ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যিলহজ্জ্বের প্রথম ১০ (দশ) দিনের ইবাদতে ফজিলত

  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ২৬২৩ বার পড়া হয়েছে

যিলহজ্জ্বের প্রথম ১০ (দশ) দিনের ইবাদতে ফজিলত

Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
যিলহজ্জ্বের প্রথম ১০ (দশ) দিনের ইবাদতে ফজিলতঃ
রাসূলে পাক (সাঃ) বলেন, “রমজান মাস সকল মাসের ছর্দার এবং যিলহজ্জ মাস অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক সম্মানিত।” রাসূলে পাক (সাঃ) আরও বলেন, যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদত বন্দেগীতে আল্লাহপাক যত পুণ্য দান করেন তদ্রুপ আর কোন ইবাদতে করেন না। এই দশ দিনের একদিন রোযা রাখিলেও সারা বৎসর রোযা রাখার সমান পুণ্য অর্জিত হয়। আর এক রাত জাগিয়া ইবাদত করিলে সারা বৎসরের রাত সমূহের ইবাদতের পুণ্য হাছিল হয়।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছেঃ এক যুবকের অভ্যাস ছিল, যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা গেলেই সে রোযা রাখা শুরু করিত। রাসূলে পাক (সাঃ) যুবকের এই ঘটনা জানিতে পারিয়া একদা ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হে যুবক! এই দিনগুলোতে তোমার রোযা রাখার কারণ কি? সে আরজ করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কোরবান হউক-এই দিনগুলো পবিত্র হজ্জের প্রতীক এবং হজ্জ আদায়ের মোবারক সময় হজ্জ আদায়কারীগণের সাথে আমিও নেক আমলে শরীক হই, এই আশায় যে, তাহাদের সাথে আমার দু’আও আল্লাহতায়ালা কবুল করিয়া নিবেন। অতঃপর রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করিলেন, তোমার এক একটি রোযার বিনিময়ে একশত গোলাম আযাদ করার, একশত উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার এবং জেহাদের সাজ-সামানে ভরপুর একশত ঘোড়া দেওয়ার ছওয়াব রহিয়াছে, তন্মধ্যে ৮ই যিলহজ্জ [ইয়াওমুত-তারবিয়া] এর রোযার বিনিময়ে এক হাজার গোলাম আযাদ করার, এক হাজার উট দান করার এবং সাজ-সামানাসহ জিহাদের জন্য এক হাজার ঘোড়া দান করার সমতুল্য ছওয়াব রহিয়াছে, আবার ৯ই যিলহজ্জ [ইয়াওমুল-আরাফা] এর রোযার বিনিময়ে দুই হাজার গোলাম আযাদ করার, দুই হাজার উট দান করার ও জিহাদের সাজ-সামানসহ দুই হাজার ঘোড়া দান করার ছওয়াব রহিয়াছে।
গ্রন্থসূত্রঃ শাহসূফী হযরত মাওলানা খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ, ২০তম খন্ড, পৃষ্টা-৫১-৫২।

আরো পড়ুনঃ 

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

যিলহজ্জ্বের প্রথম ১০ (দশ) দিনের ইবাদতে ফজিলত

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
যিলহজ্জ্বের প্রথম ১০ (দশ) দিনের ইবাদতে ফজিলতঃ
রাসূলে পাক (সাঃ) বলেন, “রমজান মাস সকল মাসের ছর্দার এবং যিলহজ্জ মাস অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক সম্মানিত।” রাসূলে পাক (সাঃ) আরও বলেন, যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদত বন্দেগীতে আল্লাহপাক যত পুণ্য দান করেন তদ্রুপ আর কোন ইবাদতে করেন না। এই দশ দিনের একদিন রোযা রাখিলেও সারা বৎসর রোযা রাখার সমান পুণ্য অর্জিত হয়। আর এক রাত জাগিয়া ইবাদত করিলে সারা বৎসরের রাত সমূহের ইবাদতের পুণ্য হাছিল হয়।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছেঃ এক যুবকের অভ্যাস ছিল, যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা গেলেই সে রোযা রাখা শুরু করিত। রাসূলে পাক (সাঃ) যুবকের এই ঘটনা জানিতে পারিয়া একদা ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হে যুবক! এই দিনগুলোতে তোমার রোযা রাখার কারণ কি? সে আরজ করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কোরবান হউক-এই দিনগুলো পবিত্র হজ্জের প্রতীক এবং হজ্জ আদায়ের মোবারক সময় হজ্জ আদায়কারীগণের সাথে আমিও নেক আমলে শরীক হই, এই আশায় যে, তাহাদের সাথে আমার দু’আও আল্লাহতায়ালা কবুল করিয়া নিবেন। অতঃপর রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করিলেন, তোমার এক একটি রোযার বিনিময়ে একশত গোলাম আযাদ করার, একশত উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার এবং জেহাদের সাজ-সামানে ভরপুর একশত ঘোড়া দেওয়ার ছওয়াব রহিয়াছে, তন্মধ্যে ৮ই যিলহজ্জ [ইয়াওমুত-তারবিয়া] এর রোযার বিনিময়ে এক হাজার গোলাম আযাদ করার, এক হাজার উট দান করার এবং সাজ-সামানাসহ জিহাদের জন্য এক হাজার ঘোড়া দান করার সমতুল্য ছওয়াব রহিয়াছে, আবার ৯ই যিলহজ্জ [ইয়াওমুল-আরাফা] এর রোযার বিনিময়ে দুই হাজার গোলাম আযাদ করার, দুই হাজার উট দান করার ও জিহাদের সাজ-সামানসহ দুই হাজার ঘোড়া দান করার ছওয়াব রহিয়াছে।
গ্রন্থসূত্রঃ শাহসূফী হযরত মাওলানা খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ, ২০তম খন্ড, পৃষ্টা-৫১-৫২।

আরো পড়ুনঃ