ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নামাজ ৬ষ্ঠ পর্ব

নামাজ শুরু করতেই খাজাবাবার শিক্ষা

শেখ আলহাজ্ব উদ্দিন
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৪৫০ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

“সকলেই কাঁতার সোজা করে দাঁড়ান, খেয়াল আপন আপন কূলবে ডুবান। খেয়াল কূলবে, কূলব আল্লাহর দিক। আল্লাহ হাজের-নাযের। আল্লাহ দেখিতেছেন সকলের দিলের হাল, খেয়াল কূলবে ডুবাইয়া রাখিলেই নামাজে আল্লাহ মনে থাকে। যেইমাত্র খেয়াল কূলব হইতে বাহির হইয়া যাইবে, তখনই নামাজে আল্লাহ ভুল হইয়া যাইবে। নামাজে যদি আল্লাহ-ই ভুল হইয়া যায়, তাহা হইলে কাহাকে সেজদা করিবেন নিজেই মনে মনে চিন্তা করিয়া বুছেন। মুখে আল্লাহর নাম আর দিলে দুনিয়ার জল্পনা কল্পনা এমন নামাজে কি ফল, তাই দয়াল নবী-রাসূলে পাক এরশাদ ফরমান- “লা-ছালাতা ইল্লাবেহুজুরীর কূলব” নামাজই নয় হুজুরী দেল ব্যতীত। তাই সকলেই মন মুখ এক করে, আল্লাহ তায়ালাকে হাজের-নাজের ওয়াহেদ জেনে হুজুরী জ্বলবে আল্লাহকে সেজদা করেন। (এই হেকমত নবী, ওলী রাসূল পয়গম্বরগণের হেকমত) এই হেকমত আকাবেরে (পূর্ববর্তী) আউলিয়াগণের হেকমত। এই হেকমত দয়াল নবী রাসুলে পাক এর বাস্তব হেকমত। যেমন- হযরত আলী (রাঃ) এর নামাজের অবস্থায় তীর খুলে নেয়ার ঘটনা (হাদীস) বর্ণিত আলোচনার বাস্ত বতা।) এই হেকমত যেন নামাজে কাহারো ভুল না হয়।

 

বাস্তবতায় দেখা গেছে, জাকেরগণ এই কথাগুলো যখন নামাজের শুরুতে বলে তখন অনেকে তিরস্কার বা কানাঘুষা বা চোখ টিপ্পনী শুরু করে। অথচ কথাগুলো কী এবং কোথা থেকে উদ্ধৃত তা খুঁজে দেখার অবকাশ নেই। আটরশি বেদায়াত, অতএব তারা যা বলবে তা সব বেদায়াতী মূলক কথাবার্তা। মূলত তাদের নিজেদের যে জ্ঞানের পরিধি নেই, সে খবর তাদের জানা নেই। অতএব তারা কুরআনের ভাষায় পশুর ন্যায়, বরং তারা গোমরাহ। (সুরায় আ’রাফের ১৭৯নং আয়াতে আসছে( – أُولَئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ – (أَعْرَافُ (۱۷۹ বস্তুত খাজাবাবা ফরিদপুরী কেবলাজান যা বলেছেন, যা করেছেন তার কানাকড়িও যে কুরআন-হাদীস ও এজমা-কেয়াসের বাইরে নয়, তা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করে দেখার ফুরসত (অবসর) নেই। আমার শ্রদ্ধেয় জ্ঞানীগুণি আলেম- ওলামা, শিক্ষিত-পণ্ডিত, ধার্মিক, বুদ্ধিজীবি ভাই ও বোন, যারা বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সম্পর্কে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন, তারা যদি বিশ্ব ওলী ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুরের প্রত্যেক কর্ম, বাণী, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি গভীর জ্ঞানে উপলব্ধিতে আনয়নের জন্য তথ্যমূলক অনুসন্ধান করতেন, তাহলে নির্দ্বিধায় যেমন বুঝতে সক্ষম হতেন, তেমনি নিজের আমলের বা জ্ঞানের পার্থক্য এবং কুরআনের বাস্তব তথ্য ও তত্ত্ব কি, তা জানতে এবং বুঝতে সক্ষম হতেন। তখন স্বেচ্ছায় ফেৎনাও বন্ধ হয়ে যেত। কেননা খাজাবাবার কথায় ও কাজে যেমন ভুল নেই, তেমনি কুরআন হাদীসের খেলাফও কোন কাজ নেই। এমন গভীরতা বা এমন গভীর জ্ঞানের কথা ও আমল আছে, যা সাধারণ লোক তো দূরের কথা বহু আলেমেরা তার পৃষ্ঠাও উলটায়নি। এই গভীর জ্ঞান অর্জনে ব্যর্থ বিধায় বাহ্যিক জ্ঞানে সমাজে ফেতনা ছড়াচ্ছে।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নামাজ ৬ষ্ঠ পর্ব

নামাজ শুরু করতেই খাজাবাবার শিক্ষা

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

“সকলেই কাঁতার সোজা করে দাঁড়ান, খেয়াল আপন আপন কূলবে ডুবান। খেয়াল কূলবে, কূলব আল্লাহর দিক। আল্লাহ হাজের-নাযের। আল্লাহ দেখিতেছেন সকলের দিলের হাল, খেয়াল কূলবে ডুবাইয়া রাখিলেই নামাজে আল্লাহ মনে থাকে। যেইমাত্র খেয়াল কূলব হইতে বাহির হইয়া যাইবে, তখনই নামাজে আল্লাহ ভুল হইয়া যাইবে। নামাজে যদি আল্লাহ-ই ভুল হইয়া যায়, তাহা হইলে কাহাকে সেজদা করিবেন নিজেই মনে মনে চিন্তা করিয়া বুছেন। মুখে আল্লাহর নাম আর দিলে দুনিয়ার জল্পনা কল্পনা এমন নামাজে কি ফল, তাই দয়াল নবী-রাসূলে পাক এরশাদ ফরমান- “লা-ছালাতা ইল্লাবেহুজুরীর কূলব” নামাজই নয় হুজুরী দেল ব্যতীত। তাই সকলেই মন মুখ এক করে, আল্লাহ তায়ালাকে হাজের-নাজের ওয়াহেদ জেনে হুজুরী জ্বলবে আল্লাহকে সেজদা করেন। (এই হেকমত নবী, ওলী রাসূল পয়গম্বরগণের হেকমত) এই হেকমত আকাবেরে (পূর্ববর্তী) আউলিয়াগণের হেকমত। এই হেকমত দয়াল নবী রাসুলে পাক এর বাস্তব হেকমত। যেমন- হযরত আলী (রাঃ) এর নামাজের অবস্থায় তীর খুলে নেয়ার ঘটনা (হাদীস) বর্ণিত আলোচনার বাস্ত বতা।) এই হেকমত যেন নামাজে কাহারো ভুল না হয়।

 

বাস্তবতায় দেখা গেছে, জাকেরগণ এই কথাগুলো যখন নামাজের শুরুতে বলে তখন অনেকে তিরস্কার বা কানাঘুষা বা চোখ টিপ্পনী শুরু করে। অথচ কথাগুলো কী এবং কোথা থেকে উদ্ধৃত তা খুঁজে দেখার অবকাশ নেই। আটরশি বেদায়াত, অতএব তারা যা বলবে তা সব বেদায়াতী মূলক কথাবার্তা। মূলত তাদের নিজেদের যে জ্ঞানের পরিধি নেই, সে খবর তাদের জানা নেই। অতএব তারা কুরআনের ভাষায় পশুর ন্যায়, বরং তারা গোমরাহ। (সুরায় আ’রাফের ১৭৯নং আয়াতে আসছে( – أُولَئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ – (أَعْرَافُ (۱۷۹ বস্তুত খাজাবাবা ফরিদপুরী কেবলাজান যা বলেছেন, যা করেছেন তার কানাকড়িও যে কুরআন-হাদীস ও এজমা-কেয়াসের বাইরে নয়, তা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করে দেখার ফুরসত (অবসর) নেই। আমার শ্রদ্ধেয় জ্ঞানীগুণি আলেম- ওলামা, শিক্ষিত-পণ্ডিত, ধার্মিক, বুদ্ধিজীবি ভাই ও বোন, যারা বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সম্পর্কে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন, তারা যদি বিশ্ব ওলী ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুরের প্রত্যেক কর্ম, বাণী, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি গভীর জ্ঞানে উপলব্ধিতে আনয়নের জন্য তথ্যমূলক অনুসন্ধান করতেন, তাহলে নির্দ্বিধায় যেমন বুঝতে সক্ষম হতেন, তেমনি নিজের আমলের বা জ্ঞানের পার্থক্য এবং কুরআনের বাস্তব তথ্য ও তত্ত্ব কি, তা জানতে এবং বুঝতে সক্ষম হতেন। তখন স্বেচ্ছায় ফেৎনাও বন্ধ হয়ে যেত। কেননা খাজাবাবার কথায় ও কাজে যেমন ভুল নেই, তেমনি কুরআন হাদীসের খেলাফও কোন কাজ নেই। এমন গভীরতা বা এমন গভীর জ্ঞানের কথা ও আমল আছে, যা সাধারণ লোক তো দূরের কথা বহু আলেমেরা তার পৃষ্ঠাও উলটায়নি। এই গভীর জ্ঞান অর্জনে ব্যর্থ বিধায় বাহ্যিক জ্ঞানে সমাজে ফেতনা ছড়াচ্ছে।