দরবার শরীফে বিমান অবতরণ প্রসঙ্গে ভবিষ্যৎবাণী
- আপডেট সময় : ০৯:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
- / ২৪৬৯ বার পড়া হয়েছে
এখন থেকে প্রায় চলিশ/পয়তাল্লিশ বছর আগের কথা। বর্তমান দরবার শরীফের বহিরাঙ্গনে প্রধান গেইট থেকে মাদ্রাসা ভবন পর্যন্ত যে পাকা রাস্তাটি রয়েছে এর উপর ছিল একটি বাঁশের সাঁকো। দুই পার্শ্বের বিস্তীর্ণ মাঠ ছিল নিচু জলাশয়। মাদ্রাসা ভবন কিংবা ছাত্রাবাস, এসবের চিহ্নও ছিলনা। ভরা বর্ষায় এখানে পানিতে ঢেউ খেলতো। সেসময় একদিন বাড়ীর মাওলানা মরহুম সাদেকুর রহমান ও অন্যান্য কয়েকজন জাকেরসহ পীর কেবলাজান হুজুর সেখানে গেলেন। চারদিক থেকে মৃদু বাতাসে ঢেউ খেলানো জলাশয়ের দিকে তাকিয়ে উপস্থিত সবাইকে লক্ষ্য করে হুজুর পাক প্রশ্ন রাখলেন, “আচ্ছা, এখানে বিমান ল্যান্ড করতে পারবে না?” পীর কেবলাজানের এ অপ্রত্যাশিত ও দুর্বোধ্য প্রশ্ন শুনে সবাই অবাক বিস্ময়ে পরস্পরের চোখ চাওয়া-চাওয়ি করছিলেন। ভাবখানা এরকম যেন পীর কেবলাজান হুজুর ভাবান্তরিত অবস্থায় অবাস্তব ও অসম্ভব কিছু বলে ফেলেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাস্তবে যা ঘটেছিল তা এখনকার নতুন জাকেরদেরও জানা আছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণের কেউ কেউ হেলিকপ্টারে গিয়ে ঠিক সেই জায়গাটিতেই ল্যান্ড করতেন। উলেখ্য এর আগেই এসব নিম্নাঞ্চল ভরাট করে সুবিশাল মাদ্রাসা ভবন, ছাত্রাবাস ও পুষ্পোদ্যানসহ প্রশস্ত পাঁকা রাস্তা তৈরী হয়ে যায়। হযরত পীর কেবলাজানের চলিশ বছর আগেকার সেই ইশারাপূর্ণ ভবিষ্যৎবাণী এখন সম্পূর্ণ বাস্তব। আর এখনতো বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে বিশাল হেলিপোর্ট তৈরী হয়েছে।
কামেল মোকাম্মেল ওলী সকল আলমে মিসালের পর্দায় অতীত-বর্তমান- ভবিষ্যতের সব কিছুই দেখতে পান। তাই শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কোথায় কি ঘটছে এবং ঘটবে সে সম্পর্কেও তারা ভবিষ্যতবাণী করতে পারেন এ ক্ষমতা বলেই।
তথ্যসুত্রঃ এ্যাডভোকেট আ.ন.ম. মনিরুজ্জামান (লাল ভাই)। এ্যাডভোকেট আ.ন.ম. মনিরুজ্জামান (লাল ভাই) কিশোর বয়সেই তার পিতার সাথে প্রথম দরবার শরীফে যান। সেই থেকে তিনি হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরীর (কুঃছেঃআঃ) মতো একজন বিশ্ববরেণ্য মহান ওলীর সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য অর্জন করেন।