ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোসলের নিয়ম ও দোয়া

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৪০৬ বার পড়া হয়েছে
Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোসলের জন্য সাধারণত কোনো নিয়ম নেই। গোসল কারও ওপর ফরজ হলে তাকে গোসল করতে হয়। সেই গোসল করতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে সাধারণ গোসলেও সেই নিয়ম অনুসরণ করা উত্তম।

প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের যৌনসঙ্গম, বীর্যপাত, হায়েজ-নেফাস সমাপ্তির পর, সন্তান প্রসবের পর এবং মৃত্যুর পর গোসল করা ফরজ (বাধ্যতামূলক)।

এছাড়া, শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে, ঈদের নামাজের পূর্বে, ইহরাম বাধার পূর্বে, হজের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পূর্বে, অজ্ঞান হওয়ার পর সচেতন হলে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে গোসল করা মোস্তাহাব (উৎসাহিত করা হয়)।

গোসলের পানি

গোসলের জন্য আগে কাপড় বাছাই করতে হবে। যেনতেন পানি ব্যবহার করা যাবে না। বৃষ্টির পানি, কুয়ার পানি, ঝর্ণার পানি, সাগর বা নদীর পানি, বরফ গলা পানি, বড় পুকুর বা ট্যাঙ্কির পানি প্রভৃতি ব্যবহার করা যাবে। তবে অপরিচ্ছন্ন বা অপবিত্র পানি, ফল বা গাছ নিঃসৃত পানি, পানির মধ্যে কোনো কিছু মিশানোর কারণে বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ এবং গাঢ়ত্ব পরিবর্তিত হওয়া পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না।

অপবিত্র জিনিস মিশে যাওয়া পানি (যেমন: মূত্র, রক্ত, মল বা মদ), অজু বা গোসলের পানি, অপবিত্র তথা হারাম প্রাণীর (যেমন: শূকর, কুকুর ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণী) পানকৃত অবশিষ্ট পানি দিয়েও গোসল করা যাবে না।

গোসলের ফরজ

এক. গড়গড়া করে কুলি করা
দুই. নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো। তবে রোজাদার হলে গড়গড়া না করলেও হবে এবং নাকের গভীরের পানি দিতে হবে না।
তিন. সমস্ত শরীর ধোয়া। পুরো শরীরের এক পশম জায়গা পরিমাণ শুকনো থাকা যাবে না। শরীর শুধু ভিজালেই হবে না বরং পানি প্রবাহিত করতে হবে।

ফরজ গোসলের নিয়ম

  • গোসলের নিয়ত করা। যেমন: আমি নাপাকি থেকে পাক হওয়ার জন্য গোসল করছি।
  • গোসলের নিয়ত করে বিসমিল্লাহ, বলে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ভালো করে ধোয়া।
  • এরপর শরীরের কোনো জায়গায় অপবিত্র বস্তু থাকলে পরিষ্কার করা।
  • অজু করা। গড়গড়া করে কুলি করা (রোজাদার হলে গড়গড়া করা যাবে না)।
  • তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা।
  • অজুর করার পর মাথায় এমনভাবে পানি ঢালা যেন চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছে যায়।
  • ডান কাঁধে পরে বাম কাঁধে পানি ঢেলে সমস্ত শরীর ধোয়া, যেন শরীরের কোনো অংশ শুকনো না থাকে।
    সর্বশেষে পা ধোয়া।
  • এরপর সারা শরীর কোনো কাপড় বা গামছা দিয়ে মুছে শুকনো কাপড় পরা।

 

 

আরো পড়ুনঃ 

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোসলের নিয়ম ও দোয়া

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

গোসলের জন্য সাধারণত কোনো নিয়ম নেই। গোসল কারও ওপর ফরজ হলে তাকে গোসল করতে হয়। সেই গোসল করতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে সাধারণ গোসলেও সেই নিয়ম অনুসরণ করা উত্তম।

প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের যৌনসঙ্গম, বীর্যপাত, হায়েজ-নেফাস সমাপ্তির পর, সন্তান প্রসবের পর এবং মৃত্যুর পর গোসল করা ফরজ (বাধ্যতামূলক)।

এছাড়া, শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে, ঈদের নামাজের পূর্বে, ইহরাম বাধার পূর্বে, হজের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পূর্বে, অজ্ঞান হওয়ার পর সচেতন হলে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে গোসল করা মোস্তাহাব (উৎসাহিত করা হয়)।

গোসলের পানি

গোসলের জন্য আগে কাপড় বাছাই করতে হবে। যেনতেন পানি ব্যবহার করা যাবে না। বৃষ্টির পানি, কুয়ার পানি, ঝর্ণার পানি, সাগর বা নদীর পানি, বরফ গলা পানি, বড় পুকুর বা ট্যাঙ্কির পানি প্রভৃতি ব্যবহার করা যাবে। তবে অপরিচ্ছন্ন বা অপবিত্র পানি, ফল বা গাছ নিঃসৃত পানি, পানির মধ্যে কোনো কিছু মিশানোর কারণে বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ এবং গাঢ়ত্ব পরিবর্তিত হওয়া পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না।

অপবিত্র জিনিস মিশে যাওয়া পানি (যেমন: মূত্র, রক্ত, মল বা মদ), অজু বা গোসলের পানি, অপবিত্র তথা হারাম প্রাণীর (যেমন: শূকর, কুকুর ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণী) পানকৃত অবশিষ্ট পানি দিয়েও গোসল করা যাবে না।

গোসলের ফরজ

এক. গড়গড়া করে কুলি করা
দুই. নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো। তবে রোজাদার হলে গড়গড়া না করলেও হবে এবং নাকের গভীরের পানি দিতে হবে না।
তিন. সমস্ত শরীর ধোয়া। পুরো শরীরের এক পশম জায়গা পরিমাণ শুকনো থাকা যাবে না। শরীর শুধু ভিজালেই হবে না বরং পানি প্রবাহিত করতে হবে।

ফরজ গোসলের নিয়ম

  • গোসলের নিয়ত করা। যেমন: আমি নাপাকি থেকে পাক হওয়ার জন্য গোসল করছি।
  • গোসলের নিয়ত করে বিসমিল্লাহ, বলে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ভালো করে ধোয়া।
  • এরপর শরীরের কোনো জায়গায় অপবিত্র বস্তু থাকলে পরিষ্কার করা।
  • অজু করা। গড়গড়া করে কুলি করা (রোজাদার হলে গড়গড়া করা যাবে না)।
  • তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা।
  • অজুর করার পর মাথায় এমনভাবে পানি ঢালা যেন চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছে যায়।
  • ডান কাঁধে পরে বাম কাঁধে পানি ঢেলে সমস্ত শরীর ধোয়া, যেন শরীরের কোনো অংশ শুকনো না থাকে।
    সর্বশেষে পা ধোয়া।
  • এরপর সারা শরীর কোনো কাপড় বা গামছা দিয়ে মুছে শুকনো কাপড় পরা।

 

 

আরো পড়ুনঃ