ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হজ্বের সময় পথ হারানো মুরীদ সন্তানকে পথ প্রদর্শন

Sheikh Alhaz Uddin
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ২৪৬৭ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৮৮ইং সনে মাওলানা আবুল হাশেম লক্ষ্মীপুরী, খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নির্দেশে পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য মক্কা শরীফে যান। সেবার একই নির্দেশে হযরত কেবলাজান হুজুরের স্নেহধন্য আরও তিনজন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আবু ল্লাইস আনসারী, মাওলানা সাদেকুর রহমান ও ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যাপক (পরবর্তীতে অধ্যক্ষ) খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মাওলানা সালাহউদ্দিন এক দলভুক্ত হয়ে পবিত্র হজ্ব পালন করেন। কিন্তু হজ্ব পালনকালে প্রচন্ড ভীড় ও চাপের মধ্যেও মাওলানা লক্ষ্মীপুরীর মতো একজন ছোটখাট মানুষ অনায়াসে “হাজরে আসওয়াদ” চুম্বন করতে সক্ষম হন যা কেবলাজান হুজুরের সরাসরি তায়ীদ ও মদদে সম্ভব হয়েছে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। এখানেই শেষ নয়, ‘হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বনের পরপরই মাওলানা লক্ষ্মীপুরী সাহেব তার সঙ্গী অন্যান্যদের হারিয়ে ফেলেন।

তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে যখন কোনদিকে যাবেন ভাবছিলেন, ঠিক সেই সময় দেখতে পান পীর কেবলাজান হুজুর আগে আগে যাচ্ছেন। এভাবে হযরত কেবলাজান হুজুরকে অনুসরণ করেই তিনি মক্কা নগরীতে এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে ওঠেন। সেই মুহুর্তেই হযরত কেবলাজান হুজুর হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। অথচ শরিয়তে হযরত পীর কেবলাজান তখন বাংলাদেশের আটরশিতে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলেই অবস্থান করছিলেন। শরিয়তপন্থী আলেম মাওলানা আবুল হাশেম লক্ষ্মীপুরীর যেমন বিস্ময়ের সীমা রইলোনা তেমনি আপন পীরের আধ্যাত্মিক শক্তি ও উঁচু মর্যাদা সম্পর্কেও ঈমান ও প্রত্যয় আরও দৃঢ় হলো।

আরো পড়ুনঃ 

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হজ্বের সময় পথ হারানো মুরীদ সন্তানকে পথ প্রদর্শন

আপডেট সময় : ১০:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

১৯৮৮ইং সনে মাওলানা আবুল হাশেম লক্ষ্মীপুরী, খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নির্দেশে পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য মক্কা শরীফে যান। সেবার একই নির্দেশে হযরত কেবলাজান হুজুরের স্নেহধন্য আরও তিনজন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আবু ল্লাইস আনসারী, মাওলানা সাদেকুর রহমান ও ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যাপক (পরবর্তীতে অধ্যক্ষ) খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মাওলানা সালাহউদ্দিন এক দলভুক্ত হয়ে পবিত্র হজ্ব পালন করেন। কিন্তু হজ্ব পালনকালে প্রচন্ড ভীড় ও চাপের মধ্যেও মাওলানা লক্ষ্মীপুরীর মতো একজন ছোটখাট মানুষ অনায়াসে “হাজরে আসওয়াদ” চুম্বন করতে সক্ষম হন যা কেবলাজান হুজুরের সরাসরি তায়ীদ ও মদদে সম্ভব হয়েছে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। এখানেই শেষ নয়, ‘হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বনের পরপরই মাওলানা লক্ষ্মীপুরী সাহেব তার সঙ্গী অন্যান্যদের হারিয়ে ফেলেন।

তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে যখন কোনদিকে যাবেন ভাবছিলেন, ঠিক সেই সময় দেখতে পান পীর কেবলাজান হুজুর আগে আগে যাচ্ছেন। এভাবে হযরত কেবলাজান হুজুরকে অনুসরণ করেই তিনি মক্কা নগরীতে এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে ওঠেন। সেই মুহুর্তেই হযরত কেবলাজান হুজুর হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। অথচ শরিয়তে হযরত পীর কেবলাজান তখন বাংলাদেশের আটরশিতে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলেই অবস্থান করছিলেন। শরিয়তপন্থী আলেম মাওলানা আবুল হাশেম লক্ষ্মীপুরীর যেমন বিস্ময়ের সীমা রইলোনা তেমনি আপন পীরের আধ্যাত্মিক শক্তি ও উঁচু মর্যাদা সম্পর্কেও ঈমান ও প্রত্যয় আরও দৃঢ় হলো।

আরো পড়ুনঃ