সাপের পেট থেকে ভক্ষিত বিড়ালছানা উদ্ধার
- আপডেট সময় : ১০:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
- / ২৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) কেবলাজান হুজুরের তৎকালীন টিনসেডের হুজরা শরীফ (বরইতলা) সংলগ্ন একটি ঘরে তখন বড়পীর আম্মাজান থাকতেন। সে ঘরেই বড়পীর আম্মাজান খুব শখ করে একটি বিড়াল পুষতেন। বিড়ালটির ছিল অতি সুন্দর ফুটফুটে দুটি বাচ্চা। হঠাৎ একদিন সকালে দেখা গেল বাচ্চা দুটি কোথাও নেই। ওদের খুঁজে খুঁজে মা বিড়ালটা ‘মিয়াও মিয়াও’ করে ডাকছে আর কান্নাভেজা করুণ চোখের চাউনি দিয়ে যেন কারও সহযোগিতা ভিক্ষা চাইছে। এমন সময় দেখা গেল একটি বিরাট সাপ ঘরের এককোণে বীড়া (গোল হয়ে) পেঁচিয়ে চুপ করে পড়ে আছে। বড় পীর আম্মাজান আব্দুল খালেককে ডেকে তৎক্ষণাৎ এ ঘটনা হযরত কেবলাজান হুজুরকে জানাতে বললেন। পীর কেবলাজান তখন বরইতলা হুজরা শরীফে তাশরিফ নিয়ে আছেন।
আব্দুল খালেক দ্রুত গিয়ে পীর কেবলাজানকে ঘটনাটি জানালে তিনি (হুজুর পাক) বড়পীর আম্মাজানের ঘরে ছুটে গেলেন এবং প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পেরে দুঃখীনি বিড়ালটির জন্য মর্মাহত হলেন। অতঃপর দয়াল পীর, দস্তগীর, আখেরী মুর্শিদ, বিশ্বওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব সাপটিকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তুই আর কিছু পাইলিনা, শখের বিড়ালছানাগুলি খেয়ে ফেললি?” একথা বলার সাথে সাথেই সাপটি বমি করে বিড়ালছানা দু’টি বের করে দিল। কিন্তু ইতোমধ্যেই যা হবার তাই হয়েছে, দীর্ঘ সময় বিড়ালছানা দু’টি সাপের পেটে থেকে মরে গেছে। সে সময়কার অন্যতম প্রধান খাদেম এবং হুজুর কেবলাজানের একান্ত সহচর লালভাই সাপটিকে হত্যা করার জন্য একটি শক্ত লাঠি হাতে সাপের মাথা খুঁজতে খুঁজতে ঘরের বাইরে গিয়ে দেখেন কোন মাথা নেই। পুনরায় ঘরে এসে দেখেন সাপই নেই। রহস্যপূর্ণ এ ঘটনা সবার কাছে রহস্যই রয়ে গেল।