ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুরআন-সুন্নাহ এর দৃষ্টিতে বাবা কয় শ্রেণী

  • আপডেট সময় : ০১:০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৪১৬ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুরআন-সুন্নাহ এর দৃষ্টিতে বাবা কয় শ্রেণী

 

* আপন পীরকে বা মোর্শেদ’কে বাবা বললেই কিছু লোক তিরস্কার ও ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেন। এই জন্যে এই অধ্যায়ে বাবা কয় শ্রেণী সে বিষয়ে আলোচনা করা হলঃ

 

**যেনে রাখা দরকার যে, বাবা বা পিতা মোট আট শ্রেণীর। এই আট শ্রেণী পিতাকেই ‘বাবা’ বলে সম্বোধণ করা জায়েয আর তা কুরআন হাদিস মোতাবেক প্রমানিত। নিচে লক্ষ্য করুনঃ-

 

আট শ্রেণীর পিতাঃ

 

১/ ابو الحقيقة (আবুল হাকিকাত) তথা হাকিকী পিতাঃ তিনি হজরত রাসূলে পাক (ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম)।

 

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انا ابو الارواح و انا من :  نور الله والمؤمنون من فيض نوری

নবী করিম (সাঃ) বলেন: আমি সকল রুহের পিতা, আর আমি আল্লাহর নুর থেকে সৃষ্টি ও মু’মিনগণ আমার নুরের ফয়েজ থেকে সৃষ্টি (তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৩৭১ পৃঃ)।

 

عن ابن عباس قال النبي اولى بالمؤمنين من انفسهم وازوجه امهاتهم وهو اب ليم *অর্থঃ নবী মু’মিনের জানের চেয়েও নিকটে আর নবীর স্ত্রীগণ মু’মিনের মা এবং তিনি মু’মিনদের পিতা (তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১ম খন্ড, ৫৭ পৃঃ; মুস্তাদ্রাকে হাকেম, ৪র্থ খন্ড, ১৩৩৫ পৃঃ হাদিস নং ৩৫৫৬; বায়হাক্বী সুনানে কুবরা, হা: নং ১৩১৯৮) হাদিসের সনদ সহি।

 

*যেহেতু নবীজি সকল সৃষ্টির মূল এবং নবীজির উছিলায় সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে সেহেতু তিনি সব কিছুর রুহানী ভাবে হাকিকী পিতা।

 

২/ ابوالشريعة (আবুশ শরিয়া) তথা শরিয়াতের পিতা হজরত নূহ (আঃ)।

 

ابو الشريعة هو عبد الغفار اى نوح عليه السلام :* শরিতের পিতা তিনি আব্দুল গাফ্ফার অর্থাৎ নূহ (আঃ) (তাফছিরে রুহুল বয়ান)।

পূর্ণাঙ্গ শরিয়তের প্রবর্তন হয় সর্ব প্রথম হজরত নূহ (আঃ) এর জামানায়, তাই তাঁকে শরিয়তের পিতা বলা হয়।

 

৩/ ابو لتحصيل المعرفة (আবু লিতাহছিলুল মারেফাত) তথা মারেফাত হাছিলের পিতাঃ তিনি হজরত আলী (রাঃ)।

 

* দলিল: انا مدينة العلم وعلي بابها অর্থ: রাসূলে পাক (ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম) বলেন আমি এলেমের (এলমে মারেফাতের) শহর তথা সাগর, হজরত আলী (রাঃ) তাঁর দরজা (হাকেম শরিফ, ৫ম খন্ড, ১৭৪৪ পৃঃ; জামে তিরমিজি, ১ম জিঃ; তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ৩১১ পৃঃ; মেসকাত শরিফ, ৫৬৪ পৃঃ; মেরকাত, ১১ম খন্ড, ২৫২ পৃঃ; জামেউছ ছাগীর, ১ম জিঃ ১৬১ পৃঃ; মাকাছিদুল হাছানাহ, ৯৭ পৃঃ)।

 

*সুতরাং ইলমে মারেফাতের শহরে কিংবা মারেফাতের সাগরে প্রবেশ করতে হলে হজরত আলী (রাঃ) কে দরজা হিসেবে লাগবে। কারন প্রিয় নবীজি (ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম) বলেছেন: انا مدينة العلم وعلى بابها فمن اراد العلم فلياته من بابه অর্থাৎ, আমি এলেমে (মারেফতের( শহর, আলী (রাঃ) তার দরজা। যে এলেম (মারেফাত) অর্জন করতে চায় তাহলে সেই দরজা হয়েই অর্জন করতে হবে।

(মুস্তাদরাকে হাকেম, ৫ম খন্ড, ১৭৪৪ পৃঃ; মেরকাত শরহে মেসকাত, ১১তম খন্ড, ২৫২ পৃঃ)।

 

এই জন্যে হজরত আলী (রাঃ) কে মারেফাত হাছিলের জন্য পিতা বলা হয়। আপন মোর্শেদ যদিও মারেফাত দান করবেন, তবে ইহা হজরত আলী (রাঃ) এর সেই দরজা হয়েই মারেফাত এনে দিবেন।

 

8/ ابو الطريقة (আবুত ত্বারিকাত) তথা ত্বরিকতের পিতাঃ তিনি আপন মোর্শেদ বা আপন পীর।

 

وما يضلل فلن تجد له وليا مرشدا  ত্বরিকাভ্রষ্ট করি সে কোন ওলীকে মোর্শেদ হিসেবে পাবেনা (সূরা কাহাফ, ১৭নং আয়াত)।

 

* ‘পথ’ শব্দটাকে আরবীতে বলা হয় ‘ত্বরিকা’। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলছেন, যে পথভ্রষ্ট তথা ত্বরিকাভ্রষ্ট তার কোন মোর্শেদ নেই। তাহলে বুঝা যায় সঠিক পথ বা সঠিক ত্বরিকার জন্য মোর্শেদে কামেল একমাত্র উপায়, কারন সঠিক পথের জন্য মোর্শেদে কামেল তেমন, যেমন সন্তানদের কল্যানের জন্য তার পিতা। এই কারনে আপন মোর্শেদকে ত্বরিকতের পিতা বলা হয়।

 

৫/ ابو البشر (আবুল বাশার) তথা মানব জাতির পিতা, তিনি হজরত আদম (আঃ)। বাবা আদম (আঃ) যে আদি পিতা এ ব্যাপারে কারোও কোন দ্বিমত নেই।

 

: ( خلقنكم ) يعنى من تراب الأرض ابانكم ادم  (খালাকুনাকুম) অর্থাৎ তোমাদের বাবা ‘আদম’কে আমি জমীনের মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি (তাফছিরে মাজহারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৭৩ পৃঃ)।

 

সুতরাং হজরত আদম (আঃ) আমাদের আদি পিতা।

 

৬/ ابو لمسليم ملة (আবু লি মুছলীম মিল্লাত) তথা মুসলীম জাতীর পিতা তিনি হজরত ইব্রাহিম (আঃ)।

 

ملة أبيكم ابراهيم هو سعى كم المسلمين  (মুসলীমদের) জাতীর পিতা ইব্রাহিম আর সেই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলমান (আল কোরআন)। সুতরাং মুসলমানদের জাতীর পিতা হজরত ইব্রাহিম (আঃ)।

 

আরো পড়ুন:রাসূল (সাঃ) কখন নবুয়্যত লাভ করেন?

 

৭/ ابو المولد (আবুল ওয়ালাদ) তথা জন্মদাতা পিতা। নিজের জন্মদাত্যই এই শ্রেণীর পিতা।

 

৮/: ابو التعظيم والتكريم (আবু লিত তাজিম ওয়া তাকুরীম) তথা সম্মান ও তাজিম কিংবা স্নেহের কারনে কাউকে আব্বু বা বাবা বলা। এই শ্রেণীতেই পরেন শশুর মশাই। শশুরকে পিতার মত সম্মানী বলেই বাবা বলা হয়। নিজের ছেলেকে আব্বু বলা, ছোট বাচ্চাদেরকে মুরব্বীরা ‘বাবা’ বলে ডাক দেওয়া, রিক্সা ড্রাইভারকে আরহীগণ ‘বাবা আস্তে চালাও’ বলা, দাদার পিতাকে ‘বড় আব্বা’ বলা ইত্যাদি এগুলো এই স্তরের অন্তর্ভুক্ত। যদিও তাঁরা পিতা নয় তবুও সম্মান, তাজিম ও স্নেহের কারনে পিতা বলা হয়।

 

**যেনে রাখা দরকার যে, আপন পীরকে বাবা বলা ফরজ, ওয়াজির কোনটিই নয় বরং ইহা একটি ‘আদব’।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুরআন-সুন্নাহ এর দৃষ্টিতে বাবা কয় শ্রেণী

আপডেট সময় : ০১:০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

কুরআন-সুন্নাহ এর দৃষ্টিতে বাবা কয় শ্রেণী

 

* আপন পীরকে বা মোর্শেদ’কে বাবা বললেই কিছু লোক তিরস্কার ও ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেন। এই জন্যে এই অধ্যায়ে বাবা কয় শ্রেণী সে বিষয়ে আলোচনা করা হলঃ

 

**যেনে রাখা দরকার যে, বাবা বা পিতা মোট আট শ্রেণীর। এই আট শ্রেণী পিতাকেই ‘বাবা’ বলে সম্বোধণ করা জায়েয আর তা কুরআন হাদিস মোতাবেক প্রমানিত। নিচে লক্ষ্য করুনঃ-

 

আট শ্রেণীর পিতাঃ

 

১/ ابو الحقيقة (আবুল হাকিকাত) তথা হাকিকী পিতাঃ তিনি হজরত রাসূলে পাক (ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম)।

 

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انا ابو الارواح و انا من :  نور الله والمؤمنون من فيض نوری

নবী করিম (সাঃ) বলেন: আমি সকল রুহের পিতা, আর আমি আল্লাহর নুর থেকে সৃষ্টি ও মু’মিনগণ আমার নুরের ফয়েজ থেকে সৃষ্টি (তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৩৭১ পৃঃ)।

 

عن ابن عباس قال النبي اولى بالمؤمنين من انفسهم وازوجه امهاتهم وهو اب ليم *অর্থঃ নবী মু’মিনের জানের চেয়েও নিকটে আর নবীর স্ত্রীগণ মু’মিনের মা এবং তিনি মু’মিনদের পিতা (তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১ম খন্ড, ৫৭ পৃঃ; মুস্তাদ্রাকে হাকেম, ৪র্থ খন্ড, ১৩৩৫ পৃঃ হাদিস নং ৩৫৫৬; বায়হাক্বী সুনানে কুবরা, হা: নং ১৩১৯৮) হাদিসের সনদ সহি।

 

*যেহেতু নবীজি সকল সৃষ্টির মূল এবং নবীজির উছিলায় সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে সেহেতু তিনি সব কিছুর রুহানী ভাবে হাকিকী পিতা।

 

২/ ابوالشريعة (আবুশ শরিয়া) তথা শরিয়াতের পিতা হজরত নূহ (আঃ)।

 

ابو الشريعة هو عبد الغفار اى نوح عليه السلام :* শরিতের পিতা তিনি আব্দুল গাফ্ফার অর্থাৎ নূহ (আঃ) (তাফছিরে রুহুল বয়ান)।

পূর্ণাঙ্গ শরিয়তের প্রবর্তন হয় সর্ব প্রথম হজরত নূহ (আঃ) এর জামানায়, তাই তাঁকে শরিয়তের পিতা বলা হয়।

 

৩/ ابو لتحصيل المعرفة (আবু লিতাহছিলুল মারেফাত) তথা মারেফাত হাছিলের পিতাঃ তিনি হজরত আলী (রাঃ)।

 

* দলিল: انا مدينة العلم وعلي بابها অর্থ: রাসূলে পাক (ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম) বলেন আমি এলেমের (এলমে মারেফাতের) শহর তথা সাগর, হজরত আলী (রাঃ) তাঁর দরজা (হাকেম শরিফ, ৫ম খন্ড, ১৭৪৪ পৃঃ; জামে তিরমিজি, ১ম জিঃ; তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ৩১১ পৃঃ; মেসকাত শরিফ, ৫৬৪ পৃঃ; মেরকাত, ১১ম খন্ড, ২৫২ পৃঃ; জামেউছ ছাগীর, ১ম জিঃ ১৬১ পৃঃ; মাকাছিদুল হাছানাহ, ৯৭ পৃঃ)।

 

*সুতরাং ইলমে মারেফাতের শহরে কিংবা মারেফাতের সাগরে প্রবেশ করতে হলে হজরত আলী (রাঃ) কে দরজা হিসেবে লাগবে। কারন প্রিয় নবীজি (ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম) বলেছেন: انا مدينة العلم وعلى بابها فمن اراد العلم فلياته من بابه অর্থাৎ, আমি এলেমে (মারেফতের( শহর, আলী (রাঃ) তার দরজা। যে এলেম (মারেফাত) অর্জন করতে চায় তাহলে সেই দরজা হয়েই অর্জন করতে হবে।

(মুস্তাদরাকে হাকেম, ৫ম খন্ড, ১৭৪৪ পৃঃ; মেরকাত শরহে মেসকাত, ১১তম খন্ড, ২৫২ পৃঃ)।

 

এই জন্যে হজরত আলী (রাঃ) কে মারেফাত হাছিলের জন্য পিতা বলা হয়। আপন মোর্শেদ যদিও মারেফাত দান করবেন, তবে ইহা হজরত আলী (রাঃ) এর সেই দরজা হয়েই মারেফাত এনে দিবেন।

 

8/ ابو الطريقة (আবুত ত্বারিকাত) তথা ত্বরিকতের পিতাঃ তিনি আপন মোর্শেদ বা আপন পীর।

 

وما يضلل فلن تجد له وليا مرشدا  ত্বরিকাভ্রষ্ট করি সে কোন ওলীকে মোর্শেদ হিসেবে পাবেনা (সূরা কাহাফ, ১৭নং আয়াত)।

 

* ‘পথ’ শব্দটাকে আরবীতে বলা হয় ‘ত্বরিকা’। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলছেন, যে পথভ্রষ্ট তথা ত্বরিকাভ্রষ্ট তার কোন মোর্শেদ নেই। তাহলে বুঝা যায় সঠিক পথ বা সঠিক ত্বরিকার জন্য মোর্শেদে কামেল একমাত্র উপায়, কারন সঠিক পথের জন্য মোর্শেদে কামেল তেমন, যেমন সন্তানদের কল্যানের জন্য তার পিতা। এই কারনে আপন মোর্শেদকে ত্বরিকতের পিতা বলা হয়।

 

৫/ ابو البشر (আবুল বাশার) তথা মানব জাতির পিতা, তিনি হজরত আদম (আঃ)। বাবা আদম (আঃ) যে আদি পিতা এ ব্যাপারে কারোও কোন দ্বিমত নেই।

 

: ( خلقنكم ) يعنى من تراب الأرض ابانكم ادم  (খালাকুনাকুম) অর্থাৎ তোমাদের বাবা ‘আদম’কে আমি জমীনের মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি (তাফছিরে মাজহারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৭৩ পৃঃ)।

 

সুতরাং হজরত আদম (আঃ) আমাদের আদি পিতা।

 

৬/ ابو لمسليم ملة (আবু লি মুছলীম মিল্লাত) তথা মুসলীম জাতীর পিতা তিনি হজরত ইব্রাহিম (আঃ)।

 

ملة أبيكم ابراهيم هو سعى كم المسلمين  (মুসলীমদের) জাতীর পিতা ইব্রাহিম আর সেই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলমান (আল কোরআন)। সুতরাং মুসলমানদের জাতীর পিতা হজরত ইব্রাহিম (আঃ)।

 

আরো পড়ুন:রাসূল (সাঃ) কখন নবুয়্যত লাভ করেন?

 

৭/ ابو المولد (আবুল ওয়ালাদ) তথা জন্মদাতা পিতা। নিজের জন্মদাত্যই এই শ্রেণীর পিতা।

 

৮/: ابو التعظيم والتكريم (আবু লিত তাজিম ওয়া তাকুরীম) তথা সম্মান ও তাজিম কিংবা স্নেহের কারনে কাউকে আব্বু বা বাবা বলা। এই শ্রেণীতেই পরেন শশুর মশাই। শশুরকে পিতার মত সম্মানী বলেই বাবা বলা হয়। নিজের ছেলেকে আব্বু বলা, ছোট বাচ্চাদেরকে মুরব্বীরা ‘বাবা’ বলে ডাক দেওয়া, রিক্সা ড্রাইভারকে আরহীগণ ‘বাবা আস্তে চালাও’ বলা, দাদার পিতাকে ‘বড় আব্বা’ বলা ইত্যাদি এগুলো এই স্তরের অন্তর্ভুক্ত। যদিও তাঁরা পিতা নয় তবুও সম্মান, তাজিম ও স্নেহের কারনে পিতা বলা হয়।

 

**যেনে রাখা দরকার যে, আপন পীরকে বাবা বলা ফরজ, ওয়াজির কোনটিই নয় বরং ইহা একটি ‘আদব’।