বিশ্ব জাকের মঞ্জিল: ইসলামী সাধনা ও ভক্তির কেন্দ্র

- আপডেট সময় : ১০:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / ২৪০২ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল: ইসলামী সাধনা ও ভক্তির কেন্দ্র
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার এক প্রসিদ্ধ ইসলামী সাধনা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি দেশের অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক মঞ্চ হিসেবে পরিগণিত, যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলিম ব্যক্তি আত্মিক উন্নতির উদ্দেশ্যে নিয়মিতভাবে উপস্থিত হন। বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মূলত একটি ইসলামী জ্ঞান চর্চার আত্মাধিক প্রতিষ্ঠান, যা আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন ও ইসলামী শিক্ষা প্রচারের কাজে নিয়োজিত।
১. প্রতিষ্ঠা এবং উদ্দেশ্য:
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে, বিশ্বখ্যাত ইসলামী শিক্ষাগুরু এবং মরমী সন্ন্যাসী মাওলানা শাহসুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী (রাঃ) এর পরিচালনায় এই প্রতিষ্ঠানটি আধ্যাত্মিকতার চর্চা ও মানুষের মধ্যে ইসলামের শান্তি ও প্রেমের বার্তা প্রচার করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মুসলিমদের আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রদান এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা।
২. সাধনা ও জিকির:
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের মূল কার্যক্রম হল জিকির বা আল্লাহর স্মরণ। এটি এমন একটি স্থান যেখানে মুসলমানরা একত্রিত হয়ে ইসলামী প্রার্থনা, দোয়া এবং বিশেষভাবে “ধীর জিকির” (মনে মনে আল্লাহর নাম স্মরণ) করে থাকেন। এই প্রক্রিয়ায় তারা নিজেদের আত্মাকে শুদ্ধ করে, আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে এবং জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য পায়। এখানে ইবাদত ও আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য আয়োজন করা হয় নিয়মিত বক্তৃতা, সেমিনার, ও ধর্মীয় সভা।
আরো পড়ুনঃ ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মানব জীবনে উত্তম আদর্শ
৩. সমাজসেবা ও মানবিক কার্যক্রম:
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল শুধু আধ্যাত্মিক শিক্ষার জন্য পরিচিত নয়, এটি একটি সামাজিক দানশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করে থাকে। প্রতি বছর, প্রতিষ্ঠানটি গরীব ও অসহায় মানুষদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাহায্য প্রদান করে, যেমন খাবার বিতরণ, চিকিৎসা সেবা, ও শিক্ষা কার্যক্রম। বিশেষ করে মাহে রমজান মাসে অসহায় মানুষের জন্য বিশেষ রোজা বিরতী এবং খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
৪. আন্তর্জাতিক কার্যক্রম:
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের কার্যক্রম শুধু দেশজুড়ে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিক পরিসরে ইসলামী ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতা প্রচারের কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশে সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্মেলন আয়োজন করে, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা একত্রিত হয়ে ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আলেম-ওলামা এবং মুসলিম সম্প্রদায় একত্রিত হয়।
৫. ভবিষ্যৎ লক্ষ্য:
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য হলো মুসলিমদের মধ্যে ইসলামী জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার উন্নয়ন সাধন করা। বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যাতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এ ধরনের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে আরও সুসংহত করা যায়।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল শুধু একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র নয়, এটি ইসলামী সংস্কৃতি এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রসারকেন্দ্র। এখানে আগত প্রতিটি মানুষের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। মুসলিম সমাজের জন্য এটি একটি অনন্য দিশারী, যা তাদের জীবনে সত্য ও ন্যায়ের পথ অনুসরণের প্রেরণা দেয়।
- সুফিবাদ বা সূফীজমে পরমতসহিষ্ণুতা
- মোমিন বান্দার পরিচয়
- আসহাবে সুফফা
- বায়াত না হওয়ার কুফল
- আটরশি দরবার । আটরশির কাফেলা । ১ম পর্ব
- হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সৃষ্টির ফাউন্ডেশন – শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রাঃ) ছাহেব
- শাহ নেয়ামাতুল্লাহ ওয়ালী (রহঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী
- সুফিবাদ কী ? সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ
- রাজনীতিতে জাকের পার্টি
- জাকের পার্টি জাতীয় নির্বাচন
- জাকের পার্টি সম্পর্কে বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরীর অবিস্মরণীয় নসিহত