ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসূল তোমারই কারণে বিশাল এ ভুবনে আল্লাহ জ্বিরও পরিচয়

  • আপডেট সময় : ০৬:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / ২৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাসূল (সা.) তোমারই কারণে বিশাল এ ভুবনে আল্লাহ জ্ঞিরও পরিচয়

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানবজাতির জন্য এক পরিপূর্ণ আদর্শ। তিনি যে কেবল একজন নবী ছিলেন তা-ই নয়, বরং তিনি ছিলেন সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ তাঁকে প্রেরণ করেছেন সত্যের আলো ছড়িয়ে দিতে, অজ্ঞতা ও গোমরাহির অন্ধকার থেকে মুক্তি দিতে। তাই বলা হয়, “রাসূল তোমারই কারণে বিশাল এ ভুবনে আল্লাহ জ্ঞিরও পরিচয়।”

 

আল্লাহর পরিচয়ের বাহক

সৃষ্টিজগতের প্রতিটি কণায় আল্লাহর অস্তিত্বের নিদর্শন বিদ্যমান। তবে মানুষের পক্ষে আল্লাহকে সঠিকভাবে চেনা এবং তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা সম্ভব হতো না যদি না আল্লাহ তাঁর রাসূল (সা.)-কে প্রেরণ করতেন। কুরআনে বলা হয়েছে:

আরো পড়ুন:ইমাম মেহদী (আ.) এর আবির্ভাব ও জাকের পার্টির গুরুত্ব

“আমি তোমাকে (হে মুহাম্মাদ) সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি।” (সুরা আল-আম্বিয়া: ১০৭)

 

রাসূল (সা.)-এর মাধ্যমেই মানুষ জানতে পেরেছে আল্লাহর সঠিক পরিচয়, তাঁর গুণাবলি, এবং তিনি কীভাবে চান যে আমরা জীবন পরিচালনা করি।

 

অজ্ঞতা থেকে মুক্তি

আরবের মুশরিকরা, ইহুদি-খ্রিস্টানরা কিংবা অন্য জাতিগোষ্ঠী আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু ধারণা রাখলেও তাঁরা সঠিকভাবে আল্লাহকে চিনত না। কেউ আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার নির্ধারণ করত, কেউ তাঁকে ভুলভাবে উপাসনা করত। রাসূল (সা.) এসে মানুষকে শুদ্ধতম তাওহিদের শিক্ষা দিয়েছেন—

“তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।” (সুরা আল-বাকারা: ১৬৩)

তিনি মানুষকে বুঝিয়েছেন যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী, সর্বদ্রষ্টা এবং তিনি আমাদের রব, যাঁর কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

 

আখিরাতের পথপ্রদর্শক

মানুষ এই দুনিয়ায় এসেই শেষ হয়ে যায় না। তাকে মৃত্যুর পর নতুন জীবনের সম্মুখীন হতে হবে, যা চিরস্থায়ী। এ কথাও মানুষ রাসূল (সা.)-এর মাধ্যমেই জানতে পেরেছে। তিনি বলে গেছেন, যারা আল্লাহর পথ অনুসরণ করবে, তারা জান্নাতে যাবে, আর যারা তা অস্বীকার করবে, তারা শাস্তি পাবে।

 

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় পেয়েছে। তাঁর শিক্ষাই মানুষকে শিরক, কুফর ও গোমরাহি থেকে মুক্ত করেছে এবং পরকালীন মুক্তির পথ দেখিয়েছে। তাই বলা যায়, রাসূল (সা.)-এর কারণেই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আল্লাহর সঠিক পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাসূল তোমারই কারণে বিশাল এ ভুবনে আল্লাহ জ্বিরও পরিচয়

আপডেট সময় : ০৬:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

রাসূল (সা.) তোমারই কারণে বিশাল এ ভুবনে আল্লাহ জ্ঞিরও পরিচয়

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানবজাতির জন্য এক পরিপূর্ণ আদর্শ। তিনি যে কেবল একজন নবী ছিলেন তা-ই নয়, বরং তিনি ছিলেন সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ তাঁকে প্রেরণ করেছেন সত্যের আলো ছড়িয়ে দিতে, অজ্ঞতা ও গোমরাহির অন্ধকার থেকে মুক্তি দিতে। তাই বলা হয়, “রাসূল তোমারই কারণে বিশাল এ ভুবনে আল্লাহ জ্ঞিরও পরিচয়।”

 

আল্লাহর পরিচয়ের বাহক

সৃষ্টিজগতের প্রতিটি কণায় আল্লাহর অস্তিত্বের নিদর্শন বিদ্যমান। তবে মানুষের পক্ষে আল্লাহকে সঠিকভাবে চেনা এবং তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা সম্ভব হতো না যদি না আল্লাহ তাঁর রাসূল (সা.)-কে প্রেরণ করতেন। কুরআনে বলা হয়েছে:

আরো পড়ুন:ইমাম মেহদী (আ.) এর আবির্ভাব ও জাকের পার্টির গুরুত্ব

“আমি তোমাকে (হে মুহাম্মাদ) সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি।” (সুরা আল-আম্বিয়া: ১০৭)

 

রাসূল (সা.)-এর মাধ্যমেই মানুষ জানতে পেরেছে আল্লাহর সঠিক পরিচয়, তাঁর গুণাবলি, এবং তিনি কীভাবে চান যে আমরা জীবন পরিচালনা করি।

 

অজ্ঞতা থেকে মুক্তি

আরবের মুশরিকরা, ইহুদি-খ্রিস্টানরা কিংবা অন্য জাতিগোষ্ঠী আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু ধারণা রাখলেও তাঁরা সঠিকভাবে আল্লাহকে চিনত না। কেউ আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার নির্ধারণ করত, কেউ তাঁকে ভুলভাবে উপাসনা করত। রাসূল (সা.) এসে মানুষকে শুদ্ধতম তাওহিদের শিক্ষা দিয়েছেন—

“তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।” (সুরা আল-বাকারা: ১৬৩)

তিনি মানুষকে বুঝিয়েছেন যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী, সর্বদ্রষ্টা এবং তিনি আমাদের রব, যাঁর কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

 

আখিরাতের পথপ্রদর্শক

মানুষ এই দুনিয়ায় এসেই শেষ হয়ে যায় না। তাকে মৃত্যুর পর নতুন জীবনের সম্মুখীন হতে হবে, যা চিরস্থায়ী। এ কথাও মানুষ রাসূল (সা.)-এর মাধ্যমেই জানতে পেরেছে। তিনি বলে গেছেন, যারা আল্লাহর পথ অনুসরণ করবে, তারা জান্নাতে যাবে, আর যারা তা অস্বীকার করবে, তারা শাস্তি পাবে।

 

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় পেয়েছে। তাঁর শিক্ষাই মানুষকে শিরক, কুফর ও গোমরাহি থেকে মুক্ত করেছে এবং পরকালীন মুক্তির পথ দেখিয়েছে। তাই বলা যায়, রাসূল (সা.)-এর কারণেই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আল্লাহর সঠিক পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।