ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমজানে অনাহারে থাকার ফজিলত

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৬৬৫ বার পড়া হয়েছে

রমজানে অনাহারে থাকার ফজিলত

Sufibad.com - সূফিবাদ.কম অনলাইনের সর্বশেষ লেখা পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রমজান মহা সম্মানিত মাস। রমজান সাধনার মাস। রমজান মাসে লম্বা সময় মানুষ অনাহারে থাকে। আজকে অনাহারে থাকার ফজিলত নিয়ে কিছু কথাঃ
” স্বর্নকে খাদমুক্ত করিতে হইলে যেমন নাইট্টিক এসিডে ফেলিয়া ইহার খাদসমূহকে জ্বালাইয়া ফেলিতে হয়, তবেই স্বর্ণ খাদমুক্ত হয়। তেমনি নাফসকে খাদমুক্ত করিতে হইলে তথা নাফসের অন্ধকার দোষসমূহ ঝাগিড়া ফেলিতে হইলে নাফসেও দাহন করা প্রয়োজন। কিন্তু জাগতিক আগুন দ্বারা কিংবা নাইট্টিক এসিড দ্বারা নাফসকে জ্বালানো যায় না। নাফসকে দাহনের জন্য যে অগ্নির প্রয়োজন হয় তাহা দেহে উৎপন্ন হয় কেবলমাত্র অনাহানের দ্বারা। একমাত্র অনাহারের অগ্নি নাফসকে জ্বালাইয়া ইহাকে খাদমুক্ত করিতে পারে। তথা ক্ষুধার আগুনে নাফস দগ্ধিভূত হইলে কেবল তখনই ইহা স্বীয় অনিষ্টকর দোষসমূহ পরিত্যাগ করিতে পারে, নাপাকি পরিত্যাগ করিয়া পবিত্রতার মাকামে পৌঁছাইতে পারে।” (২০/১১)

“রোজার অনাহারে দেহে উৎপন্ন আগুন আল্লাহর শত্রু নাফসে আম্মারাকে পোড়াইয়া তাহার অনিষ্টকর দোষসমূহ ত্যাগ করিতে বাধ্য করে”। (২০/১১)

” নাফসের সাথে যুদ্ধে অনাহার প্রতিরক্ষামূলক দায়িত্ব পালন করে।” (২০/১২)

“নাফসের খোদাদ্রোহিতা দূর করার জন্য প্রয়োজন ক্ষুধার অগ্নি।” (২০/১২)

 

লেখকঃ সুজন শাহজী 

আরো পড়ুনঃ

Sufibad 24

ব্লগটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রমজানে অনাহারে থাকার ফজিলত

আপডেট সময় : ১২:০৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রমজান মহা সম্মানিত মাস। রমজান সাধনার মাস। রমজান মাসে লম্বা সময় মানুষ অনাহারে থাকে। আজকে অনাহারে থাকার ফজিলত নিয়ে কিছু কথাঃ
” স্বর্নকে খাদমুক্ত করিতে হইলে যেমন নাইট্টিক এসিডে ফেলিয়া ইহার খাদসমূহকে জ্বালাইয়া ফেলিতে হয়, তবেই স্বর্ণ খাদমুক্ত হয়। তেমনি নাফসকে খাদমুক্ত করিতে হইলে তথা নাফসের অন্ধকার দোষসমূহ ঝাগিড়া ফেলিতে হইলে নাফসেও দাহন করা প্রয়োজন। কিন্তু জাগতিক আগুন দ্বারা কিংবা নাইট্টিক এসিড দ্বারা নাফসকে জ্বালানো যায় না। নাফসকে দাহনের জন্য যে অগ্নির প্রয়োজন হয় তাহা দেহে উৎপন্ন হয় কেবলমাত্র অনাহানের দ্বারা। একমাত্র অনাহারের অগ্নি নাফসকে জ্বালাইয়া ইহাকে খাদমুক্ত করিতে পারে। তথা ক্ষুধার আগুনে নাফস দগ্ধিভূত হইলে কেবল তখনই ইহা স্বীয় অনিষ্টকর দোষসমূহ পরিত্যাগ করিতে পারে, নাপাকি পরিত্যাগ করিয়া পবিত্রতার মাকামে পৌঁছাইতে পারে।” (২০/১১)

“রোজার অনাহারে দেহে উৎপন্ন আগুন আল্লাহর শত্রু নাফসে আম্মারাকে পোড়াইয়া তাহার অনিষ্টকর দোষসমূহ ত্যাগ করিতে বাধ্য করে”। (২০/১১)

” নাফসের সাথে যুদ্ধে অনাহার প্রতিরক্ষামূলক দায়িত্ব পালন করে।” (২০/১২)

“নাফসের খোদাদ্রোহিতা দূর করার জন্য প্রয়োজন ক্ষুধার অগ্নি।” (২০/১২)

 

লেখকঃ সুজন শাহজী 

আরো পড়ুনঃ