ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাগ্যবান রমণীর গুণাবলী ও মুর্শেদ প্রাপ্তির রহস্য

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / ২৪১৭ বার পড়া হয়েছে

অতি ভাগ্যের গুণে মুর্শেদের বোল আর অতি ভাগ্যের গুণে রমনীর কোল

Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভাগ্যের প্রভাব ও মুর্শেদের সন্ধান

পবিত্র ধর্মীয় শিক্ষায় বারবার উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা যাকে হেদায়েত দান করেন, তিনি প্রকৃত মুর্শেদের সন্ধান পান। আর যিনি হেদায়েতপ্রাপ্ত নন, তার জন্য সঠিক পথপ্রদর্শকের সন্ধান করাও দুরূহ হয়ে ওঠে। জামানার মহা মুজাদ্দেদ বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রাঃ) ছাহেবের উক্তি—

 

“অতি ভাগ্যের গুণে মুর্শেদের বোল আর অতি ভাগ্যের গুণে রমনীর কোল”—

 

এই বাণীর তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। প্রকৃত অর্থে, মুর্শিদ বা পীরের সান্নিধ্য পাওয়া ভাগ্যবান ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারিত হয়। কারণ, মুর্শেদ-প্রাপ্তি শুধুমাত্র ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি একজন মানুষের সৌভাগ্যের বহিঃপ্রকাশ।

 

আরো পড়ুন:সুফিবাদ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ভাগ্যবান রমণীর গুণাবলী

একজন রমণীর চারিত্রিক গুণাবলী ও তার জীবনযাত্রা তার সৌভাগ্যের পরিচায়ক হতে পারে। ভাগ্যবান রমণীর কিছু বিশেষ গুণাবলী রয়েছে, যা তাকে একজন সত্যিকারের আদর্শ নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে—

 

১. ধর্মপরায়ণতা ও ঈমানদারিতা

ভাগ্যবান রমণী সর্বদা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল করে। তার অন্তর পরিশুদ্ধ এবং সে সৎপথের অনুসারী। নামাজ-রোজা, কুরআন তিলাওয়াত ও ইবাদতে সে মনোনিবেশ করে এবং তার কর্ম ও আচার-আচরণও দ্বীনসম্মত হয়।

 

২. চরিত্রের পবিত্রতা ও লজ্জাশীলতা

একজন ভাগ্যবান রমণী সর্বদা চরিত্রবান এবং লজ্জাশীলা হয়ে থাকেন। তার লজ্জাশীলতা ও সতীত্বই তার প্রধান অলংকার।

 

৩. স্বামীর প্রতি অনুগত ও দায়িত্বশীল

ভাগ্যবান নারী তার স্বামীকে সর্বদা সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখে। তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে এবং পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত করতে সচেষ্ট হয়।

 

৪. দয়া, সহানুভূতি ও উদারতা

একজন সত্যিকারের ভাগ্যবান রমণী সবসময় দয়ালু, উদার ও মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হন। তিনি অসহায় ও দুস্থদের সাহায্য করেন এবং পরিবারের সকলের প্রতি আন্তরিক থাকেন।

 

৫. বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা

ভাগ্যবান রমণী বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ হন। তিনি পারিবারিক জীবনে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হন।

 

৬. সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা

একজন ভাগ্যবান রমণী তার সন্তানদের উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তিনি তাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।

 

৭. ধৈর্যশীলতা ও আত্মসংযম

পরিবারের সুখ-শান্তির জন্য একজন রমণীর ধৈর্যশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ধৈর্য ধরে জীবনের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং কখনো হতাশ হন না।

 

ভাগ্যের প্রভাব ও পরিণতি

একজন ব্যক্তি যদি ভাগ্যবান হন, তবে তিনি প্রকৃত মুর্শেদ এবং সতী-সাধ্বী নারীকে পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। পক্ষান্তরে, যাদের ভাগ্য প্রতিকূল, তারা এ দুই নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়।

 

এজন্যই বলা হয়—

“ভাগ্যবান পুরুষ প্রকৃত মুর্শেদ ও সতী নারী লাভ করে, আর দুর্ভাগা ব্যক্তি এ দুই থেকে বঞ্চিত থাকে।”

 

আমাদের উচিত আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা, যেন তিনি আমাদের সঠিক পথপ্রদর্শক মুর্শেদ এবং উত্তম চরিত্রের রমণী দ্বারা আমাদের জীবনকে সৌভাগ্যমণ্ডিত করেন।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভাগ্যবান রমণীর গুণাবলী ও মুর্শেদ প্রাপ্তির রহস্য

আপডেট সময় : ০১:৪২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ভাগ্যের প্রভাব ও মুর্শেদের সন্ধান

পবিত্র ধর্মীয় শিক্ষায় বারবার উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা যাকে হেদায়েত দান করেন, তিনি প্রকৃত মুর্শেদের সন্ধান পান। আর যিনি হেদায়েতপ্রাপ্ত নন, তার জন্য সঠিক পথপ্রদর্শকের সন্ধান করাও দুরূহ হয়ে ওঠে। জামানার মহা মুজাদ্দেদ বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রাঃ) ছাহেবের উক্তি—

 

“অতি ভাগ্যের গুণে মুর্শেদের বোল আর অতি ভাগ্যের গুণে রমনীর কোল”—

 

এই বাণীর তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। প্রকৃত অর্থে, মুর্শিদ বা পীরের সান্নিধ্য পাওয়া ভাগ্যবান ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারিত হয়। কারণ, মুর্শেদ-প্রাপ্তি শুধুমাত্র ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি একজন মানুষের সৌভাগ্যের বহিঃপ্রকাশ।

 

আরো পড়ুন:সুফিবাদ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ভাগ্যবান রমণীর গুণাবলী

একজন রমণীর চারিত্রিক গুণাবলী ও তার জীবনযাত্রা তার সৌভাগ্যের পরিচায়ক হতে পারে। ভাগ্যবান রমণীর কিছু বিশেষ গুণাবলী রয়েছে, যা তাকে একজন সত্যিকারের আদর্শ নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে—

 

১. ধর্মপরায়ণতা ও ঈমানদারিতা

ভাগ্যবান রমণী সর্বদা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল করে। তার অন্তর পরিশুদ্ধ এবং সে সৎপথের অনুসারী। নামাজ-রোজা, কুরআন তিলাওয়াত ও ইবাদতে সে মনোনিবেশ করে এবং তার কর্ম ও আচার-আচরণও দ্বীনসম্মত হয়।

 

২. চরিত্রের পবিত্রতা ও লজ্জাশীলতা

একজন ভাগ্যবান রমণী সর্বদা চরিত্রবান এবং লজ্জাশীলা হয়ে থাকেন। তার লজ্জাশীলতা ও সতীত্বই তার প্রধান অলংকার।

 

৩. স্বামীর প্রতি অনুগত ও দায়িত্বশীল

ভাগ্যবান নারী তার স্বামীকে সর্বদা সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখে। তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে এবং পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত করতে সচেষ্ট হয়।

 

৪. দয়া, সহানুভূতি ও উদারতা

একজন সত্যিকারের ভাগ্যবান রমণী সবসময় দয়ালু, উদার ও মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হন। তিনি অসহায় ও দুস্থদের সাহায্য করেন এবং পরিবারের সকলের প্রতি আন্তরিক থাকেন।

 

৫. বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা

ভাগ্যবান রমণী বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ হন। তিনি পারিবারিক জীবনে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হন।

 

৬. সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা

একজন ভাগ্যবান রমণী তার সন্তানদের উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তিনি তাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।

 

৭. ধৈর্যশীলতা ও আত্মসংযম

পরিবারের সুখ-শান্তির জন্য একজন রমণীর ধৈর্যশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ধৈর্য ধরে জীবনের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং কখনো হতাশ হন না।

 

ভাগ্যের প্রভাব ও পরিণতি

একজন ব্যক্তি যদি ভাগ্যবান হন, তবে তিনি প্রকৃত মুর্শেদ এবং সতী-সাধ্বী নারীকে পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। পক্ষান্তরে, যাদের ভাগ্য প্রতিকূল, তারা এ দুই নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়।

 

এজন্যই বলা হয়—

“ভাগ্যবান পুরুষ প্রকৃত মুর্শেদ ও সতী নারী লাভ করে, আর দুর্ভাগা ব্যক্তি এ দুই থেকে বঞ্চিত থাকে।”

 

আমাদের উচিত আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা, যেন তিনি আমাদের সঠিক পথপ্রদর্শক মুর্শেদ এবং উত্তম চরিত্রের রমণী দ্বারা আমাদের জীবনকে সৌভাগ্যমণ্ডিত করেন।