ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠের ফজিলত

Sheikh Alhaz Uddin
  • আপডেট সময় : ১০:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠের ফজিলত

 

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এর ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। আমলটি করার ব্যাপারে হাদিসে অনেক বর্ণনা এসেছে।

 

আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) (বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬

আবু জর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) আমাকে একবার বললেন—

‘আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনগুলোর একটির সন্ধান দেবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসুল। তিনি বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। (আহমাদ, হাদিস : ২০৮২৯)

আরো পড়ুন: দরূদ শরীফের মহত্ব ও ফযীলত

হাজিম ইবনে হারমালা (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেন, ‘হে হাজিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন। (বুখারি, হাদিস ৪২০৪, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৭৩৮৬, মুসলিম ৫৮৯,

 

কাইস ইবনু সাদ ইবনু উবাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, আমি নামাজরত থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার কাছ দিয়ে গমন করলেন। তিনি নিজের পা দিয়ে আমাকে আঘাত (ইশারা) করে বললেন, আমি তোমাকে কি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা সম্পর্কে জানাব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই)। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)

 

কায়স (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তখন মাত্র নামাজ শেষ করেছি। তিনি আমাকে তার কদম মুবারক দিয়ে আঘাত করলেন। বললেন—

জান্নাতের দরজাগুলোর একটি কি তা আমি তোমাকে বলবো? আমি বললাম, অবশ্যই। তিনি বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

(সুনান তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)

আরো পড়ুন:শরিয়তে কবর যিয়ারতের হুকুম । ইহা কী জায়েজ ?

আবু যুবায়ের (রহ.) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন জুবায়ের (রাঃ) নামায শেষে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ …) পাঠ করতেন। পাশাপাশি ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা না’বুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন-নি’মাহ … অতিরিক্ত বর্ণনা করে পরে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৭)

 

সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ মাফ হয়

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর বুকে যে ব্যক্তি বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তার অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির মতো (বেশি পরিমাণ) হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬০)

 

অর্থ : আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সুমহান, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপমুক্তির কোনো পথ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ইবাদতের কোনো শক্তি নেই।

 

আরো পড়ুন: শাহ নেয়ামাতুল্লাহ ওয়ালী (রহঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠের ফজিলত

আপডেট সময় : ১০:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠের ফজিলত

 

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এর ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। আমলটি করার ব্যাপারে হাদিসে অনেক বর্ণনা এসেছে।

 

আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) (বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬

আবু জর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) আমাকে একবার বললেন—

‘আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনগুলোর একটির সন্ধান দেবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসুল। তিনি বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। (আহমাদ, হাদিস : ২০৮২৯)

আরো পড়ুন: দরূদ শরীফের মহত্ব ও ফযীলত

হাজিম ইবনে হারমালা (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেন, ‘হে হাজিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন। (বুখারি, হাদিস ৪২০৪, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৭৩৮৬, মুসলিম ৫৮৯,

 

কাইস ইবনু সাদ ইবনু উবাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, আমি নামাজরত থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার কাছ দিয়ে গমন করলেন। তিনি নিজের পা দিয়ে আমাকে আঘাত (ইশারা) করে বললেন, আমি তোমাকে কি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা সম্পর্কে জানাব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই)। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)

 

কায়স (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তখন মাত্র নামাজ শেষ করেছি। তিনি আমাকে তার কদম মুবারক দিয়ে আঘাত করলেন। বললেন—

জান্নাতের দরজাগুলোর একটি কি তা আমি তোমাকে বলবো? আমি বললাম, অবশ্যই। তিনি বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

(সুনান তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)

আরো পড়ুন:শরিয়তে কবর যিয়ারতের হুকুম । ইহা কী জায়েজ ?

আবু যুবায়ের (রহ.) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন জুবায়ের (রাঃ) নামায শেষে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ …) পাঠ করতেন। পাশাপাশি ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা না’বুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন-নি’মাহ … অতিরিক্ত বর্ণনা করে পরে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৭)

 

সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ মাফ হয়

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর বুকে যে ব্যক্তি বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তার অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির মতো (বেশি পরিমাণ) হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬০)

 

অর্থ : আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সুমহান, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপমুক্তির কোনো পথ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ইবাদতের কোনো শক্তি নেই।

 

আরো পড়ুন: শাহ নেয়ামাতুল্লাহ ওয়ালী (রহঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী