বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নামাজ ১ম পর্ব
কর্মের ফল অবশ্যম্ভাবী
- আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
- / ২৪৮৮ বার পড়া হয়েছে
কর্মের ফল অবশ্যম্ভাবী: মহা পবিত্র আল-কুরআনের বিধিবিধান মেনে চলার মধ্যে ইহকালীর কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত। যা স্বতঃসিদ্ধ বাণী। আমরা সে জন্য আল্লাহর বিধান ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তহাব, হালাল, হারাম, বৈধ, অবৈধ, সত্য, মিথ্যা ইত্যাদি মেনে চলার চেষ্টা করি। কতটুকু মেনে চলতে পারলাম এবং আমার পুণ্য ও পাপের মধ্যে সংখ্যাধিক্য কোনটি তা যাচাই করার মত কোন শক্তি বা জ্ঞান নেই বা হয় না। আসলেই কি নেই; না আমাদের বোধগম্যতার অভাব?
কাজ করব তার ফল হবে না, এমন কাজ কে কতদিন করবে? যে কাজের ফল নেই বা ফলাফল বোঝার শক্তি বা জ্ঞান নেই, এ কাজের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় না। সকল পুণ্যের বা পাপের ফলাফল পরকালে পাবো, দুনিয়াতে তার কিছুই বুঝা যাবে না তা কি ঠিক? সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ আজও বিদ্যমান। ফেরাউন, কারুন-হামান ও নমরুদের ধ্বংসের ইতিহাস আমরা জানতে পারি। তাতে বুঝা গেল পাপের পরিণাম দুনিয়াতে দেখা যায়। পুণ্যের পরিণাম কি তা হলে নেই? ইউনুছ (আঃ) মাছের পেট থেকে কিভাবে উদ্ধার পেলেন। ইব্রাহিম (আঃ) নমরুদের অগ্নি থেকে কি করে বেঁচে গেলেন? একমাত্র আল্লাহর নামের বরকতে। অতএব পাপ পুণ্যের ফলাফল দুনিয়াতে পাওয়া যায় বা যাবে। মূলত আমাদের জানার ভুল অথবা যারা জানিয়েছেন তাদের ভুল যে, পুণ্যের ফলাফল দুনিয়াতে নয়, পরকালে জান্নাত পাওয়া যাবে। আল্লাহর দিদার ইহকালে নয় পরকালে। অথচ আল্লাহ বলেন- )উনি আস্তাজিব লাকুম। “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকের সাড়া দেব।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন- (সুরায়: মু-মিন, আয়াত: ৬০)
“তোমরা আমাকে স্মরণ করলে আমি তোমাদের স্মরণ করব।” (বাকারাহ-২: ১৫২)
অর্থাৎ আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ সাড়া দেবেন। তাহলে বান্দা দুনিয়াতে আল্লাহর সাড়া শুনতে পাবেন। আর যদি বান্দা আল্লাহর সাড়া শুনতে না পায়, তাহলে কেন বলেছেন, আমি সাড়া দেব। আল্লাহর দিদার সম্পর্কে বলেন-
উচ্চারণ : মান কানা ইয়ারজু লেকা আল্লাহি ফাইন্না আজালাল্লাহিলাআতেন। “অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাতের আশা করে আল্লাহ তাঁকে সময়মত (সাক্ষাৎ) দান করে থাকবেন।” (আনকাবুত নং-৫)
উচ্চারণ: ফামান কানা ইয়ারজু লেকায়া রব্বিহী ফাল ইয়া’মাল আমালান ছালেহাও ওয়ালা ইউশরিক বিইবাদাতি রব্বিহি আহাদা।
“যে ব্যক্তি তার প্রতিপালককে দেখার আশা করে, তার জন্য সদাসর্বদা নেক আমল করা একান্ত আবশ্যক এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করা।” (কাহাফ নং ১১০)
অতএব শরীক বিহীন ইবাদতে আল্লাহর দিদার যে নছীব হবে তাতে সন্দেহ নেই। সেই দিদার ইহকালে বা পরকালে হবে তা নির্ধারিত নয় বিধায় দুনিয়ার দিদার অসম্ভব নয়। তবে বেছুরাতী এবং বর্ণনাতীত। বর্ণিত আছে যে, বহু ওলী আল্লাহগণ আল্লাহ দিদার পেয়েছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) একশত একবার আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন।