি আবার বলছি : اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (ইহদীনাছ ছিরাতাল মুস্তাকিম)। “অর্থাৎ হে খোদা (মহান হাকীম) তুমি আমাকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন কর।” অর্থাৎ অপরাধী আমি। জীবনে যত পাপ করেছি, যত ভুল করেছি, যত অন্যায় করে ছি, সব কিছু স্বীকার করে তোমার (আল্লাহর) কুদরাতী কদমে হাত জোড় করে তোমার উপাসনা শুণকীর্তন করে সাহায্য প্রার্থনা করছি ও সরল সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য আবেদন করছি। আমি যেন কখনও বিপথগামী না হই। জীবনের কোন মুহূর্তেই যেন আমি তোমাকে ভুলে না যা ই। তোমার প্রেমের আশেক হয়ে যেন দুনিয়ার মোহ ভুলে যেতে পারি। অপরদিকে তোমার কঠিন শাস্তির ভয়ে প্রেমের আকিঞ ্চনে যেন পাপের পথে না যাই। এই কামনা বাসনার জন্য মহান হাকীমের কাছে বাহ্যি কভাবে হস্তপদ নিবেদন করতে গিয়ে আল্লাহকে হাজির-নাজির করতে হ লে বা হাজির জানতে হলে মন-মুখ এক করতেই হবে। ভিতর বাহির এক হয়ে আত্মনিবেদন করতে সক্ষম হলে আ ল্লাহকে দেখাও সম্ভব।
যার জন্য রাসূলে পাক বলেছেন: الصَّلُوةُ مِعْرَاجُ الْمُؤْمِنِينَ: 1 “নামাজের মধ্যে আল্লাহর দিদার হবে।” কিন্তু অ ন্তর্যামী তো অন্তরের খবর রাখেন। প্রকৃত আত্মসমর্পণ আর বাহ্যিক ছুরাতেই আত্মসমর পূর্ন সব কিছুর বাস্তবতা না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর মে’রাজ সম্ভব হবে না। আর এ জন্যই খাজাবাবা ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুর নামাজের প্রারম্ভিক শপথ বাক্যে অধিক সতর্কতার সাথে তাকিদ করেই রাসূলে পাক (লাছালাতা ইল্লা বিহুজুরিল কালুব।) অর্থাৎ ‘হুজুরী দিল ব্যতীত নামাজ-ই নয়।’ অর্থাৎ মন মুখ এক না করা পর্যন্ত নামাজই হচ্ছে না। এই নামাজের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন খাজাবাবা ফরিদপুরী। যার বিকল্প নেই।
এ জন্যই নামাজ হল সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। এর চেয়ে বড় করে আত্মসমর্পণের আর কোন ছুরাত । হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে তাঁর (আল্লাহর) গুণগান তে করতে তাঁর মহত্ত্বের প্রশংসা করতে করতে নতজানু হয়ে সেজদায় অর্থাৎ কুদরাতী কদমে লুটি য়ে পড়লাম। ক্ষমা প্রার্থনার আর কি বাকী আছে? এই মুহূর্তে মন-দিল বাইরে থাকার প্রশ্নই আসেনা। তা হলে মুনাফেক তো হতেই হবে এবং ওয়ায়েল দোযখও অবধারিত। (যা কুরনআনের বাণী) কারণ ফাঁকি দেয়ার উপায় নেই। সেই মহান সত্ত্বা আমার ভিতর-বাহির সবকিছুর খবর রাখনেওয়ালা। আবার পড়তেছি-
‘হে খোদা তুমি আমাকে ঐ পথে পরিচালিত কর যেই পথে তু মি নেয়ামত রেখেছে। অর্থাৎ আমি অপরাধী আমার দু’টো পথ, হয় শাস্তি নয় শান্তি। হয় মঙ্গল নয় অমঙ্গল। হয় মুক্তি নয় কয়েদী। হয় জান্নাত নয় জাহান্নাম। হে মহিয়ান গড়িয়ান সর্ব শক্তিমান দয়ালু দাতা মেহেরবান প্রভু, মহা বিচারক তুমি, আমাকে আমার অপরাধের দিকে না তাকিয়ে তোমার ক্ষমাসুন্দর দৃ ষ্টিতে মুক্তির পথ দেখাও। ঐ মুক্তির পথ, যেই পথে তুমি তোমার মহা নেয়ামত রে খেছ, যেই মহান নেয়ামত লাভে এক শ্রেণী ধন্য হয়েছে, সেই নেয়ামতের বরকতে আছি যেমন ইহকালে নেয়ামত প্রাপ্ত হব, অনুরূপ পরকালেও কঠিন জাহান্নামের শাড়ি থেকে পরিত্রাণ পেয়ে জান্নাতের অদিকারী হয়ে মহা নেয়ামতের অধিকারী হব। (গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওলাদ দল্লিন।)
অর্থাৎ “যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট হয়েছে (হে খো) দা) সেই পথে আমাকে পরিচালিত কর না।” অর্থাৎ যেই পথে চলে মানুষ অভিশপ্ত হয়েছে বিপথগামী হয়েছে, হে মহান বিচারক তুমি আমাকে সেই পথে পরিচালিত কর না।
বিশ্ব ওলী খাজাবাবা এই পথকেই বলেছেন- আকাবেরে আউ লিয়াগণের পথ। অর্থাৎ পূর্ববর্তী নবী, ওলী, পীর মাশায়েখগণ এর পথই হল আল্লাহর নেয়ামত প্রাপ্ত পথ। কেননা তারা ঐ পথে কল্যাণের পথ পেয়েছেন, অমর হয়ে ছেন। আর এ পথের দাওয়াত দিয়েছেন। এই সকল পথে আমাকে নাও।
এমন বিনয়ের প্রার্থনা পৃথিবীর আর নেই। যার জন্য সুরায়ে ফাতেহা পবিত্র কুরআনের সার-সং ক্ষেপ। মূল বিষয় বস্তু। প্রতি নামাজে এই পবিত্র প্রার্থনার সুরাখানা তেলাওয়াত এ জন্যই ফরজ করা হয়েছে। কোন নামাজী যদি এমনি প্রার্থনার প্রাক্কালে নি জেকে নামাজের মধ্যে আত্মসমর্পণে সক্ষম হয়, ঐ আল্লাহ তবারক তায়ালা মে’রাজে রাসূলে পাক এর সাথে ওয়াদা করেছেন- ‘বন্ধু রাসূল! আপনাকে আমি মে’রাজে এনেছি একবার দৈহিক ও রূহানী ভাবে আর তোমার উম্মতকে আমি এই নামাজের মাধ্যমে দৈনিক পাঁচবার মে’রাজ করাব’। এই মে’রাজের নামাজই তো আমাকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে।
সুরায়ে ফাতেহা হল নামাজের বাস্তব প্রার্থনার ভাষা বা আত্মসম্পর্ণের বাস্তব নমুনা চিত্র। এ জন্যই অন্য একটি সুরা বা আয়াত মিলাতে হবে। অন্যথায় নামাজ হবে না।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে প্রতিনিয়ত এই নামাজের প্ রশিক্ষণ হয়। যা নামাজের সারবস্তু। বাহ্যিকতা পরিপূর্ণ করতে ত্রুটি থাকা স্বাভাবি ক। অনিচ্ছা সত্ত্বে হাজারও বাহ্যিক ত্রুটি থাকতে পারে এবং থাকবে। পরিপূর্ণ সুরা কিরাত ছহীহ, আরকান-আহকাম বা কেউ কোন দিন পরিপূর্ণ করতে পারছে এরকম সাক্ষী নিজের উপর কেউ দিতে পারবে না। তার অর্থ বাহ্যিক রূপায়নের প্রয়োজন নেই? তা নয়। বরং ভিতরগত এই আত্মসম্পনের পরিপূর্ণতা প্রকাশ গেলে আল্লাহ ঐ নামাজীকে তার নামাজের বাহ্যিক রূপায়ন ঠিক করে দিতে ।
পারেন তা হলো এই যে, একজন লোক ‘আইন’ বর্ণটি উচ্চারণ করতে পারে না। তা হামজায় পরিণত হয়ে যায়। অতএব আল্লাহ সেখানে যদি রহমত করেন, তবে কোন কষ্ট ই নয়। হযরত মুসা (আঃ) যদি এই যুগে নবী হতেন আর মুখের জড়তা দূর না হত, কেয়ামত পর্যন্ত কুরআন শুদ্ধ করে তেলাওয়াত করতে পারতেন না। যেই জড়তার জন্য মুসা (আঃ) আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে ছিল। আল্লাহ তবারক তায়ালা তার জড়তা ঐ পর্যন্ত দূর করে ছিলেন, যাতে তার উম্মতেরা তার কথা বুঝতে পারে। কিন্তু পুরিপূর্ণ জড়তা দূর হয়নি। অনুরূপ বহু লোক আছে বোবা এবং মুখের ভাষা জড়তা যুক্ত। তাদের নামাজের বাহ্যিক রূপায়ন পরিপূর্ণ কোনদি নই সম্ভব নয়। কিন্তু নামাজে পরিপূর্ণ সারেন্ডার হতে সক্ষম হলে, আল্লাহ তার নামাজ কবুল করবেন এবং এই নামাজের মাধ্যমেই দুনিয়ার সকল সমস্যার সমাধান করতে পা রবে। কেননা আল্লাহ তাই বলেছেন: হে মোমেনগণ! তোমরা ধৈর্য এবং নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রা র্থনা কর।’ (বাকারাহ-১৫৩)
يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَ الصَّلوةِ ( بَقَرَة – ١٥٣): ইয়া আইউ হাল্লাজিনা আমানুছ তাইনু বিছছবরী অচ্ছালাহ।
অতএব নামাজের ফলাফল ইহজগতে হতে হবে। এই জগতে নামাজী যদি কোন ফল না পায়, পরজগতেও কিছু পাবে না; বরং কুরআনের নির্দেশ মোতাবেক এই নামাজ তাকে জাহান্নামে দাখিল করবে। নামাজ নিয়ে অবহেলার অর্থই ওয়ায়েল দোযখ। নামায নিয়ে তামাশার অর্থই পরিতাপ।
তাই কোন প্রেমিক কবি বলেন-
* অবুঝ মন আমার, দেল হুজুরে নামায কায়েম কর। মুসল্লী দোযখে যাবে, (২)
আল-কোরআনের সমাচার। ঐ
* নামাজে দাঁড়িয়ে তুমি ভাবো ভবের ভাবনা। যার খাতিরে নামাজ পড় তার বিষয়ে ভাবনা,।
এই নামাজে হয় কি গতি, (২)
কি গতি তবে তোমার। ঐ
* ‘লাছালাতা ইল্লা বিহুজুরীল কূলব’ মোর নবীজী কয়- কূলবের খেয়াল না থাকিলে সেই নামাজ তো নামাজ নয়। গায়রুল্লাহ সেজদা হবে যে (২) হাদীসের ঐ সমাচার। ঐ
* নামাজ পড়ে রোজা করে মুসল্লী হয়ে ভবে,
দিন রজনী ভাবো তুমি বেহেশতে যাবে কবে, পর নিন্দা করে থাক্লে (২) কোন্ বেহেশত জায়গা তোমার।
*কূলবের খেয়াল ভুলে তুমি করছো খুশি নফসেরে জাননা কি হইছে তোমার রইছ যে ঘুমের ঘোরে, মানুষেরে করছো ঘৃণা, (২) এই তো তোমার সমাচার। ঐ
* খোদার বান্দা নবীর উম্মত কেউ তো ঘৃণার পাত্র নয় , পাক বেনিয়াজ কাদের গণি আদম জাতের প্রাণে রয়, সে প্রাণে দিয়েছ আঘাত, (২) বল কি পাওনা তোমার। ঐ
* ইন্নাচ্ছালাতা তানহা আনিল ফাশায়ে অলমুঙ্কার নামাজে বাঁচাবে তোমায় বলেন আল্লাহ বারংবার, নামাজ কায়েম করে থাকলে, (২) পারবে না পাপ করতে আর। ঐ দেল হুজুরে নামাজ কায়েম কর।