ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসূল সাঃ কিসের তৈরি

Sheikh Alhaz Uddin
  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪০৩ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

‎‫الثوز )নূর শব্দটি ব্যাপক অর্থবোধক সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। যা একাধারে আল্লাহ পাক, রাসূলে করিম (স) ও পবিত্র কোরআনের গুণবাচক নাম। শব্দটির বিভিন্ন অর্থ পরিলক্ষিত হয়। কারণ الثورُ )নূর) এর একাধিক অর্থ রয়েছে, যেমন: (light), আলো; بَهَاءُ )brightness), উজ্জ্বলতা; কিরণ, ঝলক, প্রদীপ, লণ্ঠন, জ্যোতি, সত্য প্রকাশ ইত্যাদি। النُّورُ )নূর( এর বহুবচন হল أنوار )আনওয়ার)। নূর তাকেই বলে যে নিজে প্রকাশ হয় ও অন্যকে প্রকাশ করে।‬‎

 

এখানে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে, اور )নূর) দুই ধরণের হয়। যথা محسوس بعين البصر “চোখে অনুভূত হয় এমন নূর।” সূর্যের নূর বা আলো, চাঁদের নূর বা আলো, তারকার নূর বা আলো ইত্যাদি। আরেকটি হল চোখে অনুভূত হয় না বরং আকল বা জ্ঞান দ্বারা অনুধাবন করা যায় এমন নূর। কোরআনের নূর, ইলিমের নূর, ঈমানের নূর ইত্যাদি।’ সহজে বলা যায়, নূর দুই প্রকার যথা:- একটি মানুষের ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুধাবন করা যায় এবং আরেকটি হল যা ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুধাবন করা যায়না। প্রিয় নবীজি (স) একদিকে পবিত্র কোরআনের ঘোষনা অনুযায়ী ইন্দ্রিয় অগ্রায্য নূর, অপরদিকে একাধিক হাদিস অনুযায়ী ইন্দ্রিয় গ্রায্য নূর। অর্থাৎ রাসূল(সাঃ) উভয় প্রকার নূর। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Discover more from Sufibad.Com - সূফীবাদ.কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

রাসূল সাঃ কিসের তৈরি

আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

 

‎‫الثوز )নূর শব্দটি ব্যাপক অর্থবোধক সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। যা একাধারে আল্লাহ পাক, রাসূলে করিম (স) ও পবিত্র কোরআনের গুণবাচক নাম। শব্দটির বিভিন্ন অর্থ পরিলক্ষিত হয়। কারণ الثورُ )নূর) এর একাধিক অর্থ রয়েছে, যেমন: (light), আলো; بَهَاءُ )brightness), উজ্জ্বলতা; কিরণ, ঝলক, প্রদীপ, লণ্ঠন, জ্যোতি, সত্য প্রকাশ ইত্যাদি। النُّورُ )নূর( এর বহুবচন হল أنوار )আনওয়ার)। নূর তাকেই বলে যে নিজে প্রকাশ হয় ও অন্যকে প্রকাশ করে।‬‎

 

এখানে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে, اور )নূর) দুই ধরণের হয়। যথা محسوس بعين البصر “চোখে অনুভূত হয় এমন নূর।” সূর্যের নূর বা আলো, চাঁদের নূর বা আলো, তারকার নূর বা আলো ইত্যাদি। আরেকটি হল চোখে অনুভূত হয় না বরং আকল বা জ্ঞান দ্বারা অনুধাবন করা যায় এমন নূর। কোরআনের নূর, ইলিমের নূর, ঈমানের নূর ইত্যাদি।’ সহজে বলা যায়, নূর দুই প্রকার যথা:- একটি মানুষের ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুধাবন করা যায় এবং আরেকটি হল যা ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুধাবন করা যায়না। প্রিয় নবীজি (স) একদিকে পবিত্র কোরআনের ঘোষনা অনুযায়ী ইন্দ্রিয় অগ্রায্য নূর, অপরদিকে একাধিক হাদিস অনুযায়ী ইন্দ্রিয় গ্রায্য নূর। অর্থাৎ রাসূল(সাঃ) উভয় প্রকার নূর। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।